অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবসা-বাংলাদেশের কিডনি বাজার by মনির মনিরুজ্জামান
বাংলাদেশের কিডনি বাজারটি গত এক দশকের বেশি সময় ধরে সক্রিয় রয়েছে। এ বাজারের মূল চালিকাশক্তি হলো কিডনি ক্রেতা-বিক্রেতা, দালাল, চিকিৎসক ও ব্যবসায়ী। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের সরকার মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের আইনটি পাস করে।
এই আইনে বলা হয়েছে, মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং এ-সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না। যদি কেউ এই আইন অমান্য করে, তবে তার তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত জেল অথবা তিন লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। এই আইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে কিডনি কেনাবেচা প্রতিদিন বাড়ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ সাফল্যের সঙ্গে প্রধান কিডনির দালালদের গ্রেপ্তার করেছে (প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সকালের খবর দেখুন)। যেহেতু আমি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি কেনাবেচার ওপর গবেষণা করছি, আমি এ বিষয়ে পত্রিকায় লেখার তাগিদ অনুভব করলাম। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে আমি বাংলাদেশে কিডনি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত এই তিনজন দালালসহ ৩৩ জন কিডনি বিক্রেতা, বহু কিডনি রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলি। আমি বাংলাদেশের কিডনির বাজারের একটি ভয়াবহ চিত্র পাই, যা স্পষ্টভাবে মানবাধিকারের পরিপন্থী।
বাংলাদেশের কিডনির দালালেরা তাদের নেটওয়ার্ক গ্রাম থেকে শহর এবং শহর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এসব দালাল চতুরতার সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে বলে যে কিডনি দেওয়া একটি লাভজনক, সহজ এবং মহৎ কাজ। যখন দরিদ্র লোকগুলো এ প্রলোভনে পড়ে, তখন দালালেরা তাদের কিডনিগুলো ধনী ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। আমার গবেষণায় আমি দেখি, দালাল তারেক এ চক্রের মূল হোতা। সে কখনো কখনো ক্রেতাদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা গ্রহণ করেছে কিন্তু দরিদ্র বিক্রেতাকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে (যদিও সে এক লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল)। আমি আরও দেখেছি, এক দালাল এবং তার দুই ভাড়াটে মাস্তান একজন কিডনি বিক্রেতাকে মারধর করে। কারণ, বিক্রেতা ভারতে যাওয়ার পর আর কিডনি বিক্রি করতে রাজি হয়নি। দরিদ্র বিক্রেতাগুলো কখনোই তারেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কারণ, তারেক সমাজের উচ্চবিত্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যুক্ত।
বাংলাদেশে কিডনির চাহিদা বাড়ছে। কারণ, বহু ধনী ও মধ্যবিত্ত কিডনি রোগী তাদের নিজেদের আত্মীয়ের কাছ থেকে কিডনি গ্রহণ করছে না। কারণ, কিডনি দেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য তারা দরিদ্র তরুণদের তাজা কিডনি কেনার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিডনির ক্রেতাদের কাছে জানতে চাইলাম, তাদের কিডনি কেনার কারণ—তারা আমাকে বেশির ভাগ সময় মিথ্যা কথা বলল যে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে টিস্যু মেলাতে পারেনি। কিন্তু আমি তথ্য পেলাম যে ধনী রোগীরা পরিবারের কাছ থেকে কিডনি না নিয়ে কখনো কখনো দুটি কিডনিও কিনেছে। কারণ, তাদের প্রথম কিডনি সংযোজনটি সফল হয়নি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের একটিও কিডনি ক্রেতা ধরা পড়েনি, যারা এই অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত। কিডনি-বাণিজ্যে ডাক্তারদের সম্পৃক্ততা আমাকে সবচেয়ে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ, ডাক্তারদের কোনো না কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া এই কাজ করা অসম্ভব।
এভাবে দালাল, ক্রেতা ও চিকিৎসকেরা এ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কিডনিগুলো কেটে নিচ্ছেন এবং এর মাশুল দরিদ্র লোকগুলোকে বহন করতে হচ্ছে। যখন চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে যে প্রতি তিন হাজার কিডনি দাতার ক্ষেত্রে একজন করে মারা যাচ্ছে, আমি আমার গবেষণায় একটি বেদনাদায়ক চিত্র পেলাম। বাংলাদেশের কিডনি দাতারা তাদের কিডনি বিক্রির কথা লুকিয়ে রাখছে। কারণ, একজন কিডনি বিক্রেতা আমাকে জানাল যে সে প্রায়ই একা একা অন্ধকারে বসে থাকে এবং আত্মহত্যার কথা ভাবে। এ ছাড়া আমার গবেষণার ৮০ শতাংশ কিডনি বিক্রেতা তাদের সম্পূর্ণ টাকা পায়নি। তা ছাড়া এসব বিক্রেতা ব্যথা, দুর্বলতা, ওজন কম এবং প্রতিনিয়ত রোগের সঙ্গে লড়াই করছে। তবু এ পর্যন্ত একজন বিক্রেতাও কিডনি দেওয়ার পর কোনো চিকিৎসাসেবা পায়নি।
এ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী যখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি রোগে আক্রান্ত, তারা কিডনি সংযোজন তো দূরে থাক, এমনকি ডায়ালাইসিসের কোনো সুযোগ পাচ্ছে না, বরং তাদের দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ধনীরা কেড়ে নিচ্ছে জীবনকে বর্ধিত করার জন্য। নিঃসন্দেহে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেড়ে নেওয়া মানবাধিকারের পরিপন্থী। দরিদ্র লোকগুলোর দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধরে রাখার সমান অধিকার রয়েছে। এ সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের বেঁচে থাকার জন্য একান্ত জরুরি।
সাম্প্রতিক সময়ে ইস্তাম্বুলে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেচাকেনার বিরুদ্ধে যে সম্মেলন হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে প্রতিটি দেশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেওয়া এবং প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে আইনগত এবং পেশাগত কাঠামো গড়ে তুলবে এবং একই সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে, যা এই অনৈতিক ব্যবসাকে বন্ধ করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখন আমাদের যে বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে সেগুলো হলো—
১. মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনাবেচার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কিডনি গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা।
২. মৃত্যু-পরবর্তী কিডনি দানের ক্ষেত্রে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ জন্য একটি সফল ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৩. জাতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের একটি রেজিস্ট্রি সেল গড়ে তোলা, যা দাতা ও গ্রহীতার তথ্য লিপিবদ্ধ করবে এবং এটি জনগণের জন্য খোলা থাকবে।
৪. একটি জাতীয় কমিটি গড়ে তোলা, যারা কিডনি দাতা ও গ্রহীতার তথ্য-উপাত্তগুলো যাচাই করবে এবং কিডনি সংযোজনের জন্য অনুমতি দেবে।
৫. কিডনি-বাণিজ্যে যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। আমাদের মনে রাখতে হবে, এ দরিদ্র লোকগুলোকে বাঁচানো আমাদের সবার দায়িত্ব।
ড. মনির মনিরুজ্জামান: সহকারী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি, মিশিগান, আমেরিকা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ সাফল্যের সঙ্গে প্রধান কিডনির দালালদের গ্রেপ্তার করেছে (প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সকালের খবর দেখুন)। যেহেতু আমি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি কেনাবেচার ওপর গবেষণা করছি, আমি এ বিষয়ে পত্রিকায় লেখার তাগিদ অনুভব করলাম। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে আমি বাংলাদেশে কিডনি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত এই তিনজন দালালসহ ৩৩ জন কিডনি বিক্রেতা, বহু কিডনি রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলি। আমি বাংলাদেশের কিডনির বাজারের একটি ভয়াবহ চিত্র পাই, যা স্পষ্টভাবে মানবাধিকারের পরিপন্থী।
বাংলাদেশের কিডনির দালালেরা তাদের নেটওয়ার্ক গ্রাম থেকে শহর এবং শহর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এসব দালাল চতুরতার সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে বলে যে কিডনি দেওয়া একটি লাভজনক, সহজ এবং মহৎ কাজ। যখন দরিদ্র লোকগুলো এ প্রলোভনে পড়ে, তখন দালালেরা তাদের কিডনিগুলো ধনী ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। আমার গবেষণায় আমি দেখি, দালাল তারেক এ চক্রের মূল হোতা। সে কখনো কখনো ক্রেতাদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা গ্রহণ করেছে কিন্তু দরিদ্র বিক্রেতাকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে (যদিও সে এক লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল)। আমি আরও দেখেছি, এক দালাল এবং তার দুই ভাড়াটে মাস্তান একজন কিডনি বিক্রেতাকে মারধর করে। কারণ, বিক্রেতা ভারতে যাওয়ার পর আর কিডনি বিক্রি করতে রাজি হয়নি। দরিদ্র বিক্রেতাগুলো কখনোই তারেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কারণ, তারেক সমাজের উচ্চবিত্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যুক্ত।
বাংলাদেশে কিডনির চাহিদা বাড়ছে। কারণ, বহু ধনী ও মধ্যবিত্ত কিডনি রোগী তাদের নিজেদের আত্মীয়ের কাছ থেকে কিডনি গ্রহণ করছে না। কারণ, কিডনি দেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য তারা দরিদ্র তরুণদের তাজা কিডনি কেনার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিডনির ক্রেতাদের কাছে জানতে চাইলাম, তাদের কিডনি কেনার কারণ—তারা আমাকে বেশির ভাগ সময় মিথ্যা কথা বলল যে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে টিস্যু মেলাতে পারেনি। কিন্তু আমি তথ্য পেলাম যে ধনী রোগীরা পরিবারের কাছ থেকে কিডনি না নিয়ে কখনো কখনো দুটি কিডনিও কিনেছে। কারণ, তাদের প্রথম কিডনি সংযোজনটি সফল হয়নি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের একটিও কিডনি ক্রেতা ধরা পড়েনি, যারা এই অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত। কিডনি-বাণিজ্যে ডাক্তারদের সম্পৃক্ততা আমাকে সবচেয়ে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ, ডাক্তারদের কোনো না কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া এই কাজ করা অসম্ভব।
এভাবে দালাল, ক্রেতা ও চিকিৎসকেরা এ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কিডনিগুলো কেটে নিচ্ছেন এবং এর মাশুল দরিদ্র লোকগুলোকে বহন করতে হচ্ছে। যখন চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে যে প্রতি তিন হাজার কিডনি দাতার ক্ষেত্রে একজন করে মারা যাচ্ছে, আমি আমার গবেষণায় একটি বেদনাদায়ক চিত্র পেলাম। বাংলাদেশের কিডনি দাতারা তাদের কিডনি বিক্রির কথা লুকিয়ে রাখছে। কারণ, একজন কিডনি বিক্রেতা আমাকে জানাল যে সে প্রায়ই একা একা অন্ধকারে বসে থাকে এবং আত্মহত্যার কথা ভাবে। এ ছাড়া আমার গবেষণার ৮০ শতাংশ কিডনি বিক্রেতা তাদের সম্পূর্ণ টাকা পায়নি। তা ছাড়া এসব বিক্রেতা ব্যথা, দুর্বলতা, ওজন কম এবং প্রতিনিয়ত রোগের সঙ্গে লড়াই করছে। তবু এ পর্যন্ত একজন বিক্রেতাও কিডনি দেওয়ার পর কোনো চিকিৎসাসেবা পায়নি।
এ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী যখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি রোগে আক্রান্ত, তারা কিডনি সংযোজন তো দূরে থাক, এমনকি ডায়ালাইসিসের কোনো সুযোগ পাচ্ছে না, বরং তাদের দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ধনীরা কেড়ে নিচ্ছে জীবনকে বর্ধিত করার জন্য। নিঃসন্দেহে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেড়ে নেওয়া মানবাধিকারের পরিপন্থী। দরিদ্র লোকগুলোর দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধরে রাখার সমান অধিকার রয়েছে। এ সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের বেঁচে থাকার জন্য একান্ত জরুরি।
সাম্প্রতিক সময়ে ইস্তাম্বুলে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেচাকেনার বিরুদ্ধে যে সম্মেলন হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে প্রতিটি দেশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেওয়া এবং প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে আইনগত এবং পেশাগত কাঠামো গড়ে তুলবে এবং একই সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে, যা এই অনৈতিক ব্যবসাকে বন্ধ করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখন আমাদের যে বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে সেগুলো হলো—
১. মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনাবেচার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কিডনি গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা।
২. মৃত্যু-পরবর্তী কিডনি দানের ক্ষেত্রে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ জন্য একটি সফল ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৩. জাতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের একটি রেজিস্ট্রি সেল গড়ে তোলা, যা দাতা ও গ্রহীতার তথ্য লিপিবদ্ধ করবে এবং এটি জনগণের জন্য খোলা থাকবে।
৪. একটি জাতীয় কমিটি গড়ে তোলা, যারা কিডনি দাতা ও গ্রহীতার তথ্য-উপাত্তগুলো যাচাই করবে এবং কিডনি সংযোজনের জন্য অনুমতি দেবে।
৫. কিডনি-বাণিজ্যে যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। আমাদের মনে রাখতে হবে, এ দরিদ্র লোকগুলোকে বাঁচানো আমাদের সবার দায়িত্ব।
ড. মনির মনিরুজ্জামান: সহকারী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি, মিশিগান, আমেরিকা।
No comments