টানা দরপতন বাজারে
শেয়ারবাজারে গতকালও বড় দরপতন ঘটেছে। এ নিয়ে টানা চার দিন বাজারে দরপতন ঘটল। এই চার দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৩২৭ পয়েন্ট কমেছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রথম দুই দিনের পতনকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হিসেবে অভিহিত করলেও গত দুই দিনের পতনকে অস্বাভাবিক ও অপ্রত্যাশিত বলেছেন।
তাঁদের মতে, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি নিয়ে নানা ধরনের আলোচনায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকেরা অবশ্য বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসে যখন ঘাটতি থাকে, তখন সামান্য কিছুতেই সেটি নড়বড়ে হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দিনশেষে ঢাকার বাজারে সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে প্রায় ২ শতাংশ বা ৯৭ পয়েন্ট। এর আগে সোমবার ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক কমেছিল প্রায় ১৬৪ পয়েন্ট। তাতে গত দুই দিনেই ঢাকার বাজারের মূল্যসূচক ২৬১ পয়েন্ট কমে গেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল প্রায় ২ শতাংশ বা ২৭৮ পয়েন্ট কমেছে।
দুই বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডিএসইতে প্রায় ৮৩ শতাংশ এবং সিএসইতে প্রায় ৯০ শতাংশের দাম কমেছে।
আগের দিনের বড় দরপতনের পর গতকাল মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বগতি দিয়েই লেনদেন শুরু হয়েছিল। প্রথম ১৫ মিনিটে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এর পরই দরপতন শুরু হয়, যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইতিবাচক ধারাতেই শেয়ারবাজারে নতুন বছরের সূচনা হয়েছিল। বছরের প্রথম সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৬৯২ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছিল পাঁচ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে। ৪ জানুয়ারি তা প্রায় ১৩২ পয়েন্ট বেড়ে হয় পাঁচ হাজার ৪৮৪ পয়েন্টে। এরপর গত বৃহস্পতি ও রোববার স্বাভাবিক ধারাতেই বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়। ওই দুই দিনে সূচক কমে ৬৬ পয়েন্ট।
এর মধ্যে গত রোববার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে। দেশের অর্থনীতির নানা সমস্যার বিবরণ শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের নতুনভাবে শঙ্কায় ফেলে। যদিও বাজার বিশ্লেষকেরা বলেছেন, বাজার এখনো যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করে ধৈর্য ধরলে মুনাফা আসবেই।
এদিকে, গতকালের দরপতনের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনের সড়কে বিনিয়োগকারীরা আবারও বিক্ষোভ করেছেন। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে পরিষদের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আকতার হোসেন সান্নামাত প্রথম আলোকে বলেন, গত দুই দিনের দরপতন স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত ছিল না। তবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি সম্পর্কে একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের উদ্বেগ কিছুটা হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে। নতুন মুদ্রানীতি নিয়েও তাঁদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। তাই অনেক বিনিয়োগকারী আগেভাগে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণের পথ বেছে নিয়েছেন। এতে বিক্রির চাপ বেড়ে গেছে।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক নেমে এসেছে প্রায় পাঁচ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে প্রায় ৪০৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১৩১ কোটি টাকা কম।
দুই বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডিএসইতে প্রায় ৮৩ শতাংশ এবং সিএসইতে প্রায় ৯০ শতাংশের দাম কমেছে।
আগের দিনের বড় দরপতনের পর গতকাল মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বগতি দিয়েই লেনদেন শুরু হয়েছিল। প্রথম ১৫ মিনিটে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এর পরই দরপতন শুরু হয়, যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইতিবাচক ধারাতেই শেয়ারবাজারে নতুন বছরের সূচনা হয়েছিল। বছরের প্রথম সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৬৯২ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছিল পাঁচ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে। ৪ জানুয়ারি তা প্রায় ১৩২ পয়েন্ট বেড়ে হয় পাঁচ হাজার ৪৮৪ পয়েন্টে। এরপর গত বৃহস্পতি ও রোববার স্বাভাবিক ধারাতেই বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়। ওই দুই দিনে সূচক কমে ৬৬ পয়েন্ট।
এর মধ্যে গত রোববার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে। দেশের অর্থনীতির নানা সমস্যার বিবরণ শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের নতুনভাবে শঙ্কায় ফেলে। যদিও বাজার বিশ্লেষকেরা বলেছেন, বাজার এখনো যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করে ধৈর্য ধরলে মুনাফা আসবেই।
এদিকে, গতকালের দরপতনের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনের সড়কে বিনিয়োগকারীরা আবারও বিক্ষোভ করেছেন। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে পরিষদের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আকতার হোসেন সান্নামাত প্রথম আলোকে বলেন, গত দুই দিনের দরপতন স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত ছিল না। তবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি সম্পর্কে একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের উদ্বেগ কিছুটা হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে। নতুন মুদ্রানীতি নিয়েও তাঁদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। তাই অনেক বিনিয়োগকারী আগেভাগে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণের পথ বেছে নিয়েছেন। এতে বিক্রির চাপ বেড়ে গেছে।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক নেমে এসেছে প্রায় পাঁচ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে প্রায় ৪০৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১৩১ কোটি টাকা কম।
No comments