প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা-ভিত্তি মজবুত করাটাই জরুরি
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড'_পুরনো এ কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই মেরুদণ্ড সোজা ও শক্ত রাখার কাজটাই এখন জরুরি। যেকোনো মূল্যে শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে। শিক্ষাকে মানসম্মত করতে হবে। শিক্ষার মান বাড়ানোর কাজটা শুরু করতে হবে একেবারে গোড়া থেকে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
শুরু থেকে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে দৃষ্টি দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপযুক্ত শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠবে। জাতি একটি শিক্ষিত প্রজন্ম পাবে।
একটা সময় ছিল যখন শিক্ষাক্ষেত্র ছিল একেবারেই অবহেলিত। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়। আমাদের দেশে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এসে দেখা যায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এ ব্যাপারে আশানুরূপ ফল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে বলে মনে করা যায় না। অন্যদিকে একটি বিশেষ শ্রেণীর জন্য শিক্ষা অনেকটাই বিপণনযোগ্য পণ্য হয়ে গেছে। শিক্ষার এই বাণিজ্যিকীকরণ আমাদের দেশের শিক্ষার মান সঠিক জায়গায় নিয়ে যেতে পারছে না। কিন্তু শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে গেলে আমাদের আজকের এ অবস্থায় পড়তে হতো না। অনেক দিন পর দেশ একটি শিক্ষানীতি পেয়েছে। এখন এই শিক্ষানীতির সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন। শিক্ষানীতির সঠিক বাস্তবায়ন দিতে পারে একটি শিক্ষিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
একই সঙ্গে আরো একটি বিষয় লক্ষণীয়। গ্রাম ও শহরের শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা তফাত দেখা যায়। শিক্ষানীতির সঠিক প্রয়োগ হলে এই ফারাক থাকবে না। একই সঙ্গে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। বিশেষ করে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে থেকে ভাবতে হবে। শিক্ষকতা সত্যিকার অর্থে পেশা নয়, ব্রত। শিক্ষকদের মনে এই অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করতে পারলে সেটা শিক্ষার জন্য হবে সবচেয়ে ফলদায়ক একটি বিষয়। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আসতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। দেখা যায়, আমাদের দেশে শিক্ষকরাই সবচেয়ে অবহেলিত। এই অবহেলা ও বঞ্চনার জায়গা থেকে শিক্ষকদের সঠিক মর্যাদার জায়গায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি সম্ভব হবে। শিক্ষার বাণিজ্যিক ব্যবহারও নিরুৎসাহ করতে হবে। শিক্ষালয় যেন হয়ে ওঠে জ্ঞানচর্চার প্রধান কেন্দ্র, সেদিকেই দৃষ্টি দিতে হবে।
সরকার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে সাধুবাদ দিতেই হয়। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। কিন্তু এই শিক্ষকদের নিয়োগের আগে অবশ্যই একটি বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। যাঁরা এই পেশায় আসবেন, তাঁরা কি পেশাকে নিছকই পেশা বা বৃত্তি হিসেবে নিচ্ছেন, নাকি শিক্ষকতাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নিতে চান। জাতির জ্ঞানচর্চার ভিত্তি মজবুত করার এটাও অন্যতম শর্ত।
একটা সময় ছিল যখন শিক্ষাক্ষেত্র ছিল একেবারেই অবহেলিত। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়। আমাদের দেশে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এসে দেখা যায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এ ব্যাপারে আশানুরূপ ফল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে বলে মনে করা যায় না। অন্যদিকে একটি বিশেষ শ্রেণীর জন্য শিক্ষা অনেকটাই বিপণনযোগ্য পণ্য হয়ে গেছে। শিক্ষার এই বাণিজ্যিকীকরণ আমাদের দেশের শিক্ষার মান সঠিক জায়গায় নিয়ে যেতে পারছে না। কিন্তু শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে গেলে আমাদের আজকের এ অবস্থায় পড়তে হতো না। অনেক দিন পর দেশ একটি শিক্ষানীতি পেয়েছে। এখন এই শিক্ষানীতির সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন। শিক্ষানীতির সঠিক বাস্তবায়ন দিতে পারে একটি শিক্ষিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
একই সঙ্গে আরো একটি বিষয় লক্ষণীয়। গ্রাম ও শহরের শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা তফাত দেখা যায়। শিক্ষানীতির সঠিক প্রয়োগ হলে এই ফারাক থাকবে না। একই সঙ্গে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। বিশেষ করে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে থেকে ভাবতে হবে। শিক্ষকতা সত্যিকার অর্থে পেশা নয়, ব্রত। শিক্ষকদের মনে এই অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করতে পারলে সেটা শিক্ষার জন্য হবে সবচেয়ে ফলদায়ক একটি বিষয়। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আসতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। দেখা যায়, আমাদের দেশে শিক্ষকরাই সবচেয়ে অবহেলিত। এই অবহেলা ও বঞ্চনার জায়গা থেকে শিক্ষকদের সঠিক মর্যাদার জায়গায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি সম্ভব হবে। শিক্ষার বাণিজ্যিক ব্যবহারও নিরুৎসাহ করতে হবে। শিক্ষালয় যেন হয়ে ওঠে জ্ঞানচর্চার প্রধান কেন্দ্র, সেদিকেই দৃষ্টি দিতে হবে।
সরকার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে সাধুবাদ দিতেই হয়। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। কিন্তু এই শিক্ষকদের নিয়োগের আগে অবশ্যই একটি বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। যাঁরা এই পেশায় আসবেন, তাঁরা কি পেশাকে নিছকই পেশা বা বৃত্তি হিসেবে নিচ্ছেন, নাকি শিক্ষকতাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নিতে চান। জাতির জ্ঞানচর্চার ভিত্তি মজবুত করার এটাও অন্যতম শর্ত।
No comments