বিশ্বব্যাংকের আপত্তি খতিয়ে দেখা হোক-পদ্মা সেতু নির্মাণে বিলম্ব
যে পদ্মা সেতু নির্মাণকে মহাজোট সরকার অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার বিবেচনা করেছিল, পৌনে তিন বছর পর তার কাজ শুরু করতে না পারা ব্যর্থতা হিসেবেই বিবেচিত হবে। সর্বশেষ গোল বেধেছে পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের জন্য যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছিল, তার একটির ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে বৃহত্তম দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পদ্মা সেতু নির্মাণে সৃষ্ট জটিলতার কথা স্বীকার করেছেন। যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, যিনি বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁর কণ্ঠেও হতাশার সুর। সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, এই সরকারের মেয়াদে কাজ শুরু করতে না পারলে তার উত্তরসূরি করবেন।
এর মাধ্যমে দেশবাসী কী বার্তা পেল? বার্তাটি হলো, দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়িত্বটি ঠিকমতো পালন করেননি। পদ্মা সেতু নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হলেও কাজ তেমন হয়নি। সরকারের মেয়াদ শেষের আগে নির্মাণকাজ শুরু হবে, এমন নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না নীতিনির্ধারকেরা। এসএনসি-লাভালিন গ্রুপ নামে যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, সেটি বাদ দিয়েই এখন কাজ শুরু করতে চাইছে সরকার। কিন্তু নিয়োগের আগে তারা সেই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিল না কেন?
বিভিন্ন দেশে বিশ্বব্যাংকের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কেবল উড়ো অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থাটি এত বড় সিদ্ধান্ত নেবে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়ে গেছেন। ২৩ সেপ্টেম্বরে সংস্থার বার্ষিক সভায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতির প্রমাণাদি হাজির করার কথাও বলেছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বাংলাদেশের কাদের যোগসাজশ ছিল, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। যাদের কারণে দেশের বৃহত্তম প্রকল্পের কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার যখন এসএনসি-লাভালিনকে বাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে চাইছে, তখন এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংককে রাজি করানোর দায়িত্বও তাদের নিতে হবে।
পদ্মা সেতু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগই সহজ হবে না, আর্থসামাজিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বরাবরই রয়েছে। যাঁদের ওপর সবার দায়িত্ব অর্পিত হয়, তাঁরা নিজেদের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে ভাবেন।
এ ধরনের প্রকল্পের কাজ এমনভাবে করা প্রয়োজন, যাতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। একই সঙ্গে কাজের দায়িত্ব যাদের দেওয়া হয়েছে, সেই কাজ করার দক্ষতা ও যোগ্যতা আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারও অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে এ রকম একটি বৃহ ৎ প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাবে বা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
জনগণ চায় পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত শুরু হোক। তার আগে এ ক্ষেত্রে যেসব প্রশ্ন আছে, সেগুলোর সদুত্তর পেতে হবে। সরকারের পক্ষে যে মন্ত্রণালয় সেতুর কাজ তদারক করবে, সেই মন্ত্রণালয় এবং শীর্ষ ব্যক্তিদের সম্পর্কে দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোভাবের বিষয়টিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
এর মাধ্যমে দেশবাসী কী বার্তা পেল? বার্তাটি হলো, দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়িত্বটি ঠিকমতো পালন করেননি। পদ্মা সেতু নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হলেও কাজ তেমন হয়নি। সরকারের মেয়াদ শেষের আগে নির্মাণকাজ শুরু হবে, এমন নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না নীতিনির্ধারকেরা। এসএনসি-লাভালিন গ্রুপ নামে যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, সেটি বাদ দিয়েই এখন কাজ শুরু করতে চাইছে সরকার। কিন্তু নিয়োগের আগে তারা সেই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিল না কেন?
বিভিন্ন দেশে বিশ্বব্যাংকের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কেবল উড়ো অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থাটি এত বড় সিদ্ধান্ত নেবে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়ে গেছেন। ২৩ সেপ্টেম্বরে সংস্থার বার্ষিক সভায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতির প্রমাণাদি হাজির করার কথাও বলেছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বাংলাদেশের কাদের যোগসাজশ ছিল, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। যাদের কারণে দেশের বৃহত্তম প্রকল্পের কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার যখন এসএনসি-লাভালিনকে বাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে চাইছে, তখন এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংককে রাজি করানোর দায়িত্বও তাদের নিতে হবে।
পদ্মা সেতু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগই সহজ হবে না, আর্থসামাজিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বরাবরই রয়েছে। যাঁদের ওপর সবার দায়িত্ব অর্পিত হয়, তাঁরা নিজেদের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে ভাবেন।
এ ধরনের প্রকল্পের কাজ এমনভাবে করা প্রয়োজন, যাতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। একই সঙ্গে কাজের দায়িত্ব যাদের দেওয়া হয়েছে, সেই কাজ করার দক্ষতা ও যোগ্যতা আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারও অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে এ রকম একটি বৃহ ৎ প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাবে বা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
জনগণ চায় পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত শুরু হোক। তার আগে এ ক্ষেত্রে যেসব প্রশ্ন আছে, সেগুলোর সদুত্তর পেতে হবে। সরকারের পক্ষে যে মন্ত্রণালয় সেতুর কাজ তদারক করবে, সেই মন্ত্রণালয় এবং শীর্ষ ব্যক্তিদের সম্পর্কে দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোভাবের বিষয়টিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
No comments