আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থাই পথ-ভয় ছড়ানো ভূমিকম্প
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকা যেভাবে ঝাঁকুনি খেয়েছে, তা সবার মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছে। ভূমিকম্পের এ ধরনের কাঁপুনির অভিজ্ঞতা দেশবাসীর একেবারেই ছিল না। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস জানতে না পারায় সতর্ক হওয়ারও সুযোগ নেই।
ভূমিকম্পের মাত্রা ও দীর্ঘ সময় ধরে কাঁপুনি—সব মিলিয়েই রোববারের ভূমিকম্পটি দেশবাসীর জন্য ছিল এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা জারি রাখাই এই দুর্যোগ সামাল দেওয়ার একমাত্র উপায়। রোববার সন্ধ্যার ভূমিকম্পটি একটি সতর্কবার্তা হিসেবে পুরোনো বিষয়টিই আবার সামনে নিয়ে এসেছে।
দেশের সব ভবন ও ইমারত একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ভূমিকম্পসহ হিসেবে নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে এর ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের দেশে এমন অসংখ্য ভবন রয়েছে, যেগুলো নিয়মনীতি মেনে তৈরি হয়নি। অথচ ভূমিকম্প ও ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ভবন নির্মাণের জন্য একটি বিল্ডিং কোডও দেশে কার্যকর রয়েছে। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, অথচ বিল্ডিং কোড মেনে চলতে যত অস্বীকৃতি! যাঁরা ভবন নির্মাণ করেন, তাঁদের যেমন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই কোড মেনে চলা উচিত, তেমনি সরকারের দায়িত্ব সবাইকে এই কোড মেনে চলতে বাধ্য করা। এই ভূমিকম্প কি দুই পক্ষকেই বিষয়টির প্রতি মনোযোগী করে তুলবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডোবা-খাল ভরাট করে যেসব জায়গায় ভবন তৈরি হয়েছে, সেসব ভবনের ঝুঁকি বেশি। কিন্তু খাল-জলাশয় ভরাট করে জমি বানানো ও ভবন নির্মাণ কি থেমে আছে? গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক দফা ভূমিকম্প হয়েছে। প্রতিবারই এসব প্রসঙ্গ আলোচনায় এসেছে। কিন্তু এসব অপকর্ম থেমে থাকেনি, থাকছে না। ভূমিকম্প ঠেকানো সম্ভব নয়, কিন্তু জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণ তো আমরা ঠেকাতে পারি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই ঢাকার জন্য একটি বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) করা হলেও স্বার্থান্বেষী মহলের বিরোধিতায় এর বাস্তবায়ন থমকে আছে। এ ধরনের আতঙ্কজনক ভূমিকম্পের পরও কি ড্যাপ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকার নিষ্ক্রিয় থাকবে?
ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে। তাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর নানা উদ্যোগ যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি ভূমিকম্প ঘটে গেলে কীভাবে উদ্ধারকাজ চলবে, তার প্রস্তুতির বিষয়টিও। দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত ও যন্ত্রপাতিতে সুসজ্জিত রাখা দরকার, যাতে প্রয়োজনে তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। ফায়ার সার্ভিসের বর্তমান সক্ষমতার বিষয়টি পর্যালোচনা করে, ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করে তা পূরণে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার সন্ধ্যার এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভারতের সিকিম। শুধু বাংলাদেশ নয়, এই ভূমিকম্প কাঁপিয়েছে ভারতের বিভিন্ন স্থানসহ নেপাল ও ভুটানকে। এই দেশগুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিভিন্ন খবর বের হতে শুরু করেছে। বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি রইল আমাদের গভীর শোক ও সমবেদনা।
দেশের সব ভবন ও ইমারত একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ভূমিকম্পসহ হিসেবে নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে এর ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের দেশে এমন অসংখ্য ভবন রয়েছে, যেগুলো নিয়মনীতি মেনে তৈরি হয়নি। অথচ ভূমিকম্প ও ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ভবন নির্মাণের জন্য একটি বিল্ডিং কোডও দেশে কার্যকর রয়েছে। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, অথচ বিল্ডিং কোড মেনে চলতে যত অস্বীকৃতি! যাঁরা ভবন নির্মাণ করেন, তাঁদের যেমন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই কোড মেনে চলা উচিত, তেমনি সরকারের দায়িত্ব সবাইকে এই কোড মেনে চলতে বাধ্য করা। এই ভূমিকম্প কি দুই পক্ষকেই বিষয়টির প্রতি মনোযোগী করে তুলবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডোবা-খাল ভরাট করে যেসব জায়গায় ভবন তৈরি হয়েছে, সেসব ভবনের ঝুঁকি বেশি। কিন্তু খাল-জলাশয় ভরাট করে জমি বানানো ও ভবন নির্মাণ কি থেমে আছে? গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক দফা ভূমিকম্প হয়েছে। প্রতিবারই এসব প্রসঙ্গ আলোচনায় এসেছে। কিন্তু এসব অপকর্ম থেমে থাকেনি, থাকছে না। ভূমিকম্প ঠেকানো সম্ভব নয়, কিন্তু জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণ তো আমরা ঠেকাতে পারি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই ঢাকার জন্য একটি বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) করা হলেও স্বার্থান্বেষী মহলের বিরোধিতায় এর বাস্তবায়ন থমকে আছে। এ ধরনের আতঙ্কজনক ভূমিকম্পের পরও কি ড্যাপ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকার নিষ্ক্রিয় থাকবে?
ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে। তাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর নানা উদ্যোগ যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি ভূমিকম্প ঘটে গেলে কীভাবে উদ্ধারকাজ চলবে, তার প্রস্তুতির বিষয়টিও। দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত ও যন্ত্রপাতিতে সুসজ্জিত রাখা দরকার, যাতে প্রয়োজনে তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। ফায়ার সার্ভিসের বর্তমান সক্ষমতার বিষয়টি পর্যালোচনা করে, ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করে তা পূরণে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার সন্ধ্যার এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভারতের সিকিম। শুধু বাংলাদেশ নয়, এই ভূমিকম্প কাঁপিয়েছে ভারতের বিভিন্ন স্থানসহ নেপাল ও ভুটানকে। এই দেশগুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিভিন্ন খবর বের হতে শুরু করেছে। বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি রইল আমাদের গভীর শোক ও সমবেদনা।
No comments