চারদিক-মার্সোকে পৃথিবী মনে রাখবে চিরকাল
এক দিন আগেই লিখছি মার্সেল মার্সোকে নিয়ে। কাল আমাদের প্রস্তুত হওয়ার পালা। তাঁকে নিয়ে সারা দিন কাটানোর পালা। ইতিহাস বলছে, ফরাসি বিপ্লবের সময় জনগণের মুখের কথার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলে মূকাভিনয়শিল্প দেশের বিক্ষোভকে জাগিয়ে তুলেছিল।
বিপ্লবকে অবশ্যম্ভাবী সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মুখের কথানির্ভর প্রচলিত ভাষার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও অনুপম এ শিল্পে ‘মূক ভাষা’র রয়েছে এমনই কার্যকর সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা।
সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় এ মূকাভিনয়শিল্পকে নিরন্তর ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে উঁচুতে তুলে ধরেছিলেন মূকাভিনয়শিল্পী-মূকাভিনয়গুরু ‘মাস্টার অব মাইম’ মার্সেল মার্সো! যাঁর প্রকৃত নাম ছিল মার্সেল ম্যাঙ্গেল। জন্ম ১৯২৩-এর ২২ মার্চ, ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ শহরে। শৈশব থেকেই দড়াবাজি, অভিনয় ও সৃষ্টিশীল অনুকরণের অনন্যসাধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মার্সো অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন চার্লি চ্যাপলিন, বাস্টার কিটন প্রমুখের নির্বাক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে চ্যাপলিন ছিলেন তাঁর ‘প্রেরণা’। খ্যাতির চূড়ায় অবস্থানকালে ষাটের দশকের শুরুতে মার্সোর সঙ্গে প্যারিসের ওরাল বিমানবন্দরে চার্লি চ্যাপলিনের সাক্ষাৎ হলে প্রথমেই চ্যাপলিন নাকি তাঁকে ‘সাদা মুখের বিখ্যাত মানুষ’ (মার্সোর সৃষ্ট ‘বিপ’ চরিত্রের অঙ্গরচনা অনুসারে) বলে সম্বোধন করেছিলেন—যাকে মার্সো তাঁর জীবনে অর্জিত শ্রেষ্ঠ সম্মান বলে আমৃত্যু গর্বিতভাবে স্মরণ করতেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্সো প্যারিসে ‘স্কুল অব ড্রামাটিক আর্টস’-এর পাঠ সমাপন করেন। এখানে তিনি স্বনামখ্যাত মূকাভিনেতা চার্লস দুলিন, আধুনিক নিরীক্ষাধর্মী মূকাভিনয়ের দিকপাল এতিয়েন দুক্রু এবং মূকাভিনয়গুরু জ্যাঁ লুই বারোর কাছে নিবিড় শিক্ষা লাভ করেন। তিনি প্রভাবিত ছিলেন ফরাসি মূকাভিনেতা জ্যাঁ গ্যাসপার্ট দেবুরোর দ্বারাও। মহৎ এই শিল্পীর বৈশিষ্ট্যানুযায়ী মার্সো পূর্ববর্তী সম্ভাবনাগুলো আত্মীকরণ করে ক্রমেই আপন বিশিষ্টতায় অত্যুজ্জ্বল হয়ে ওঠেন।
১৯৪৬-এ পেশাগত জীবন শুরু করলেও গবেষণার প্রক্রিয়ায় মার্সো ১৯৪৭-এ মূকাভিনয়-কাহিনিতে বিপ চরিত্রের প্রবর্তন করেন, যেটি তাঁর প্রযোজনাগুলোয় বিচিত্রতর রূপে আসতে থাকে। চার্লি চ্যাপলিনের ‘ভ্যাগাবন্ড’-এর পরে দর্শক এই প্রথম বিপের মাধ্যমে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ‘মৌনমুখর-সাক্ষী’ এক মূকচরিত্র পেল। বিপের বিশিষ্টতা হচ্ছে, সাদামুখ, গায়ে ডোরাকাটা জামা, পরনে লেপটে থাকা প্যান্ট, মাথায় পুরোনো টুপি আর হাতে ধরা একটি ফুল। বিপ-বিষয়ক মার্সোর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নকশা-মূকাভিনয় হচ্ছে, ‘বিপ ট্রাভেলস বাই ট্রেন’, ‘বিপ, গ্রেট স্টার অব এ ট্রাভেলিং সার্কাস’, ‘বিপ হান্টস বাটারফ্লাই’, ‘বিপ ট্রাভেলস বাই সি’, ‘বিপ অ্যাজ এ লায়ন ট্রেমার’, ‘বিপ কমিটস সুইসাইড’, ‘বিপ অ্যাজ এ সোলজার’, ‘বিপ ইন দ্য মডার্ন অ্যান্ড ফিউচার লাইফ’ প্রভৃতি। বিচিত্রতর পরিস্থিতি বা ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি বিপের স্বেচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত উপস্থিতির মাধ্যমে তা বিশ্বমানবের হাসি-কান্না, আনন্দ-বিষাদ তথা অনুভূতিগুলো একীভূত করে দর্শককে দেশ-কালের সীমাবদ্ধতার গণ্ডিমুক্ত করে যেন সর্বজনপ্রতিনিধি হয়ে ওঠে। আর এর মাধ্যমেই শিল্পস্রষ্টা মার্সেল মার্সো সমগ্র বিশ্বের আপনজনে পরিণত হন।
মূকাভিনয়ের ক্ষেত্রে মার্সোর অতুলনীয় অবদান হচ্ছে গবেষকের দৃষ্টিভঙ্গিসহ প্রচলিত ক্লিশে মূকাভিনয়-ধারণার মুক্তি ও মূকাভিনয়ে নবগতি প্রদান। কিংবদন্তিতুল্য প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসন তাঁর ‘মুনওয়াক’ শীর্ষক বিশিষ্ট আঙ্গিকটি মার্সেল মার্সোর ‘ওয়াক এগেইন্সড দ্য উইন্ড’-এর কৌশল দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। এ ছাড়া ১৯৯৫ সালে মার্সেল মার্সো এবং মাইকেল জ্যাকসন এইচবিও চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে একটি কনসার্টের যৌথ মহড়া করেন (তবে শেষ মুহূর্তে জ্যাকসন অসুস্থ হয়ে পড়ায় অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়)। সুতরাং, জ্যাকসনের বিভিন্ন উপস্থাপনায় মূকাভিনয়ের মুদ্রা, পদভঙ্গি, শরীরভঙ্গি, অভিব্যক্তিসহ নানা আকর্ষণীয় অনুষঙ্গের প্রয়োগ তাঁর ওপর মার্সোর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব বলেই অনেকে মনে করেন।
বাংলাদেশের আধুনিক মূকাভিনয়ের পথিকৃৎ পার্থপ্রতিম মজুমদারই মার্সো প্রতিষ্ঠিত অনন্য মূকাভিনয় স্কুল ‘লা ইকোল ইন্টারন্যাশনাল ডি মাইমোড্রামা’য় এশিয়া মহাদেশের প্রথম ছাত্র। প্রসঙ্গত, পার্থপ্রতিম মজুমদার, কাজী মশহুরুল হুদা ও জিল্লুর রহমান জন—বাংলাদেশের এই তিন মূকাভিনয় মহারথীর প্রবাসগমনের কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মূকাভিনয় পরিচিতি লাভ করলেও দেশের অভ্যন্তরীণ চর্চার ধারাবাহিকতা দারুণভাবে ব্যাহত হয়েছে। তবে সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ২৫টি দলের মূকাভিনয়চর্চা এবং এর ধারাবাহিকতায় ‘বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশন’ গঠন সত্যিই আশা জাগায়।
৬০ বছর ধরে মূকাভিনয়শিল্পে একনিষ্ঠ ও নিরবচ্ছিন্ন সাধনা শেষে ২০০৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইহলোক ত্যাগ করেন মার্সেল মার্সো। প্যারিসের শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের সমাধিস্থল পার লাসিয়েস সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত তিনি। তাঁর প্রত্যাশা অনুযায়ী সেদিন সমগ্র সমাধিস্থলে বেজেছিল মোৎজার্টের সিম্ফনি এবং তা ছাপিয়ে মার্সোর অগণিত ভক্ত সজল চোখে বলেছিলেন, ‘মঁসিও মার্সো, তোমাকে পৃথিবী মনে রাখবে চিরকাল।’
মার্সেল মার্সোর চতুর্থ প্রয়াণবার্ষিকীতে আমরাও আন্তরিক শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ওই কথারই প্রতিধ্বনি করি!
জাহিদ রিপন
সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় এ মূকাভিনয়শিল্পকে নিরন্তর ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে উঁচুতে তুলে ধরেছিলেন মূকাভিনয়শিল্পী-মূকাভিনয়গুরু ‘মাস্টার অব মাইম’ মার্সেল মার্সো! যাঁর প্রকৃত নাম ছিল মার্সেল ম্যাঙ্গেল। জন্ম ১৯২৩-এর ২২ মার্চ, ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ শহরে। শৈশব থেকেই দড়াবাজি, অভিনয় ও সৃষ্টিশীল অনুকরণের অনন্যসাধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মার্সো অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন চার্লি চ্যাপলিন, বাস্টার কিটন প্রমুখের নির্বাক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে চ্যাপলিন ছিলেন তাঁর ‘প্রেরণা’। খ্যাতির চূড়ায় অবস্থানকালে ষাটের দশকের শুরুতে মার্সোর সঙ্গে প্যারিসের ওরাল বিমানবন্দরে চার্লি চ্যাপলিনের সাক্ষাৎ হলে প্রথমেই চ্যাপলিন নাকি তাঁকে ‘সাদা মুখের বিখ্যাত মানুষ’ (মার্সোর সৃষ্ট ‘বিপ’ চরিত্রের অঙ্গরচনা অনুসারে) বলে সম্বোধন করেছিলেন—যাকে মার্সো তাঁর জীবনে অর্জিত শ্রেষ্ঠ সম্মান বলে আমৃত্যু গর্বিতভাবে স্মরণ করতেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্সো প্যারিসে ‘স্কুল অব ড্রামাটিক আর্টস’-এর পাঠ সমাপন করেন। এখানে তিনি স্বনামখ্যাত মূকাভিনেতা চার্লস দুলিন, আধুনিক নিরীক্ষাধর্মী মূকাভিনয়ের দিকপাল এতিয়েন দুক্রু এবং মূকাভিনয়গুরু জ্যাঁ লুই বারোর কাছে নিবিড় শিক্ষা লাভ করেন। তিনি প্রভাবিত ছিলেন ফরাসি মূকাভিনেতা জ্যাঁ গ্যাসপার্ট দেবুরোর দ্বারাও। মহৎ এই শিল্পীর বৈশিষ্ট্যানুযায়ী মার্সো পূর্ববর্তী সম্ভাবনাগুলো আত্মীকরণ করে ক্রমেই আপন বিশিষ্টতায় অত্যুজ্জ্বল হয়ে ওঠেন।
১৯৪৬-এ পেশাগত জীবন শুরু করলেও গবেষণার প্রক্রিয়ায় মার্সো ১৯৪৭-এ মূকাভিনয়-কাহিনিতে বিপ চরিত্রের প্রবর্তন করেন, যেটি তাঁর প্রযোজনাগুলোয় বিচিত্রতর রূপে আসতে থাকে। চার্লি চ্যাপলিনের ‘ভ্যাগাবন্ড’-এর পরে দর্শক এই প্রথম বিপের মাধ্যমে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ‘মৌনমুখর-সাক্ষী’ এক মূকচরিত্র পেল। বিপের বিশিষ্টতা হচ্ছে, সাদামুখ, গায়ে ডোরাকাটা জামা, পরনে লেপটে থাকা প্যান্ট, মাথায় পুরোনো টুপি আর হাতে ধরা একটি ফুল। বিপ-বিষয়ক মার্সোর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নকশা-মূকাভিনয় হচ্ছে, ‘বিপ ট্রাভেলস বাই ট্রেন’, ‘বিপ, গ্রেট স্টার অব এ ট্রাভেলিং সার্কাস’, ‘বিপ হান্টস বাটারফ্লাই’, ‘বিপ ট্রাভেলস বাই সি’, ‘বিপ অ্যাজ এ লায়ন ট্রেমার’, ‘বিপ কমিটস সুইসাইড’, ‘বিপ অ্যাজ এ সোলজার’, ‘বিপ ইন দ্য মডার্ন অ্যান্ড ফিউচার লাইফ’ প্রভৃতি। বিচিত্রতর পরিস্থিতি বা ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি বিপের স্বেচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত উপস্থিতির মাধ্যমে তা বিশ্বমানবের হাসি-কান্না, আনন্দ-বিষাদ তথা অনুভূতিগুলো একীভূত করে দর্শককে দেশ-কালের সীমাবদ্ধতার গণ্ডিমুক্ত করে যেন সর্বজনপ্রতিনিধি হয়ে ওঠে। আর এর মাধ্যমেই শিল্পস্রষ্টা মার্সেল মার্সো সমগ্র বিশ্বের আপনজনে পরিণত হন।
মূকাভিনয়ের ক্ষেত্রে মার্সোর অতুলনীয় অবদান হচ্ছে গবেষকের দৃষ্টিভঙ্গিসহ প্রচলিত ক্লিশে মূকাভিনয়-ধারণার মুক্তি ও মূকাভিনয়ে নবগতি প্রদান। কিংবদন্তিতুল্য প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসন তাঁর ‘মুনওয়াক’ শীর্ষক বিশিষ্ট আঙ্গিকটি মার্সেল মার্সোর ‘ওয়াক এগেইন্সড দ্য উইন্ড’-এর কৌশল দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। এ ছাড়া ১৯৯৫ সালে মার্সেল মার্সো এবং মাইকেল জ্যাকসন এইচবিও চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে একটি কনসার্টের যৌথ মহড়া করেন (তবে শেষ মুহূর্তে জ্যাকসন অসুস্থ হয়ে পড়ায় অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়)। সুতরাং, জ্যাকসনের বিভিন্ন উপস্থাপনায় মূকাভিনয়ের মুদ্রা, পদভঙ্গি, শরীরভঙ্গি, অভিব্যক্তিসহ নানা আকর্ষণীয় অনুষঙ্গের প্রয়োগ তাঁর ওপর মার্সোর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব বলেই অনেকে মনে করেন।
বাংলাদেশের আধুনিক মূকাভিনয়ের পথিকৃৎ পার্থপ্রতিম মজুমদারই মার্সো প্রতিষ্ঠিত অনন্য মূকাভিনয় স্কুল ‘লা ইকোল ইন্টারন্যাশনাল ডি মাইমোড্রামা’য় এশিয়া মহাদেশের প্রথম ছাত্র। প্রসঙ্গত, পার্থপ্রতিম মজুমদার, কাজী মশহুরুল হুদা ও জিল্লুর রহমান জন—বাংলাদেশের এই তিন মূকাভিনয় মহারথীর প্রবাসগমনের কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মূকাভিনয় পরিচিতি লাভ করলেও দেশের অভ্যন্তরীণ চর্চার ধারাবাহিকতা দারুণভাবে ব্যাহত হয়েছে। তবে সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ২৫টি দলের মূকাভিনয়চর্চা এবং এর ধারাবাহিকতায় ‘বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশন’ গঠন সত্যিই আশা জাগায়।
৬০ বছর ধরে মূকাভিনয়শিল্পে একনিষ্ঠ ও নিরবচ্ছিন্ন সাধনা শেষে ২০০৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইহলোক ত্যাগ করেন মার্সেল মার্সো। প্যারিসের শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের সমাধিস্থল পার লাসিয়েস সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত তিনি। তাঁর প্রত্যাশা অনুযায়ী সেদিন সমগ্র সমাধিস্থলে বেজেছিল মোৎজার্টের সিম্ফনি এবং তা ছাপিয়ে মার্সোর অগণিত ভক্ত সজল চোখে বলেছিলেন, ‘মঁসিও মার্সো, তোমাকে পৃথিবী মনে রাখবে চিরকাল।’
মার্সেল মার্সোর চতুর্থ প্রয়াণবার্ষিকীতে আমরাও আন্তরিক শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ওই কথারই প্রতিধ্বনি করি!
জাহিদ রিপন
No comments