অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক-রূপসা সেতুর টোলের দরপত্র
সাংসদ শেখ হেলাল, তাঁর ভাই শেখ সোহেল ও ভাগনে নিক্সন চৌধুরী। নিক্সন চৌধুরী জড়িত দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার কাজে। অথচ শেখ সোহেল ভাগনের কীর্তি স্বীকার করতে না চাইলেও ভাগনেটি মামার জোরে রূপসা সেতুর টোল আদায়ে নিজেদের ঠিকাদারি নিশ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ।
এ কাজ করা হয়েছে দরপত্র জমাদানে অন্য ঠিকাদারদের বাধা দিয়ে। স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতির সম্পর্কটাও কি তাহলে মামা-ভাগনের মতোই? বাংলা চলচ্চিত্রের সেই গানটাই কি সত্য হবে যে ‘মামা-ভাগনে যেখানে, আপদ নাই সেখানে’? মামা-ভাগনের যতই সুবিধা হোক, এই জোরাজুরির টেন্ডারে সরকারের কোটি কোটি টাকার আয় যে বেহাত হচ্ছে, তার বিহিত কে করবে?
গত সোমবার ছিল খুলনার রূপসা খানজাহান আলী সেতুর টোল আদায়ের সার্ভিস চার্জের ঠিকাদারি দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোর সংবাদ অনুযায়ী, শেখ সোহেলের লোকজনের বাধার কারণে তাঁদের পছন্দের তিনটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কেউ দরপত্র জমা দিতে পারেনি। অথচ দরপত্র বিক্রি হয়েছিল নয়টি। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গেছে। আরও অভিযোগ হলো, দরদাতারা নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করে সর্বনিম্ন দর এত বেশি করে দিয়েছে, যাতে সরকারকে রাজস্ববঞ্চিত করে তারা বিপুলভাবে লাভবান হয়। অথচ ওই সেতুর বর্তমান টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, দরপত্র জমা দিতে পারলে তারাই হতো সর্বনিম্ন দরদাতা। এতে সরকারের ১১ কোটি টাকা বেঁচে যেত বলেও তাদের ধারণা। এদিকে খুলনা আওয়ামী লীগ যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এ ধরনের ঘটনা হরেদরে ঘটেছে। একটি বিশেষ ভবনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। দিনবদলের আওয়াজ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের উচিত ছিল আগের আমল থেকে শিক্ষা নেওয়া। ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের আত্মীয়তার জোরে এভাবে টেন্ডারবাজি হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের চেহারা কেমন হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
আইন অনুযায়ী সেতুর টোল আদায় কিংবা অন্য যেকোনো কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। কিন্তু কারও মাস্তানির কারণে যদি ঠিকাদারেরা দরপত্র জমাই দিতে না পারেন, তাহলে প্রতিযোগিতা হবে কী করে? আশা করি, সংশ্লিষ্ট বিভাগ দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগটি তদন্ত করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
গত সোমবার ছিল খুলনার রূপসা খানজাহান আলী সেতুর টোল আদায়ের সার্ভিস চার্জের ঠিকাদারি দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোর সংবাদ অনুযায়ী, শেখ সোহেলের লোকজনের বাধার কারণে তাঁদের পছন্দের তিনটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কেউ দরপত্র জমা দিতে পারেনি। অথচ দরপত্র বিক্রি হয়েছিল নয়টি। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গেছে। আরও অভিযোগ হলো, দরদাতারা নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করে সর্বনিম্ন দর এত বেশি করে দিয়েছে, যাতে সরকারকে রাজস্ববঞ্চিত করে তারা বিপুলভাবে লাভবান হয়। অথচ ওই সেতুর বর্তমান টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, দরপত্র জমা দিতে পারলে তারাই হতো সর্বনিম্ন দরদাতা। এতে সরকারের ১১ কোটি টাকা বেঁচে যেত বলেও তাদের ধারণা। এদিকে খুলনা আওয়ামী লীগ যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এ ধরনের ঘটনা হরেদরে ঘটেছে। একটি বিশেষ ভবনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। দিনবদলের আওয়াজ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের উচিত ছিল আগের আমল থেকে শিক্ষা নেওয়া। ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের আত্মীয়তার জোরে এভাবে টেন্ডারবাজি হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের চেহারা কেমন হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
আইন অনুযায়ী সেতুর টোল আদায় কিংবা অন্য যেকোনো কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। কিন্তু কারও মাস্তানির কারণে যদি ঠিকাদারেরা দরপত্র জমাই দিতে না পারেন, তাহলে প্রতিযোগিতা হবে কী করে? আশা করি, সংশ্লিষ্ট বিভাগ দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগটি তদন্ত করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
No comments