রাজপথ দখলের মহড়া দেখতে চাই না-হরতালে মাঠ গরম
হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার বলে যারা দাবি করে, তারা হরতাল আহ্বান ও পালনের ক্ষেত্রে জনগণের মতামত নেওয়ার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন বোধ করে না। একইভাবে সরকার ও সরকারি দলও হরতাল ঠেকানোর নামে এমন সব কাণ্ড করে বসে, যাতে জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়।
যে জনগণের নামে সরকার ও বিরোধী দল রাজনীতি করে, জনগণের সমস্যা-সংকট নিয়ে তাদের আদৌ মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা যে হরতাল পালন করছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। তাদের দাবি, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তারা এই হরতাল ডেকেছে। তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে পরিবহন খরচসহ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে, সন্দেহ নেই। এখন বিরোধী দলের হরতালের কারণে পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে হরতাল না ডেকে তারা সভা-সমাবেশ করেও সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে পারত। তার পরও আমরা আশা করব, বিরোধী দল শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করবে। হরতাল আহ্বানকারীরা কারও প্রতি জবরদস্তি করবে না। যানবাহন চলাচলে বাধা দেবে না।
এই প্রেক্ষাপটে যে খবরটি আমাদের আরও উদ্বিগ্ন করে, তা হলো হরতালের সময়ে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকার ঘোষণা। হরতাল আহ্বানকারীরা তো রাজপথে থাকবেই। এখন দুই পক্ষের কর্মীরা মাঠে থাকলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? সংঘাত-সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে। হরতালের সময়ে বিরোধী দল জনজীবনের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়, এমন কিছু করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তা মোকাবিলা করবেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে নামার প্রয়োজন নেই।
অতীতেও দেখা গেছে, হরতালে দুই পক্ষের মাঠ দখলের লড়াইয়ে পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে। এটি সুস্থ রাজনীতির লক্ষণ নয়। তাই বিরোধী দলের উচিত হবে হরতালে জবরদস্তির পথ পরিহার করা। তাদের কর্মসূচিতে জনগণের সমর্থন থাকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালিত হবে, সমর্থন না থাকলে পালন করবে না। কিন্তু হরতালকে কেন্দ্র করে মানুষ দুই পক্ষের রাজপথ দখলের মহড়া দেখতে চায় না। তারা শান্তি ও স্বস্তি চায়।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা যে হরতাল পালন করছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। তাদের দাবি, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তারা এই হরতাল ডেকেছে। তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে পরিবহন খরচসহ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে, সন্দেহ নেই। এখন বিরোধী দলের হরতালের কারণে পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে হরতাল না ডেকে তারা সভা-সমাবেশ করেও সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে পারত। তার পরও আমরা আশা করব, বিরোধী দল শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করবে। হরতাল আহ্বানকারীরা কারও প্রতি জবরদস্তি করবে না। যানবাহন চলাচলে বাধা দেবে না।
এই প্রেক্ষাপটে যে খবরটি আমাদের আরও উদ্বিগ্ন করে, তা হলো হরতালের সময়ে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকার ঘোষণা। হরতাল আহ্বানকারীরা তো রাজপথে থাকবেই। এখন দুই পক্ষের কর্মীরা মাঠে থাকলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? সংঘাত-সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে। হরতালের সময়ে বিরোধী দল জনজীবনের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়, এমন কিছু করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তা মোকাবিলা করবেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে নামার প্রয়োজন নেই।
অতীতেও দেখা গেছে, হরতালে দুই পক্ষের মাঠ দখলের লড়াইয়ে পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে। এটি সুস্থ রাজনীতির লক্ষণ নয়। তাই বিরোধী দলের উচিত হবে হরতালে জবরদস্তির পথ পরিহার করা। তাদের কর্মসূচিতে জনগণের সমর্থন থাকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালিত হবে, সমর্থন না থাকলে পালন করবে না। কিন্তু হরতালকে কেন্দ্র করে মানুষ দুই পক্ষের রাজপথ দখলের মহড়া দেখতে চায় না। তারা শান্তি ও স্বস্তি চায়।
No comments