আশুলিয়া থানায় পুলিশের পোশাকে এরা কারা?-এসআইদের নিজস্ব দপ্তর
পুলিশ বাহিনীর পদক্রমে এসআই তত বড় পদ না হলেও বাস্তবে একজন এসআইয়ের কত ‘দায়িত্ব’ কত ‘ব্যস্ততা’ আর কত কত ‘ক্ষমতা’! পুলিশ কর্তৃপক্ষ সারা দেশে বেশ কিছু মডেল থানা করেছিল, যেগুলো হবে সেবার আদর্শ। এই আদর্শ থানাগুলোর মধ্যে আশুলিয়া থানাকে ‘শ্রেষ্ঠতম’ উপাধি দেওয়া যায়।
জনগণের সেবার স্বার্থে এসআইরা সেখানে নিজস্ব দপ্তর খুলেছেন, রেখেছেন নিজস্ব কর্মচারী। বেতনের অর্ধেকটাই তাঁরা এলাকার জমিজমা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাপনার খাতিরে ব্যয় করেন। এমন জনসেবক এসআইদের থেকে দেশবাসীর শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। দুর্নীতিতে বারবার শিরোপা পাওয়া এই দেশেও প্রকাশ্যে দপ্তর খুলে বেআইনি কার্যকলাপের কারখানা খোলার এমন দৃষ্টান্ত সত্যিই বিরল।
একেই বলে বারো হাত কাকুরের তেরো হাত বিচি! সরকার পুলিশের এসআইর (উপপরিদর্শক) জন্য যে ক্ষমতা দেয়, দেয় যে কর্মপরিবেশ ও বেতন, তাতে চলছে না আশুলিয়া থানার কর্মকর্তাদের। তাঁরা পদের থেকেও বড়, দায়িত্বের থেকেও ক্ষমতাবান মনে করছেন নিজেদের। তাই স্বতন্ত্র দপ্তর খুলে শৌখিনভাবে তা সাজিয়েছেন, মামলা লেখার জন্য রেখেছেন নিজস্ব কর্মচারী। থানার কাজ সেখানে হয়, যেমন জমি অপদখলের বন্দোবস্ত করা, জমি কেনাবেচার মধ্যস্থতা তথা দালালি করা ইত্যাদি। গতকাল বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আশুলিয়া থানা একদিকে শিল্পাঞ্চলের নাজুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অন্যদিকে ভূমি ব্যবসা ও ভূমি দস্যুতার বড় একটি ক্ষেত্র। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, যা অন্যের জন্য সমস্যা তা অসাধু পুলিশের জন্য অর্থপ্রাপ্তির মওকা। থানার বাইরে নিজস্ব দপ্তর খুলে কোন মওকা পূরণ করছেন তাঁরা?
গত কয়েকটি সরকারের আমলেই যেভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় দলীয় ক্যাডারদের পুলিশের চাকরি, মর্যাদা ও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে তাদের স্বভাব বদলেছে বলে মনে হয় না। বদলেছে কেবল পোশাক। আশুলিয়া থানার এই বাড়তি ২০টি ঘরে যাঁরা বসেন, তাঁদের পোশাকটাই কেবল পুলিশের, আচরণ দুর্নীতিবাজের।
আমাদের ধারণা, তদন্ত করলে আরও অনেক আলোড়নকারী চিত্র বেরিয়ে আসবে। বেরিয়ে আসবে ভূমি-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বহুবিধ অপরাধের চিত্র। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের একের পর এক লজ্জাকর কার্যকলাপের ধারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পুলিশের সামগ্রিক পর্যালোচনা নিয়েও ভাবতে হবে। এ বিষয়ে ছাড় দেওয়ার ফল অতি বিপজ্জনক হতে পারে।
একেই বলে বারো হাত কাকুরের তেরো হাত বিচি! সরকার পুলিশের এসআইর (উপপরিদর্শক) জন্য যে ক্ষমতা দেয়, দেয় যে কর্মপরিবেশ ও বেতন, তাতে চলছে না আশুলিয়া থানার কর্মকর্তাদের। তাঁরা পদের থেকেও বড়, দায়িত্বের থেকেও ক্ষমতাবান মনে করছেন নিজেদের। তাই স্বতন্ত্র দপ্তর খুলে শৌখিনভাবে তা সাজিয়েছেন, মামলা লেখার জন্য রেখেছেন নিজস্ব কর্মচারী। থানার কাজ সেখানে হয়, যেমন জমি অপদখলের বন্দোবস্ত করা, জমি কেনাবেচার মধ্যস্থতা তথা দালালি করা ইত্যাদি। গতকাল বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আশুলিয়া থানা একদিকে শিল্পাঞ্চলের নাজুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অন্যদিকে ভূমি ব্যবসা ও ভূমি দস্যুতার বড় একটি ক্ষেত্র। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, যা অন্যের জন্য সমস্যা তা অসাধু পুলিশের জন্য অর্থপ্রাপ্তির মওকা। থানার বাইরে নিজস্ব দপ্তর খুলে কোন মওকা পূরণ করছেন তাঁরা?
গত কয়েকটি সরকারের আমলেই যেভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় দলীয় ক্যাডারদের পুলিশের চাকরি, মর্যাদা ও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে তাদের স্বভাব বদলেছে বলে মনে হয় না। বদলেছে কেবল পোশাক। আশুলিয়া থানার এই বাড়তি ২০টি ঘরে যাঁরা বসেন, তাঁদের পোশাকটাই কেবল পুলিশের, আচরণ দুর্নীতিবাজের।
আমাদের ধারণা, তদন্ত করলে আরও অনেক আলোড়নকারী চিত্র বেরিয়ে আসবে। বেরিয়ে আসবে ভূমি-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বহুবিধ অপরাধের চিত্র। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের একের পর এক লজ্জাকর কার্যকলাপের ধারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পুলিশের সামগ্রিক পর্যালোচনা নিয়েও ভাবতে হবে। এ বিষয়ে ছাড় দেওয়ার ফল অতি বিপজ্জনক হতে পারে।
No comments