চট্টগ্রামে ফের তেলের ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ১২টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় মধ্যসাগরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কল পেয়ে আমরা তেলের ট্যাংকারে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিস থেকে একটি গাড়ি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের রেডিও কনট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ট্যাংকারটিতে ক্রুসহ মোট ৫০ জন কর্মরত ছিলেন। রাত ২টা পর্যন্ত ৪৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৭ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা ব্যক্তিরা হলেন ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা, বিএসসির ফোরম্যান নুরুল ইসলাম ও শ্রমিক মো. হারুন। তিনজনই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
ওই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮৬ সালে নির্মাণ করা বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’। নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তর থেকে জাহাজটিকে নিবন্ধন দেওয়া হয় ১৯৮৮ সালে। ৩৮ বছরের পুরোনো জাহাজটি অনেক আগেই স্ক্র্যাপিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএসসির। কিন্তু স্ক্র্যাপিং না করেই ব্যবহার করা হচ্ছিল জাহাজটি। অনেকটা ত্রুটিপূর্ণ থাকার পরেও জাহাজটি ক্রুড লাইটারিংয়ে ব্যবহার করা প্রতিষ্ঠানটিকে। যেই কারণে গেল সোমবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় তেলবাহী জাহাজেটিতে ঘটে বিস্ফোণ।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, বিএসসির বহরে রয়েছে দুইটি অয়েল ট্যাংকার। ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ ও ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামের ট্যাংকার দুইটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল ডেনমার্কে। ট্যাংকার দুইটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে।
চট্টগ্রামে এমটি বাংলার সৌরভ নামে একটি তেলের ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন। ছবি : কালবেলা |
No comments