সরকারের ব্যয় কমাতে হবে-জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির চাপ
সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা নির্বাহের ব্যয় সহনীয় সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতির চাপও আরেক দফা বাড়বে—অর্থনীতিবিদেরা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
সে ক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের মানুষ তো বটেই, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জীবনযাপনও বড় আর্থিক চাপের মুখে পড়বে। এই পরিস্থিতি সরকার সামাল দেবে কী করে?
সংবাদপত্রে ইতিমধ্যে লেখা হয়েছে, সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় সৃষ্ট চাপ কমানোর চেষ্টায় যদি এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা জনজীবনে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে, তাহলে শেষ বিচারে সেই পদক্ষেপ কতটা উপকারী, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এতে পরিবহনের খরচ বেড়ে যাবে এটা জানা কথা; কিন্তু এই সুযোগ ব্যবহার করে ট্রাকচালক ও যানবাহনের মালিকেরা তেলের দাম যতটা বেড়েছে, পরিবহনের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছেন তার চেয়ে বেশি। আর এসব অজুহাতে ব্যবসায়ীরাও বাড়িয়ে দিচ্ছেন দাম। তাহলে দেখা যাচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে একাধিক পর্যায়ে। সবজির বাজারে এই প্রভাবটা এখনো কম; কিন্তু অচিরেই যে সবজির দামও আরেক দফা বাড়বে, এটা মোটামুটি ধরে নেওয়া যায়।
সরকারকে এবার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের স্বার্থে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েই বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফ নানা রকম শর্ত আরোপ করে নিজের স্বার্থের কথা ভেবে: সরকারের ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য নিশ্চিত করতে চায় তারা। সরকার নিজেও চায় সেটা নিশ্চিত থাক, জনগণও ঋণগ্রস্ত থাকতে চায় না, যথাসময়ে তা পরিশোধ করতে চায়। এ তিনের সমন্বয় কী করে ঘটানো হয়, সেটাই ভাবনার বিষয়। সরকার জনগণের ওপর চাপ কতটা বাড়াবে, আর কতটা নিজে বহন করবে, সেটা স্থির হওয়া প্রয়োজন। সরকার পরিচালনার ব্যয় বাড়লে বাড়তি অর্থের জোগান দরিদ্র জনগণকেই দিতে হয়। তেলের দাম বাড়িয়ে জীবনযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টির সময় চিন্তা করা উচিত, সেই চাপ লাঘব করার অন্য কোনো উপায় থাকতে পারে কি না, যেমন যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশের ওপর থেকে আমদানিশুল্ক কমানো।
মূল্যস্ফীতির উচ্চমাত্রা লক্ষ করে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশ একটা দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়ে গেছে। এই দুষ্টচক্র থেকে বের হওয়ার একটা পথ হতে পারে সরকারের ব্যয় কমানো। এখন খতিয়ে দেখা প্রয়োজন কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থের অপচয় হচ্ছে, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর সুযোগ রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে অপচয় বন্ধ করা ও ব্যয় সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিতে হবে, নইলে অর্থনৈতিক অবস্থার ধস ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।
সংবাদপত্রে ইতিমধ্যে লেখা হয়েছে, সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় সৃষ্ট চাপ কমানোর চেষ্টায় যদি এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা জনজীবনে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে, তাহলে শেষ বিচারে সেই পদক্ষেপ কতটা উপকারী, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এতে পরিবহনের খরচ বেড়ে যাবে এটা জানা কথা; কিন্তু এই সুযোগ ব্যবহার করে ট্রাকচালক ও যানবাহনের মালিকেরা তেলের দাম যতটা বেড়েছে, পরিবহনের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছেন তার চেয়ে বেশি। আর এসব অজুহাতে ব্যবসায়ীরাও বাড়িয়ে দিচ্ছেন দাম। তাহলে দেখা যাচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে একাধিক পর্যায়ে। সবজির বাজারে এই প্রভাবটা এখনো কম; কিন্তু অচিরেই যে সবজির দামও আরেক দফা বাড়বে, এটা মোটামুটি ধরে নেওয়া যায়।
সরকারকে এবার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের স্বার্থে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েই বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফ নানা রকম শর্ত আরোপ করে নিজের স্বার্থের কথা ভেবে: সরকারের ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য নিশ্চিত করতে চায় তারা। সরকার নিজেও চায় সেটা নিশ্চিত থাক, জনগণও ঋণগ্রস্ত থাকতে চায় না, যথাসময়ে তা পরিশোধ করতে চায়। এ তিনের সমন্বয় কী করে ঘটানো হয়, সেটাই ভাবনার বিষয়। সরকার জনগণের ওপর চাপ কতটা বাড়াবে, আর কতটা নিজে বহন করবে, সেটা স্থির হওয়া প্রয়োজন। সরকার পরিচালনার ব্যয় বাড়লে বাড়তি অর্থের জোগান দরিদ্র জনগণকেই দিতে হয়। তেলের দাম বাড়িয়ে জীবনযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টির সময় চিন্তা করা উচিত, সেই চাপ লাঘব করার অন্য কোনো উপায় থাকতে পারে কি না, যেমন যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশের ওপর থেকে আমদানিশুল্ক কমানো।
মূল্যস্ফীতির উচ্চমাত্রা লক্ষ করে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশ একটা দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়ে গেছে। এই দুষ্টচক্র থেকে বের হওয়ার একটা পথ হতে পারে সরকারের ব্যয় কমানো। এখন খতিয়ে দেখা প্রয়োজন কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থের অপচয় হচ্ছে, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর সুযোগ রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে অপচয় বন্ধ করা ও ব্যয় সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিতে হবে, নইলে অর্থনৈতিক অবস্থার ধস ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।
No comments