কুসুম কথা by তৌহিদা শিরোপা
দৃশ্যটি বেশ আবেগঘন। মেয়েটির চোখ ছলছল করবে। এরপর চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকবে। চোখ ছলছল হচ্ছে, কিন্তু চোখ দিয়ে শত চেষ্টার পরও পানি পড়ছে না। বিষয়টি যখন সবার বোধগম্য হলো তখন চারদিকে হাসির রোল। লালটিপ চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী কুসুম সিকদার বলেন, আসলে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে তখন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পানি চোখের কোনায় জমাট বেঁধে যাচ্ছিল। ফ্রান্সে লালটিপ-এর শুটিংয়ের সময় এ রকম কত মজার ঘটনা ঘটেছে।
স্বপন আহমেদের পরিচালনায় লালটিপ চলচ্চিত্রটি এরই মধ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এটি কুসুম সিকদার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। প্রথম চলচ্চিত্র খালিদ মাহমুদ মিঠুর গহীনে শব্দ। ‘আমার কাছে লালটিপ হচ্ছে পরিবর্তনের আরেক নাম। আমরা সবাই মিলে সেই পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছি। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম সেখানে সহযোগিতা করেছে। তবে পরিবর্তন সম্ভব যদি দর্শকেরা আমাদের পাশে থাকেন, প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখেন।
লালটিপ চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছিল প্রায় দেড় বছর আগে। উষ্ণ ও শীতল—দুই আবহাওয়াতেই আমরা কাজ করেছি। ফ্রান্সে তখন তীব্র শীত। মাঝে মাঝে বরফ পড়ত। আইফেল টাওয়ারে, ল্যুভ মিউজিয়ামের সামনে আমরা শুটিং করেছি। ফ্রান্সে এর আগেও আমি বেড়াতে গেছি। তবে এবারের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। আমাদের সঙ্গে ফ্রান্সের একটি দল কাজ করেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের কোরাল আইল্যান্ডে, পাতায়াতে খুব গরমের মধ্যে শুটিং করতে হয়েছে। ত্বক রোদে পুড়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া ঢাকার ধামরাইয়েও কিছুদিন কাজ করেছি। সাধারণত মেকআপ ছাড়াই অভিনয় করার চেষ্টা করি। মনে হয় মেকআপ না করলে বেশি ভালো লাগে। লালটিপ ছবিতেও শুধু কাজল, লিপস্টিক দিয়েছি। প্যারিসে শুটিংয়ের সময় আমাদের পরিহিত পোশাকগুলোর ডিজাইন করেছিলেন ফরাসি ডিজাইনার হিলারি এন্ডুজার। আর বাংলাদেশে শুটিং ও গানের দৃশ্যের শুটিংয়ের পোশাকগুলোর ডিজাইন করেছি আমি। আর ইমনের সঙ্গে চলচ্চিত্রে এটি আমার দ্বিতীয় কাজ। যখন শুনেছিলাম, এই চলচ্চিত্রে ইমন কাজ করছে, তখন বেশ স্বস্তি পেয়েছিলাম। ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া ভালো। আসলে অস্বস্তি নিয়ে ভালো কাজ করা যায় না। এ ধরনের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে আর কাজ করব কি না, এই প্রশ্ন অনেকেরই। উত্তরে বলি, কাজের পরিবেশ স্বস্তিদায়ক হলে অবশ্যই চলচ্চিত্রে কাজ করব।’
লাক্স-আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক বাংলাদেশ ২০০২ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন কুসুম। সেখান থেকে নতুনভাবে পথচলা তাঁর। যদিও অভিনয়ে পুরোদস্তুর কাজ শুরু করেছিলেন ২০০৬ সাল থেকে। ‘লাক্সে যখন প্রথম হলাম তখন আমি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ি। পরিবার থেকে বলেছিল, সবার আগে লেখাপড়া। তারপর অন্য কিছু। আমি নিজেও লেখাপড়াকে প্রাধান্য দিতে চেয়েছি। তখন অনেক ভালো কাজের প্রস্তাব পেয়েছি, কিন্তু করতে পারিনি। স্নাতক পাস করেই নিয়মিতভাবে কাজ শুরু করেছি।’
কুসুম সিকদার মনে করেন, তাঁর অভিনয়জীবনে গহীনে শব্দ ভিন্নমাত্রা দান করেছে। যাঁরা এই চলচ্চিত্র দেখেছেন, সবাই কুসুম সিকদারের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন।
‘এই দীর্ঘ পথচলা সম্ভব হয়েছে স্বামী ও শাশুড়ির জন্য। নানাভাবে তাঁরা আমাকে সমর্থন ও অনুপ্রাণিত করেছেন। বিয়ের আগে যা পেয়েছিলাম মা-বাবার কাছ থেকে।’ লালটিপ দেখে দর্শক কী বলেন, তা নিয়েই এখন প্রতীক্ষা কুসুম সিকদারের।
স্বপন আহমেদের পরিচালনায় লালটিপ চলচ্চিত্রটি এরই মধ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এটি কুসুম সিকদার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। প্রথম চলচ্চিত্র খালিদ মাহমুদ মিঠুর গহীনে শব্দ। ‘আমার কাছে লালটিপ হচ্ছে পরিবর্তনের আরেক নাম। আমরা সবাই মিলে সেই পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছি। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম সেখানে সহযোগিতা করেছে। তবে পরিবর্তন সম্ভব যদি দর্শকেরা আমাদের পাশে থাকেন, প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখেন।
লালটিপ চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছিল প্রায় দেড় বছর আগে। উষ্ণ ও শীতল—দুই আবহাওয়াতেই আমরা কাজ করেছি। ফ্রান্সে তখন তীব্র শীত। মাঝে মাঝে বরফ পড়ত। আইফেল টাওয়ারে, ল্যুভ মিউজিয়ামের সামনে আমরা শুটিং করেছি। ফ্রান্সে এর আগেও আমি বেড়াতে গেছি। তবে এবারের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। আমাদের সঙ্গে ফ্রান্সের একটি দল কাজ করেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের কোরাল আইল্যান্ডে, পাতায়াতে খুব গরমের মধ্যে শুটিং করতে হয়েছে। ত্বক রোদে পুড়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া ঢাকার ধামরাইয়েও কিছুদিন কাজ করেছি। সাধারণত মেকআপ ছাড়াই অভিনয় করার চেষ্টা করি। মনে হয় মেকআপ না করলে বেশি ভালো লাগে। লালটিপ ছবিতেও শুধু কাজল, লিপস্টিক দিয়েছি। প্যারিসে শুটিংয়ের সময় আমাদের পরিহিত পোশাকগুলোর ডিজাইন করেছিলেন ফরাসি ডিজাইনার হিলারি এন্ডুজার। আর বাংলাদেশে শুটিং ও গানের দৃশ্যের শুটিংয়ের পোশাকগুলোর ডিজাইন করেছি আমি। আর ইমনের সঙ্গে চলচ্চিত্রে এটি আমার দ্বিতীয় কাজ। যখন শুনেছিলাম, এই চলচ্চিত্রে ইমন কাজ করছে, তখন বেশ স্বস্তি পেয়েছিলাম। ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া ভালো। আসলে অস্বস্তি নিয়ে ভালো কাজ করা যায় না। এ ধরনের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে আর কাজ করব কি না, এই প্রশ্ন অনেকেরই। উত্তরে বলি, কাজের পরিবেশ স্বস্তিদায়ক হলে অবশ্যই চলচ্চিত্রে কাজ করব।’
লাক্স-আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক বাংলাদেশ ২০০২ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন কুসুম। সেখান থেকে নতুনভাবে পথচলা তাঁর। যদিও অভিনয়ে পুরোদস্তুর কাজ শুরু করেছিলেন ২০০৬ সাল থেকে। ‘লাক্সে যখন প্রথম হলাম তখন আমি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ি। পরিবার থেকে বলেছিল, সবার আগে লেখাপড়া। তারপর অন্য কিছু। আমি নিজেও লেখাপড়াকে প্রাধান্য দিতে চেয়েছি। তখন অনেক ভালো কাজের প্রস্তাব পেয়েছি, কিন্তু করতে পারিনি। স্নাতক পাস করেই নিয়মিতভাবে কাজ শুরু করেছি।’
কুসুম সিকদার মনে করেন, তাঁর অভিনয়জীবনে গহীনে শব্দ ভিন্নমাত্রা দান করেছে। যাঁরা এই চলচ্চিত্র দেখেছেন, সবাই কুসুম সিকদারের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন।
‘এই দীর্ঘ পথচলা সম্ভব হয়েছে স্বামী ও শাশুড়ির জন্য। নানাভাবে তাঁরা আমাকে সমর্থন ও অনুপ্রাণিত করেছেন। বিয়ের আগে যা পেয়েছিলাম মা-বাবার কাছ থেকে।’ লালটিপ দেখে দর্শক কী বলেন, তা নিয়েই এখন প্রতীক্ষা কুসুম সিকদারের।
No comments