নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিন-সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
বৃহস্পতিবার সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কার কাজে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, কার কাজে অসন্তুষ্ট হয়েছেন, তার চেয়ে উদ্দীপক হলো, বৈঠকে উপস্থিত ৪৮ জন সচিবের মধ্যে ২৪ জনই বক্তব্য দিয়েছেন।
সেই বক্তব্য পুরোপুরি গণমাধ্যমে না এলেও সচিবেরা যেসব সমস্যা তুলে ধরেছেন, নীতিনির্ধারকদের তা আমলে নেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সচিবদের দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন, সে বিষয়ে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাস্তব সমস্যাগুলো দূর করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান নিষ্ফল রোদনে পরিণত হতে বাধ্য।
সচিবেরা মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মালিক নন। সিদ্ধান্ত নেন মন্ত্রী। তিনি যদি সিদ্ধান্ত না দেন, তাহলে সচিব মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করবেন কীভাবে? অনেক ক্ষেত্রে মন্ত্রীও সিদ্ধান্ত নেন না, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির অপেক্ষায় থাকেন। সে ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও সচিবদের তেমন করণীয় নেই। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই সচিবদের কাজের জবাবদিহি চেয়েছেন। যেকোনো জনপ্রতিনিধিত্ব সরকারের প্রধান তা-ই চাইবেন। তবে জবাবদিহির পাশাপাশি সচিবদের হাতে বিধিমাফিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্বও দিতে হবে। মন্ত্রী-সচিবের কাজে সমন্বয় থাকতে হবে। মন্ত্রীরা সবকিছু দলীয় দৃষ্টিতে দেখলে সচিব বা তাঁদের অধস্তনেরা কাজ করতে পারবেন না।
বৈঠকে সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি অগ্রাধিকার না দেওয়া নিয়েও আলোচনা হয়। এসব মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়, যা আসতে হবে মন্ত্রীর কাছ থেকেই। সচিবদের জবাবদিহির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। মন্ত্রীরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে সব কাজে প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয় না। যোগাযোগমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ত ৎপরতায় মনে হচ্ছে, গত আড়াই বছর তিনি কুম্ভকর্ণের ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। এ কথা সরকারের আরও অনেক মন্ত্রীর বেলায় প্রযোজ্য। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর এই নির্দেশনাকে স্বাগত জানাই। সেই সঙ্গে যেসব ক্ষমতাধর ব্যক্তি এত দিন পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
জনপ্রশাসনের দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়াতে হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে হবে। কেউ আইন বা বিধি লঙ্ঘন করলে সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু রাজনৈতিক ও দলীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটুকু নিশ্চয়তা পেলে সচিব এবং তাঁর অধীন সরকারি কর্মকর্তারা নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।
যথাসময়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনো দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। বিশ্বব্যাংকের আপত্তির আগে এ বিষয়ে তদন্ত হলে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পেত। এখনো সময় আছে, কারও ব্যক্তিগত সুবিধা বা একগুঁয়েমির জন্য দেশের বৃহত্তম এই প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হোক—তা কাম্য নয়।
সচিবেরা মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মালিক নন। সিদ্ধান্ত নেন মন্ত্রী। তিনি যদি সিদ্ধান্ত না দেন, তাহলে সচিব মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করবেন কীভাবে? অনেক ক্ষেত্রে মন্ত্রীও সিদ্ধান্ত নেন না, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির অপেক্ষায় থাকেন। সে ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও সচিবদের তেমন করণীয় নেই। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই সচিবদের কাজের জবাবদিহি চেয়েছেন। যেকোনো জনপ্রতিনিধিত্ব সরকারের প্রধান তা-ই চাইবেন। তবে জবাবদিহির পাশাপাশি সচিবদের হাতে বিধিমাফিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্বও দিতে হবে। মন্ত্রী-সচিবের কাজে সমন্বয় থাকতে হবে। মন্ত্রীরা সবকিছু দলীয় দৃষ্টিতে দেখলে সচিব বা তাঁদের অধস্তনেরা কাজ করতে পারবেন না।
বৈঠকে সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি অগ্রাধিকার না দেওয়া নিয়েও আলোচনা হয়। এসব মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়, যা আসতে হবে মন্ত্রীর কাছ থেকেই। সচিবদের জবাবদিহির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। মন্ত্রীরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে সব কাজে প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয় না। যোগাযোগমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ত ৎপরতায় মনে হচ্ছে, গত আড়াই বছর তিনি কুম্ভকর্ণের ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। এ কথা সরকারের আরও অনেক মন্ত্রীর বেলায় প্রযোজ্য। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর এই নির্দেশনাকে স্বাগত জানাই। সেই সঙ্গে যেসব ক্ষমতাধর ব্যক্তি এত দিন পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
জনপ্রশাসনের দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়াতে হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে হবে। কেউ আইন বা বিধি লঙ্ঘন করলে সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু রাজনৈতিক ও দলীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটুকু নিশ্চয়তা পেলে সচিব এবং তাঁর অধীন সরকারি কর্মকর্তারা নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।
যথাসময়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনো দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। বিশ্বব্যাংকের আপত্তির আগে এ বিষয়ে তদন্ত হলে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পেত। এখনো সময় আছে, কারও ব্যক্তিগত সুবিধা বা একগুঁয়েমির জন্য দেশের বৃহত্তম এই প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হোক—তা কাম্য নয়।
No comments