রাজউকের মামলা নিল থানা-বসুন্ধরা এন ব্লকের সব নথি চেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার দ্বিতীয় পর্বের অনুমোদনহীন এন ব্লকের জমির মালিকানার সব নথি ও রেকর্ড দেখতে চেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নোটিশের জবাব দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরে গেলে বসুন্ধরা গ্রুপের দুজন কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বোয়ালিয়া খাল ভরাটের ঘটনায় বসুন্ধরার বিরুদ্ধে রাজউকের করা মামলাটি এক দিন পর গ্রহণ করেছে থানা। গতকাল সকালে মামলা (নম্বর ৫) গ্রহণ করে খিলক্ষেত থানা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বোয়ালিয়া খাল ভরাটের ঘটনায় বসুন্ধরার বিরুদ্ধে রাজউকের করা মামলাটি এক দিন পর গ্রহণ করেছে থানা। গতকাল সকালে মামলা (নম্বর ৫) গ্রহণ করে খিলক্ষেত থানা কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ অধিদপ্তর বসুন্ধরা এন ব্লকের সব নথি দেখতে চাওয়ার পাশাপাশি আগামীকালের মধ্যে এ প্রকল্পের অনুমোদনপত্র পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ওই প্রকল্পের পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন, ঢাকা জেলা প্রশাসকের অনাপত্তিপত্র ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) পানিধারণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত বোয়ালিয়া খাল বেআইনিভাবে ভরাটের অভিযোগে গত সোমবার প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরার ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টকে কারণ দর্শায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
গতকাল বেলা আড়াইটায় ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের মহাব্যবস্থাপক (ভূমি) শফিকুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপক (সম্পত্তি) আবু হেনা পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টির সমাধানে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মুনীর চৌধুরী সময় দিতে সম্মত হননি। তিনি কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রকল্পের সব জমির রেকর্ড ও মালিকানার নথি এবং অনুমোদনপত্র দেখতে চেয়েছেন।
মুনীর চৌধুরী এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, বসুন্ধরার ওই প্রকল্পটি পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ‘লাল’ তালিকাভুক্ত (মারাত্মক পরিবেশদূষণকারী)। অবস্থানগত ছাড়পত্র ও পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় ওই প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নকাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বসুন্ধরা যাতে অবৈধভাবে আবারও কাজ শুরু করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে মুনীর চৌধুরী বলেন, আইন অমান্য করলে বসুন্ধরার মাটি ভরাট যন্ত্রসহ সব যন্ত্রপাতি জব্দ করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ বোয়ালিয়া খালে কী পরিমাণ বালু ফেলে তা ভরাট করেছে, তার একটি হিসাব বের করতে রাজউককে চিঠি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ঢাকা জেলা প্রশাসককে দেওয়া আরেকটি চিঠিতে খালের কী পরিমাণ অংশ ভরাট হয়েছে এবং প্রকল্প এলাকায় কোনো জলাশয় বা নালা ছিল কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে।
বসুন্ধরার বিরুদ্ধে মামলা: বোয়ালিয়া খাল ভরাটের বিষয়ে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে রাজউকের মামলাটি করেন রাজউকের সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ মঞ্জুর এলাহী। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জলাধার সংরক্ষণ আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী কোনো খাল, লেক বা জলাশয় ভরাট করা যায় না। কিন্তু তা লঙ্ঘন করে বোয়ালিয়া খাল ভরাট করা হয়েছে। এ ছাড়া খাল ভরাটের বিষয়টি ড্যাপের পরিপন্থী।
রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অনেক চেষ্টার পর খিলক্ষেত থানা মামলাটি নেয়। প্রথমে থানা নানা রকম টালবাহানা করছিল। প্রথমে বলা হয়, কোন ধারায় মামলা করা হচ্ছে, মামলার বাদী তা স্পষ্ট বলতে পারেননি। তা ছাড়া কাগজপত্রে সমস্যা আছে।
পরে বলা হয়, যাঁকে বিবাদী করে মামলা করা হচ্ছে, তাঁর বয়স কত? এ ছাড়া খাল ভরাটের ঘটনা ‘ঠিক কবে ঘটে’ তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসেন বলেন, এজাহারের ভুল-ত্রুটি সংশোধনের পর মামলাটি নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) পানিধারণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত বোয়ালিয়া খাল বেআইনিভাবে ভরাটের অভিযোগে গত সোমবার প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরার ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টকে কারণ দর্শায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
গতকাল বেলা আড়াইটায় ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের মহাব্যবস্থাপক (ভূমি) শফিকুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপক (সম্পত্তি) আবু হেনা পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টির সমাধানে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মুনীর চৌধুরী সময় দিতে সম্মত হননি। তিনি কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রকল্পের সব জমির রেকর্ড ও মালিকানার নথি এবং অনুমোদনপত্র দেখতে চেয়েছেন।
মুনীর চৌধুরী এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, বসুন্ধরার ওই প্রকল্পটি পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ‘লাল’ তালিকাভুক্ত (মারাত্মক পরিবেশদূষণকারী)। অবস্থানগত ছাড়পত্র ও পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় ওই প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নকাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বসুন্ধরা যাতে অবৈধভাবে আবারও কাজ শুরু করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে মুনীর চৌধুরী বলেন, আইন অমান্য করলে বসুন্ধরার মাটি ভরাট যন্ত্রসহ সব যন্ত্রপাতি জব্দ করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ বোয়ালিয়া খালে কী পরিমাণ বালু ফেলে তা ভরাট করেছে, তার একটি হিসাব বের করতে রাজউককে চিঠি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ঢাকা জেলা প্রশাসককে দেওয়া আরেকটি চিঠিতে খালের কী পরিমাণ অংশ ভরাট হয়েছে এবং প্রকল্প এলাকায় কোনো জলাশয় বা নালা ছিল কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে।
বসুন্ধরার বিরুদ্ধে মামলা: বোয়ালিয়া খাল ভরাটের বিষয়ে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে রাজউকের মামলাটি করেন রাজউকের সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ মঞ্জুর এলাহী। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জলাধার সংরক্ষণ আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী কোনো খাল, লেক বা জলাশয় ভরাট করা যায় না। কিন্তু তা লঙ্ঘন করে বোয়ালিয়া খাল ভরাট করা হয়েছে। এ ছাড়া খাল ভরাটের বিষয়টি ড্যাপের পরিপন্থী।
রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অনেক চেষ্টার পর খিলক্ষেত থানা মামলাটি নেয়। প্রথমে থানা নানা রকম টালবাহানা করছিল। প্রথমে বলা হয়, কোন ধারায় মামলা করা হচ্ছে, মামলার বাদী তা স্পষ্ট বলতে পারেননি। তা ছাড়া কাগজপত্রে সমস্যা আছে।
পরে বলা হয়, যাঁকে বিবাদী করে মামলা করা হচ্ছে, তাঁর বয়স কত? এ ছাড়া খাল ভরাটের ঘটনা ‘ঠিক কবে ঘটে’ তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসেন বলেন, এজাহারের ভুল-ত্রুটি সংশোধনের পর মামলাটি নেওয়া হয়েছে।
No comments