ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনঃ তফসিলের আগেই খরচের মহড়া by শরিফুল হাসান
‘বিশ্বাস একবার চলে গেলে তা আর অর্জন করা সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাসে বিশ্বাসী’, ‘ভালো কাজেই মানব জীবনের সুখ ও কল্যাণ নিহিত’, ‘বাড়িঘরের ময়লা আবর্জনা, শহরের নোংরা রাজনীতি সময়মতো ডাস্টবিনে ফেলুন’, ‘আপনার সচেতনতাই পরিবর্তনের শক্তি’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা এখন ছেয়ে গেছে এসব বাণীসংবলিত বর্ণাঢ্য ডিজিটাল বিলবোর্ড ও পোস্টারে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এভাবে শুরু হয়েছে খরচের মহড়া। কোনো মহৎ উদ্দেশ্যে নয়, ঢাকাবাসীর মন জয় করতেই এসব প্রচারণা চালাচ্ছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা।
কেবল মেয়র প্রার্থীরাই নন, সম্মিলিত নাগরিক ফোরাম, নাগরিক সমাজ, ঢাকাবাসী, নাগরিক কমিটি, নাগরিক কল্যাণ ফোরাম—ইত্যাদি নামেও প্রার্থীদের পক্ষে পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে।
শুধু নির্বাচন উপলক্ষেই নয়, গত বছরের আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন, পবিত্র ঈদুল আজহা, ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগ করায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা, মহান বিজয় দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে লাগানো হয় বিলবোর্ড ও পোস্টার।
নির্বাচন কমিশন বলছে, মে মাসের শেষ দিকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হতে পারে। আগামী মাসে তফসিল ঘোষণা হবে। কিন্তু তার আগেই যত্রতত্র বিলবোর্ড-পোস্টার লাগানো হলেও দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা এসব বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড সরাতে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দেব। এর পরও না সরালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আইন আছে, এখনো কার্যকর হয়নি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় সংসদে দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২ পাস হয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগালে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান আছে আইনে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সম্মতি দেন। তবে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারিখ নির্ধারণ না হওয়ায় এখনো আইনটি কার্যকর হয়নি। জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনটি কার্যকর করা হবে।
কেবল মেয়র প্রার্থীরাই নন, সম্মিলিত নাগরিক ফোরাম, নাগরিক সমাজ, ঢাকাবাসী, নাগরিক কমিটি, নাগরিক কল্যাণ ফোরাম—ইত্যাদি নামেও প্রার্থীদের পক্ষে পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে।
শুধু নির্বাচন উপলক্ষেই নয়, গত বছরের আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন, পবিত্র ঈদুল আজহা, ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগ করায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা, মহান বিজয় দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে লাগানো হয় বিলবোর্ড ও পোস্টার।
নির্বাচন কমিশন বলছে, মে মাসের শেষ দিকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হতে পারে। আগামী মাসে তফসিল ঘোষণা হবে। কিন্তু তার আগেই যত্রতত্র বিলবোর্ড-পোস্টার লাগানো হলেও দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা এসব বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড সরাতে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দেব। এর পরও না সরালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আইন আছে, এখনো কার্যকর হয়নি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় সংসদে দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২ পাস হয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগালে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান আছে আইনে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সম্মতি দেন। তবে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারিখ নির্ধারণ না হওয়ায় এখনো আইনটি কার্যকর হয়নি। জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনটি কার্যকর করা হবে।
No comments