দুর্নীতিগ্রস্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে-ভিজিএফ কার্ড দুর্নীতি
গরিবের খাদ্য নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের উদ্বেগজনক প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারের তরফে রুটিন প্রতিক্রিয়া দেখানো দুঃখজনক। গত ৮ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের ওপর পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা যায়,
দলীয় লোকদের দুর্নীতির কারণে ওই অঞ্চলের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের কাছে ঠিকমতো খাদ্যসহায়তা পৌঁছায়নি। কেউ যদি এই ফলাফলের ভিত্তিতে সমগ্র দেশের চিত্র কল্পনা করতে চান, তাহলে তাঁর বিচলিত হওয়াই স্বাভাবিক।
বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে যে ১০টি কর্মসূচি দেশব্যাপী বিস্তৃত, তার অন্যতম হলো ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) বা অরক্ষিত শ্রেণীকে খাদ্য জোগানো। ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া এই প্রকল্প নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বর ও যখন যে দল ক্ষমতায়, তাদের লোকজনের সংশ্লিষ্টতায় দুর্নীতির ডালপালার বিস্তার ঘটে। কিন্তু এবারের নমুনা-সমীক্ষাটি উদ্বেগজনক। কারণ, সাতটি গ্রামের মধ্যে ছয়টি গ্রামের গরিব মানুষ কোনো কার্ডই পায়নি। একটি গ্রামের এক হাজার পরিবার কাগজে-কলমে কার্ড পায়। দুর্নীতিগ্রস্ত দলীয় বিবেচনায় ভাগাভাগি হয়েছে ৬০০ কার্ড। এসব কার্ডের প্রাপক হিসেবে যাদের নাম তালিকায় উঠেছে, তারা কেউ খাদ্যসহায়তা পায়নি।
ভিজিএফ কার্ডগ্রহীতাদের এমন বঞ্চনা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। দুর্নীতির এই দালিলিক প্রমাণ পাওয়ার পরও সরকারের বিকার নেই। খাদ্যমন্ত্রীর দায়সারা উক্তি: সরকার বিষয়টি তদন্ত করবে। ৮ সেপ্টেম্বর তাঁর ওই মন্তব্যের সপ্তাহকাল পেরিয়ে যাওয়ার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বহাল তবিয়াতে। অভিযুক্ত এক ইউপি চেয়ারম্যান উল্টো গরিব মানুষকেই দুর্নীতিবাজ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই ঔদ্ধত্য তাঁরা কোথায় পান?
পাঁচ কোটি হতদরিদ্রের মধ্যে চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাত্র ১৩ শতাংশ এবং ভাতা পাওয়ার যোগ্য জনগোষ্ঠীর ৩৩ শতাংশকে এ পর্যন্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মধ্যে আনা সম্ভব হয়েছে। সারা দেশের অবস্থাটি মনোহরপুরের মতো শোচনীয় না হলেও সার্বিক চিত্রটি আতঙ্কজনক। সরকারের উচিত নিরপেক্ষ কোনো সংস্থাকে দিয়ে কর্মসূচিটি তদন্ত করানো এবং সেই অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। মনোহরপুরের ভিজিএফ কার্ডের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক—এটাই আমাদের দাবি।
বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে যে ১০টি কর্মসূচি দেশব্যাপী বিস্তৃত, তার অন্যতম হলো ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) বা অরক্ষিত শ্রেণীকে খাদ্য জোগানো। ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া এই প্রকল্প নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বর ও যখন যে দল ক্ষমতায়, তাদের লোকজনের সংশ্লিষ্টতায় দুর্নীতির ডালপালার বিস্তার ঘটে। কিন্তু এবারের নমুনা-সমীক্ষাটি উদ্বেগজনক। কারণ, সাতটি গ্রামের মধ্যে ছয়টি গ্রামের গরিব মানুষ কোনো কার্ডই পায়নি। একটি গ্রামের এক হাজার পরিবার কাগজে-কলমে কার্ড পায়। দুর্নীতিগ্রস্ত দলীয় বিবেচনায় ভাগাভাগি হয়েছে ৬০০ কার্ড। এসব কার্ডের প্রাপক হিসেবে যাদের নাম তালিকায় উঠেছে, তারা কেউ খাদ্যসহায়তা পায়নি।
ভিজিএফ কার্ডগ্রহীতাদের এমন বঞ্চনা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। দুর্নীতির এই দালিলিক প্রমাণ পাওয়ার পরও সরকারের বিকার নেই। খাদ্যমন্ত্রীর দায়সারা উক্তি: সরকার বিষয়টি তদন্ত করবে। ৮ সেপ্টেম্বর তাঁর ওই মন্তব্যের সপ্তাহকাল পেরিয়ে যাওয়ার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বহাল তবিয়াতে। অভিযুক্ত এক ইউপি চেয়ারম্যান উল্টো গরিব মানুষকেই দুর্নীতিবাজ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই ঔদ্ধত্য তাঁরা কোথায় পান?
পাঁচ কোটি হতদরিদ্রের মধ্যে চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাত্র ১৩ শতাংশ এবং ভাতা পাওয়ার যোগ্য জনগোষ্ঠীর ৩৩ শতাংশকে এ পর্যন্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মধ্যে আনা সম্ভব হয়েছে। সারা দেশের অবস্থাটি মনোহরপুরের মতো শোচনীয় না হলেও সার্বিক চিত্রটি আতঙ্কজনক। সরকারের উচিত নিরপেক্ষ কোনো সংস্থাকে দিয়ে কর্মসূচিটি তদন্ত করানো এবং সেই অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। মনোহরপুরের ভিজিএফ কার্ডের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক—এটাই আমাদের দাবি।
No comments