শিল্পী আছেন তবু শিল্পীসংকট! by কামরুজ্জামান
ঢাকার ছবিনির্মাতারা শিল্পীসংকটের মধ্যে পড়ে গেছেন। নির্মাতাদের একটাই কথা—নতুন মুখ না আসায় ছবি তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ঢাকাই ছবির বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে এই শিল্পীসংকটের কারণে আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য শিল্পীর অপেক্ষায় নির্মাতারা
কথা হচ্ছিল পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমীর সঙ্গে। তিনি শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও পূর্ণিমাকে নিয়ে দুটি ছবি নির্মাণ করলেন। এরপর আর তাঁকে ছবি বানাতে দেখা যাচ্ছে না কেন?
মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আগামী এপ্রিল মাসে ছবি বানাব। তবে নায়ক-নায়িকা নেব নতুন কাউকে।’
প্রযোজক খসরু চারটি ছবি বানিয়ে দেড় কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়ে এখন আর ছবি বানাতে চাইছেন না। কেন? ‘প্রথমত, ছবি বানানোর মতো নির্ভরযোগ্য শিল্পী নেই। যাঁরা আছেন, তাঁদের নিয়ে তো বানালাম; কিন্তু ফল ভালো পাইনি।’ সাফ জবাব তাঁর।
পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন ছবি বানাতেন আগে যেখানে বছরে দুটি করে, এখন তিনি সরব নন কেন?
‘ছবি যে বানাব, কাকে নিয়ে বানাব? যে গল্প ভাবি, সেই গল্পের শিল্পী নেই। নতুন কাউকে নিয়ে ছবি বানালে প্রযোজক পাই না। তাই সরব হতে পারছি না।’ এভাবেই বললেন তিনি।
আবার কারও কারও মতে, দর্শক নতুন মুখের অপেক্ষায় আছে। যাঁরা আছেন, তাঁদের আসলে এখন আর দেখতে চান না দর্শক—এমন কথা এখন প্রায় নির্মাতাকেই বলতে শোনা যাচ্ছে। ছবি কম নির্মাণ হওয়ার পেছনে এটাকেই একটা বড় কারণ হিসেবে দেখছেন নির্মাতারা। পরিচালকদের সঙ্গে প্রযোজকদেরও একই কথা। প্রযোজক আলমগীর বললেন, ‘শিল্পীসংকটের কারণে প্রায় এক বছর ছবি নির্মাণ করতে পারিনি। তাই অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই এবার নতুন এক জোড়া মুখ নিয়ে নির্মাণ করেছি জীবনে তুমি মরণে তুমি ছবিটি। এখানে জেফ ও শ্রেয়াকে নিয়েছি নায়ক-নায়িকা হিসেবে। নতুনদের নিয়ে কাজ করার সুবিধা একটাই, তাদের প্রচুর শিডিউল পেয়েছি।’
আলমগীরের মতো প্রযোজক জাহাঙ্গীর বললেন, ‘সিনেমার এখন যে অবস্থা, তাতে করে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আর ছবি নির্মাণ করার সাহস পাই না। কাকে নিয়ে ছবি বানাব? ছবি বানিয়ে মুক্তি দেওয়া মানেই ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা নেই। নির্ভরযোগ্য শিল্পী এলেই কেবল ছবি নির্মাণের বিষয়টি ভাবতে পারি।’
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মহম্মদ হাননান বলেন, ‘পরিচালকেরা শিল্পীসংকটের মুখে পড়েছেন। তাই আমরা এফডিসি কর্তৃপক্ষকে বলেছি যে দ্রুত নতুন মুখের কার্যক্রমটি আবার চালু করুন। তা না হলে ছবি নির্মাণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না।’
পরিচালক শাহীন সুমন বললেন, ‘শিল্পীসংকট দূর করতেই মাহী ও বাপ্পীকে নিয়ে শুরু করেছি ভালোবাসার রং নামের একটি ছবি। আমাদের মতো যদি অন্যরাও একইভাবে এগিয়ে আসে, তবে আস্তে আস্তে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যায়।’
নতুন শিল্পীদের নিয়ে ব্যবসায় সমস্যা
সিনেমায় নতুন মুখ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের আগ্রহ খুবই কম। শাকিব খান বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠিত শিল্পী সিনেমায় থাকলে প্রেক্ষাগৃহের মালিক ছবিপ্রতি এক থেকে দুই লাখ পর্যন্ত টাকা দেন। নতুন শিল্পীদের দেখলে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বেশি দিতে চাইছেন না। অথচ একটি ছবির প্রিন্ট করতে পোস্টারসহ খরচ পড়ে লাখ টাকার ওপর। ফলে ছবি মুক্তির সময় প্রযোজককে এফডিসি থেকে প্রিন্ট ছাড়তে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা। ছবি যদি ব্যবসায়িকভাবে সফল না হয়, তখন পুরো টাকাই যাচ্ছে পানিতে। এ কারণে সিনেমা হলের মালিকেরা নতুন শিল্পীদের ছবিতে বেশি টাকা দিয়ে ছবি নিতে চাইছেন না। এ জন্য প্রযোজকেরা নতুন ছেলেমেয়েদের নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ছবি বানাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাই নব্বই দশকে যেখানে মৌসুমী, শাবনূর, সালমান শাহ, পূর্ণিমা, পপি, শাকিল খান, রিয়াজ, ফেরদৌস, কেয়ার মতো নতুন মুখদের নিয়ে এসে দুই দশক চলেছিল ভালোভাবে, এখন আর নতুন কাউকে দেখা যাচ্ছে না। দিন দিন সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে।
শিল্পী কি আসলেই নেই
মুদ্রার এক পিঠে যেমন এই কথাগুলো শোনা যায়, তেমনি মুদ্রার অন্য পিঠের দৃশ্যপটটা ভিন্ন।
একসময়ের পর্দা-কাঁপানো নায়িকা পপির হাতে নতুন কোনো ছবি নেই। একটি-দুটি ছবির কাজ সামান্য বাকি আছে। পপির অফুরন্ত সময় থাকলেও তাঁকে নিয়ে কোনো নির্মাতা কাজ করছেন না। কেন করছেন না, তারও কোনো উত্তর পপির জানা নেই।
রিয়াজ যে সিনেমায় অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, এতে কারও কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু গত এক-দুই বছরে রিয়াজকে নিয়ে খুব কম নির্মাতাই ছবি নির্মাণের কথা ভেবেছেন। অথচ রিয়াজ এখনো সিনেমার যেকোনো কাজেই ছুটে আসেন সবার আগে।
ফেরদৌসকে বলা হয় সিনেমার অসম্ভব লক্ষ্মী একটা ছেলে। এখন পর্যন্ত কেউ বলেনি, ফেরদৌস কোনো দিন কারও শিডিউল ফাঁসিয়েছেন। তার পরও বাণিজ্যিক ছবির নির্মাতারা কী কারণে তাঁর দিক থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা-ও অজানা।
ভাবতেও অবাক লাগে, শাবনূরের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী এখন পুরোপুরি বেকার। বললেন, ‘একধরনের দুষ্টচক্র গুণী শিল্পীদের কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে, যার কারণে আজ এই শূন্যতা মনে হচ্ছে। আসলে কোনো শিল্পীসংকট নেই।’
এদিকে, পূর্ণিমা ও মৌসুমী নতুন করে ছবি হাতে নেওয়া বন্ধ করেছেন। ফলে নায়িকা-সংকটও তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে।
এখন কাজ করছেন অপু বিশ্বাস, সাহারা, শাকিব খান ও মিশা সওদাগর।
অন্যদিকে, সম্ভাবনাময় দুই নায়ক ইমন ও নীরবকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রথম দিকে কাজ করার যে আগ্রহ দেখা দিয়েছিল, তাতেও যেন ভাটা পড়েছে। দুজনের হাতে নির্মাণাধীন ছবি আছে, কিন্তু তাঁদের নিয়ে নতুন করে এখন আর ছবি নির্মাণ করতে দেখা যায় না।
এই যখন অবস্থা, তখন চলচ্চিত্র-শিল্পের কী অবস্থা দাঁড়াতে পারে?
চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম বললেন, ‘এখন শিল্পী যে নেই, তা আমরা বলব না। কিন্তু এমন শিল্পী আমরা পাই না, যে শিল্পীর প্রতি মানুষের প্রচণ্ড আকর্ষণ আছে। শাকিব খান কাজ করছেন, কিন্তু একা তিনি আর কত দিন দর্শক ধরে রাখতে পারবেন। এটা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই আমরা মনে করি যে এখন একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। আমাদের সবাইকে সমন্বিত একটা উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্পী নিয়ে আসতে হবে। প্রযোজকদের উদ্যোগী হতে হবে। তা না হলে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কঠিন একটি কাজ হবে।’
কথা হচ্ছিল পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমীর সঙ্গে। তিনি শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও পূর্ণিমাকে নিয়ে দুটি ছবি নির্মাণ করলেন। এরপর আর তাঁকে ছবি বানাতে দেখা যাচ্ছে না কেন?
মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আগামী এপ্রিল মাসে ছবি বানাব। তবে নায়ক-নায়িকা নেব নতুন কাউকে।’
প্রযোজক খসরু চারটি ছবি বানিয়ে দেড় কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়ে এখন আর ছবি বানাতে চাইছেন না। কেন? ‘প্রথমত, ছবি বানানোর মতো নির্ভরযোগ্য শিল্পী নেই। যাঁরা আছেন, তাঁদের নিয়ে তো বানালাম; কিন্তু ফল ভালো পাইনি।’ সাফ জবাব তাঁর।
পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন ছবি বানাতেন আগে যেখানে বছরে দুটি করে, এখন তিনি সরব নন কেন?
‘ছবি যে বানাব, কাকে নিয়ে বানাব? যে গল্প ভাবি, সেই গল্পের শিল্পী নেই। নতুন কাউকে নিয়ে ছবি বানালে প্রযোজক পাই না। তাই সরব হতে পারছি না।’ এভাবেই বললেন তিনি।
আবার কারও কারও মতে, দর্শক নতুন মুখের অপেক্ষায় আছে। যাঁরা আছেন, তাঁদের আসলে এখন আর দেখতে চান না দর্শক—এমন কথা এখন প্রায় নির্মাতাকেই বলতে শোনা যাচ্ছে। ছবি কম নির্মাণ হওয়ার পেছনে এটাকেই একটা বড় কারণ হিসেবে দেখছেন নির্মাতারা। পরিচালকদের সঙ্গে প্রযোজকদেরও একই কথা। প্রযোজক আলমগীর বললেন, ‘শিল্পীসংকটের কারণে প্রায় এক বছর ছবি নির্মাণ করতে পারিনি। তাই অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই এবার নতুন এক জোড়া মুখ নিয়ে নির্মাণ করেছি জীবনে তুমি মরণে তুমি ছবিটি। এখানে জেফ ও শ্রেয়াকে নিয়েছি নায়ক-নায়িকা হিসেবে। নতুনদের নিয়ে কাজ করার সুবিধা একটাই, তাদের প্রচুর শিডিউল পেয়েছি।’
আলমগীরের মতো প্রযোজক জাহাঙ্গীর বললেন, ‘সিনেমার এখন যে অবস্থা, তাতে করে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আর ছবি নির্মাণ করার সাহস পাই না। কাকে নিয়ে ছবি বানাব? ছবি বানিয়ে মুক্তি দেওয়া মানেই ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা নেই। নির্ভরযোগ্য শিল্পী এলেই কেবল ছবি নির্মাণের বিষয়টি ভাবতে পারি।’
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মহম্মদ হাননান বলেন, ‘পরিচালকেরা শিল্পীসংকটের মুখে পড়েছেন। তাই আমরা এফডিসি কর্তৃপক্ষকে বলেছি যে দ্রুত নতুন মুখের কার্যক্রমটি আবার চালু করুন। তা না হলে ছবি নির্মাণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না।’
পরিচালক শাহীন সুমন বললেন, ‘শিল্পীসংকট দূর করতেই মাহী ও বাপ্পীকে নিয়ে শুরু করেছি ভালোবাসার রং নামের একটি ছবি। আমাদের মতো যদি অন্যরাও একইভাবে এগিয়ে আসে, তবে আস্তে আস্তে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যায়।’
নতুন শিল্পীদের নিয়ে ব্যবসায় সমস্যা
সিনেমায় নতুন মুখ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের আগ্রহ খুবই কম। শাকিব খান বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠিত শিল্পী সিনেমায় থাকলে প্রেক্ষাগৃহের মালিক ছবিপ্রতি এক থেকে দুই লাখ পর্যন্ত টাকা দেন। নতুন শিল্পীদের দেখলে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বেশি দিতে চাইছেন না। অথচ একটি ছবির প্রিন্ট করতে পোস্টারসহ খরচ পড়ে লাখ টাকার ওপর। ফলে ছবি মুক্তির সময় প্রযোজককে এফডিসি থেকে প্রিন্ট ছাড়তে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা। ছবি যদি ব্যবসায়িকভাবে সফল না হয়, তখন পুরো টাকাই যাচ্ছে পানিতে। এ কারণে সিনেমা হলের মালিকেরা নতুন শিল্পীদের ছবিতে বেশি টাকা দিয়ে ছবি নিতে চাইছেন না। এ জন্য প্রযোজকেরা নতুন ছেলেমেয়েদের নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ছবি বানাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাই নব্বই দশকে যেখানে মৌসুমী, শাবনূর, সালমান শাহ, পূর্ণিমা, পপি, শাকিল খান, রিয়াজ, ফেরদৌস, কেয়ার মতো নতুন মুখদের নিয়ে এসে দুই দশক চলেছিল ভালোভাবে, এখন আর নতুন কাউকে দেখা যাচ্ছে না। দিন দিন সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে।
শিল্পী কি আসলেই নেই
মুদ্রার এক পিঠে যেমন এই কথাগুলো শোনা যায়, তেমনি মুদ্রার অন্য পিঠের দৃশ্যপটটা ভিন্ন।
একসময়ের পর্দা-কাঁপানো নায়িকা পপির হাতে নতুন কোনো ছবি নেই। একটি-দুটি ছবির কাজ সামান্য বাকি আছে। পপির অফুরন্ত সময় থাকলেও তাঁকে নিয়ে কোনো নির্মাতা কাজ করছেন না। কেন করছেন না, তারও কোনো উত্তর পপির জানা নেই।
রিয়াজ যে সিনেমায় অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, এতে কারও কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু গত এক-দুই বছরে রিয়াজকে নিয়ে খুব কম নির্মাতাই ছবি নির্মাণের কথা ভেবেছেন। অথচ রিয়াজ এখনো সিনেমার যেকোনো কাজেই ছুটে আসেন সবার আগে।
ফেরদৌসকে বলা হয় সিনেমার অসম্ভব লক্ষ্মী একটা ছেলে। এখন পর্যন্ত কেউ বলেনি, ফেরদৌস কোনো দিন কারও শিডিউল ফাঁসিয়েছেন। তার পরও বাণিজ্যিক ছবির নির্মাতারা কী কারণে তাঁর দিক থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা-ও অজানা।
ভাবতেও অবাক লাগে, শাবনূরের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী এখন পুরোপুরি বেকার। বললেন, ‘একধরনের দুষ্টচক্র গুণী শিল্পীদের কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে, যার কারণে আজ এই শূন্যতা মনে হচ্ছে। আসলে কোনো শিল্পীসংকট নেই।’
এদিকে, পূর্ণিমা ও মৌসুমী নতুন করে ছবি হাতে নেওয়া বন্ধ করেছেন। ফলে নায়িকা-সংকটও তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে।
এখন কাজ করছেন অপু বিশ্বাস, সাহারা, শাকিব খান ও মিশা সওদাগর।
অন্যদিকে, সম্ভাবনাময় দুই নায়ক ইমন ও নীরবকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রথম দিকে কাজ করার যে আগ্রহ দেখা দিয়েছিল, তাতেও যেন ভাটা পড়েছে। দুজনের হাতে নির্মাণাধীন ছবি আছে, কিন্তু তাঁদের নিয়ে নতুন করে এখন আর ছবি নির্মাণ করতে দেখা যায় না।
এই যখন অবস্থা, তখন চলচ্চিত্র-শিল্পের কী অবস্থা দাঁড়াতে পারে?
চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম বললেন, ‘এখন শিল্পী যে নেই, তা আমরা বলব না। কিন্তু এমন শিল্পী আমরা পাই না, যে শিল্পীর প্রতি মানুষের প্রচণ্ড আকর্ষণ আছে। শাকিব খান কাজ করছেন, কিন্তু একা তিনি আর কত দিন দর্শক ধরে রাখতে পারবেন। এটা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই আমরা মনে করি যে এখন একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। আমাদের সবাইকে সমন্বিত একটা উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্পী নিয়ে আসতে হবে। প্রযোজকদের উদ্যোগী হতে হবে। তা না হলে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কঠিন একটি কাজ হবে।’
No comments