বিচার বন্ধের কর্মসূচি কীভাবে অধিকার?-বেপরোয়া জামায়াত
প্রতিবাদের অধিকার গণতন্ত্রে স্বীকৃত। কিন্তু গণতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করতে হলে যেকোনো অধিকারের সীমারেখা মানতে হয়। জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘জামায়াত কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়, নির্বাচন কমিশনের একটি নিবন্ধিত দল।
তার পরও সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক কোনো কর্মসূচি করতে দিচ্ছে না।’ কিন্তু জামায়াতের পত্রিকা সংগ্রাম লিখেছে, ‘তাদের কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল সাঈদী, নিজামী, মুজাহিদসহ সব বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি।’ জামায়াত অস্বীকার করতে পারে না যে তাদের এই ঘোষিত কর্মসূচি সংবিধান পরিপন্থী, এমনকি ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডনীয়। কারণ, তাদের দলের গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ নেতা বর্তমানে একটি বিচার-প্রক্রিয়ার আওতায় অন্তরীণ রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার-প্রক্রিয়ায় জামায়াত আইনগতভাবে অংশ নিচ্ছে এবং আইনানুযায়ী তারা বিহিত প্রতিকারও পাচ্ছে। এবং দেশবাসী পরিষ্কার বুঝতে পারছে যে জামায়াত ও তদীয় মিত্র বিএনপি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে কখনো সুনজরে দেখেনি। কিন্তু বিএনপি মুখে বিরোধিতা না করলেও বিচারকার্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দিহান। যে আইনে বিচার হচ্ছে, তা তারা সংবিধানসম্মত মনে করে না। জামায়াতের অবশ্য এ ব্যাপারে রাখঢাক নেই, তারা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আসামিদের ‘নিঃশর্ত’ মুক্তি চায়।
উন্নত কোনো সভ্য দেশে বিচারাধীন কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির তথাকথিত নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করা অচিন্তনীয়। বাংলাদেশের আইনেও তা স্বীকৃত নয়। কিন্তু আমরা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এ রকম আবদার কখনো কখনো দেখতে পাই। ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ও মতের প্রতি পুলিশের একটা সাধারণ নেতিবাচক মনোভাবও অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু সোমবারের কাকরাইলকে রণক্ষেত্র করার ক্ষেত্রে জামায়াতের কর্মীদের প্রস্তুতি ও জঙ্গিত্ব প্রদর্শন ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়। পুলিশের পাঁচটিসহ মোট ১৩টি গাড়ি আগুনে পুড়েছে।
এ সম্পর্কে জামায়াত বলেছে, এর সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়। এখন সরকারি দলের তরফে নাশকতামূলক তৎপরতাকে শুধু ষড়যন্ত্র বলেই ক্ষান্ত দিলে চলবে না। প্রকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আত্মরক্ষার আইনসম্মত সীমা পুলিশ অতিক্রম করলে তা-ও মার্জনাযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনায় বাড়াবাড়ি করার পরিণতি শেষ পর্যন্ত সরকার-বিরোধিতাকেই উসকে দেয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা আইন ও মানবাধিকার বজায় রেখেই রুখতে হবে। এ ক্ষেত্রের ব্যর্থতার দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার-প্রক্রিয়ায় জামায়াত আইনগতভাবে অংশ নিচ্ছে এবং আইনানুযায়ী তারা বিহিত প্রতিকারও পাচ্ছে। এবং দেশবাসী পরিষ্কার বুঝতে পারছে যে জামায়াত ও তদীয় মিত্র বিএনপি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে কখনো সুনজরে দেখেনি। কিন্তু বিএনপি মুখে বিরোধিতা না করলেও বিচারকার্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দিহান। যে আইনে বিচার হচ্ছে, তা তারা সংবিধানসম্মত মনে করে না। জামায়াতের অবশ্য এ ব্যাপারে রাখঢাক নেই, তারা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আসামিদের ‘নিঃশর্ত’ মুক্তি চায়।
উন্নত কোনো সভ্য দেশে বিচারাধীন কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির তথাকথিত নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করা অচিন্তনীয়। বাংলাদেশের আইনেও তা স্বীকৃত নয়। কিন্তু আমরা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এ রকম আবদার কখনো কখনো দেখতে পাই। ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ও মতের প্রতি পুলিশের একটা সাধারণ নেতিবাচক মনোভাবও অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু সোমবারের কাকরাইলকে রণক্ষেত্র করার ক্ষেত্রে জামায়াতের কর্মীদের প্রস্তুতি ও জঙ্গিত্ব প্রদর্শন ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়। পুলিশের পাঁচটিসহ মোট ১৩টি গাড়ি আগুনে পুড়েছে।
এ সম্পর্কে জামায়াত বলেছে, এর সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়। এখন সরকারি দলের তরফে নাশকতামূলক তৎপরতাকে শুধু ষড়যন্ত্র বলেই ক্ষান্ত দিলে চলবে না। প্রকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আত্মরক্ষার আইনসম্মত সীমা পুলিশ অতিক্রম করলে তা-ও মার্জনাযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনায় বাড়াবাড়ি করার পরিণতি শেষ পর্যন্ত সরকার-বিরোধিতাকেই উসকে দেয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা আইন ও মানবাধিকার বজায় রেখেই রুখতে হবে। এ ক্ষেত্রের ব্যর্থতার দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।
No comments