মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বাড়াবাড়ি থামুক-চিনির বাজার আবার কড়া
ঈদের আগে চিনি হঠা ৎ দুর্লভ হয়ে উঠলেও এখন ফিরে এসেছে গতানুগতিক ধারায়। অর্থা ৎ আসল-নকল সংকট চলবে এবং দাম বাড়তেই থাকবে। দাম বাড়ার এই ঘটনাচক্রে অবধারিতভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা দেখতে পাওয়া যাবে। এবারও তা-ই হয়েছে, চিনির দাম পুনর্নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশকদের চিনি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পরিশোধনকারী মিলগুলো। ফলে বাজারে জোগানের ঘাটতি এবং তার ফলে দাম আবার বাড়তির মুখে।
অতীতে মিলমালিক ও পরিবেশকদের বিষয়টি ফয়সালা না করে এ ধরনের ঘোষণার ফল খারাপ হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও অভিযোগ করেছিল, ঈদের আগে চিনির দাম বাড়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দায়ী। সে সময় মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার জন্য ৬৫ টাকার চিনি ৮০ টাকায় উঠেছিল। যে কারোরই বোঝার কথা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজারে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট প্রবল প্রতাপে বিরাজ করছে। এই সিন্ডিকেটের ক্ষমতা কি মন্ত্রণালয়ের থেকে এমনকি সরকারের থেকেও বড়? দ্বিতীয়, চিনির সরবরাহ ও বিপণনকারীদের সঙ্গে পরিষ্কার বোঝাপড়া করতে না পারাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরই সমস্যা। তাদের জন্যই ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ পান।
গত রোববারের প্রথম আলোর সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর চিনি পরিশোধনকারী মিলগুলোর কেউ কেউ বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে, আবার কেউ কেউ তা একেবারেই বন্ধ করেছে। সাধারণত, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা কিংবা বাজারকে নিজেদের অনুকূলে এনে মুনাফা বর্ধিত করাই এ ধরনের কাজের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং দেশবন্ধু সুগার মিলসের চেয়ারম্যান চিনির নতুন দাম নির্ধারণে তাঁদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। চিনির দাম যাতে এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়, যাতে তা প্রতিবেশী মিয়ানমার বা ভারতে পাচার হয়ে না যায়। সেটা তাঁরা বলতেই পারেন, কিন্তু তার জন্য বাজারে সরবরাহ বন্ধ করবেন কোন যুক্তিতে? মুক্তবাজার মানে যা খুশি তা করা নয়!
সরকারকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে, যাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজের ছুতো ধরে চিনির বাজার অস্থিতিশীল করার সুযোগ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট না পায়। সরকার সজাগ ও সচেষ্ট থাকলে এ রকমটা হওয়ার সুযোগ থাকার কথা নয়।
অতীতে মিলমালিক ও পরিবেশকদের বিষয়টি ফয়সালা না করে এ ধরনের ঘোষণার ফল খারাপ হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও অভিযোগ করেছিল, ঈদের আগে চিনির দাম বাড়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দায়ী। সে সময় মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার জন্য ৬৫ টাকার চিনি ৮০ টাকায় উঠেছিল। যে কারোরই বোঝার কথা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজারে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট প্রবল প্রতাপে বিরাজ করছে। এই সিন্ডিকেটের ক্ষমতা কি মন্ত্রণালয়ের থেকে এমনকি সরকারের থেকেও বড়? দ্বিতীয়, চিনির সরবরাহ ও বিপণনকারীদের সঙ্গে পরিষ্কার বোঝাপড়া করতে না পারাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরই সমস্যা। তাদের জন্যই ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ পান।
গত রোববারের প্রথম আলোর সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর চিনি পরিশোধনকারী মিলগুলোর কেউ কেউ বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে, আবার কেউ কেউ তা একেবারেই বন্ধ করেছে। সাধারণত, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা কিংবা বাজারকে নিজেদের অনুকূলে এনে মুনাফা বর্ধিত করাই এ ধরনের কাজের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং দেশবন্ধু সুগার মিলসের চেয়ারম্যান চিনির নতুন দাম নির্ধারণে তাঁদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। চিনির দাম যাতে এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়, যাতে তা প্রতিবেশী মিয়ানমার বা ভারতে পাচার হয়ে না যায়। সেটা তাঁরা বলতেই পারেন, কিন্তু তার জন্য বাজারে সরবরাহ বন্ধ করবেন কোন যুক্তিতে? মুক্তবাজার মানে যা খুশি তা করা নয়!
সরকারকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে, যাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজের ছুতো ধরে চিনির বাজার অস্থিতিশীল করার সুযোগ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট না পায়। সরকার সজাগ ও সচেষ্ট থাকলে এ রকমটা হওয়ার সুযোগ থাকার কথা নয়।
No comments