সহিংস কর্মসূচি গ্রহণযোগ্য নয়-আবার হরতাল
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা যে হরতাল আহ্বান করেছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠবে। গতকাল দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
দলীয়ভাবে কর্মসূচি নেওয়া হলেও জোটগতভাবে হরতাল পালনেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। আগের দিন চারদলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘাত ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। জামায়াতের কর্মীরা পুলিশের পাঁচটিসহ মোট ১৩টি গাড়িতে আগুন দিয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন বহু নেতা-কর্মী। এ ঘটনার সঙ্গে আগামীকালের হরতালের যোগসূত্র রয়েছে কি না, সে প্রশ্নটিও তাই স্বাভাবিক কারণেই উঠে এসেছে।
যেকোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে। কিন্তু সেই কর্মসূচি হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক। তাদের এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া উচিত নয়, যাতে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছেও সংযত আচরণই কাম্য। অনেক সময়ে তাঁদের বাড়াবাড়ির কারণেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিএনপি হরতাল ডাকার কারণ হিসেবে জ্বালানির দাম বাড়ানোর কথা বলেছে। জ্বালানির দাম বাড়লে জনজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে, সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে সরকার পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে, যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে প্রতিটি মানুষের ওপর। সরকারও অবশ্য দাম বাড়ানোর পক্ষে কিছু যুক্তি হাজির করেছে। সেই সব যুক্তি বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য মনে না হলে তারা এর প্রতিবাদ জানাবে। তবে সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি হতে হবে শান্তিপূর্ণ। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া উচিত নয়, যাতে দেশ অচল হয়ে পড়ে, জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হয়।
আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, হরতাল-অবরোধ কখনো শান্তিপূর্ণ হয় না। ইদানীং হরতাল নিয়ে আরও উদ্বেগের কারণ হলো বাসে আগুন দেওয়া। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই এক শ্রেণীর দলীয় কর্মী এই ধ্বংসাত্মক কাজ করে থাকে, যাতে পরদিন কেউ গাড়ি বের করতে সাহস না পান। এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড কেবল অমানবিক নয়, শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মাত্র কয়েক দিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার সমাবেশ থেকে দলীয় চেয়ারপারসন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন এবং তা হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ২৭ সেপ্টেম্বরের আগেই কেন হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়া হলো? বিএনপি বলছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে জনদুর্ভোগ বাড়বে। কিন্তু হরতাল করলে তো সেই দুর্ভোগ আরও বাড়বে, মানুষের রুটিরুজির পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
আমরা বরাবরই হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচির বিরোধিতা করে আসছি। বিরোধী দলের কাছে আমাদের আহ্বান, হরতালের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় না, এমন কর্মসূচি দিন। দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সবাইকে।
যেকোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে। কিন্তু সেই কর্মসূচি হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক। তাদের এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া উচিত নয়, যাতে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছেও সংযত আচরণই কাম্য। অনেক সময়ে তাঁদের বাড়াবাড়ির কারণেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিএনপি হরতাল ডাকার কারণ হিসেবে জ্বালানির দাম বাড়ানোর কথা বলেছে। জ্বালানির দাম বাড়লে জনজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে, সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে সরকার পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে, যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে প্রতিটি মানুষের ওপর। সরকারও অবশ্য দাম বাড়ানোর পক্ষে কিছু যুক্তি হাজির করেছে। সেই সব যুক্তি বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য মনে না হলে তারা এর প্রতিবাদ জানাবে। তবে সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি হতে হবে শান্তিপূর্ণ। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া উচিত নয়, যাতে দেশ অচল হয়ে পড়ে, জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হয়।
আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, হরতাল-অবরোধ কখনো শান্তিপূর্ণ হয় না। ইদানীং হরতাল নিয়ে আরও উদ্বেগের কারণ হলো বাসে আগুন দেওয়া। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই এক শ্রেণীর দলীয় কর্মী এই ধ্বংসাত্মক কাজ করে থাকে, যাতে পরদিন কেউ গাড়ি বের করতে সাহস না পান। এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড কেবল অমানবিক নয়, শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মাত্র কয়েক দিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার সমাবেশ থেকে দলীয় চেয়ারপারসন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন এবং তা হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ২৭ সেপ্টেম্বরের আগেই কেন হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়া হলো? বিএনপি বলছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে জনদুর্ভোগ বাড়বে। কিন্তু হরতাল করলে তো সেই দুর্ভোগ আরও বাড়বে, মানুষের রুটিরুজির পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
আমরা বরাবরই হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচির বিরোধিতা করে আসছি। বিরোধী দলের কাছে আমাদের আহ্বান, হরতালের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় না, এমন কর্মসূচি দিন। দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সবাইকে।
No comments