তেল-চিনির দাম-রমজানের আগেই লাগাম টানুন
সংযমের মাস রমজান এগিয়ে আসছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ মানুষের আতঙ্কও বাড়ছে। আতঙ্কের কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উদ্বেগ আছে। এ জন্য অনেক আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে তেল ও চিনির সরবরাহ ব্যবস্থায় ডিও প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
উদ্দেশ্য ছিল মধ্যস্বত্বভোগীদের অতি মুনাফার হাত থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত মার্চ মাসে। আর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সময় নিয়েছে প্রায় তিন মাস। এর পরও আশা করা গিয়েছিল, এবার হয়তো কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এর পরও ব্যবসায়ীদের কারসাজি শুরু হয়ে গেছে। যেদিন থেকে পরিবেশক মাধ্যমে তেল ও চিনি সরবরাহ শুরু হয়েছে, এর আগেই আরেক দফা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, দুয়েকটি প্রতিষ্ঠান আবার অযৌক্তিক কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের সরিষার তেল ক্রয় করতে বাধ্য করছে তারা।
রোজাকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মানুষের অশান্তি বাড়ানোর এই প্রবণতা কয়েক বছর ধরে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করেছে। অথচ একসময় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সাফল্যও অর্জন করেছিল। বর্তমান সরকারি দলটি আগেরবার ক্ষমতায় থাকাকালে রমজানের সময় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিল। অন্তত সাধারণ মানুষ রোজা আসছে, এ নিয়ে তেমন ভাবনায় পড়েনি। হালে এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে গেছে অনেক। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেয়, ব্যবসায়ীরা তা অমান্য করে চলেছেন। আর এর পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
গত রমজান মাসে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তাদের সে উদ্যোগ যদি এবারও নেওয়া হয় তাহলে হয়তো কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হতে পারে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনের মনিটর করার পাশাপাশি যদি সব ব্যবসায়ীর মানসিকতা পরিবর্তন না হয়, তাহলে কোনো কাজ হবে না।
নিয়ন্ত্রণহীন বাজার পরিস্থিতি অবলোকন করার পরও সরকার তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান টিসিবিকে শক্তিশালী করছে না। বলা হচ্ছে, এর জন্য এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর নাকি হাত রয়েছে। তাঁরা মনেপ্রাণে চান না টিসিবি কার্যকর হোক। কারণ টিসিবির মাধ্যমে সমান্তরাল বিপণন ও সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হলে এখন যেমন তাঁরা সংঘবদ্ধভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে অতি মুনাফা অর্জনের পথ প্রশস্ত করছেন, তখন তাঁদের পক্ষে এটা সম্ভব হবে না। এ মুহূর্তে বাজারব্যবস্থাকে ক্রেতাসাধারণের স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করতে হলে টিসিবিকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। কারণ তেল কিংবা চিনির বর্তমান চাহিদা পূরণ করতে হলে আমাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতেই হবে। সুতরাং আমদানীকৃত দ্রব্য যাতে অতি মুনাফালোভীদের মাত্রাকে হার না মানায়, সেদিকেও সরকারকেই নজর দিতে হবে।
রোজাকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মানুষের অশান্তি বাড়ানোর এই প্রবণতা কয়েক বছর ধরে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করেছে। অথচ একসময় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সাফল্যও অর্জন করেছিল। বর্তমান সরকারি দলটি আগেরবার ক্ষমতায় থাকাকালে রমজানের সময় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিল। অন্তত সাধারণ মানুষ রোজা আসছে, এ নিয়ে তেমন ভাবনায় পড়েনি। হালে এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে গেছে অনেক। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেয়, ব্যবসায়ীরা তা অমান্য করে চলেছেন। আর এর পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
গত রমজান মাসে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তাদের সে উদ্যোগ যদি এবারও নেওয়া হয় তাহলে হয়তো কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হতে পারে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনের মনিটর করার পাশাপাশি যদি সব ব্যবসায়ীর মানসিকতা পরিবর্তন না হয়, তাহলে কোনো কাজ হবে না।
নিয়ন্ত্রণহীন বাজার পরিস্থিতি অবলোকন করার পরও সরকার তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান টিসিবিকে শক্তিশালী করছে না। বলা হচ্ছে, এর জন্য এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর নাকি হাত রয়েছে। তাঁরা মনেপ্রাণে চান না টিসিবি কার্যকর হোক। কারণ টিসিবির মাধ্যমে সমান্তরাল বিপণন ও সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হলে এখন যেমন তাঁরা সংঘবদ্ধভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে অতি মুনাফা অর্জনের পথ প্রশস্ত করছেন, তখন তাঁদের পক্ষে এটা সম্ভব হবে না। এ মুহূর্তে বাজারব্যবস্থাকে ক্রেতাসাধারণের স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করতে হলে টিসিবিকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। কারণ তেল কিংবা চিনির বর্তমান চাহিদা পূরণ করতে হলে আমাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতেই হবে। সুতরাং আমদানীকৃত দ্রব্য যাতে অতি মুনাফালোভীদের মাত্রাকে হার না মানায়, সেদিকেও সরকারকেই নজর দিতে হবে।
No comments