ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা দিল ইরান!
গেল এপ্রিলের পর পহেলা অক্টোবর। কয়েক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ইরানের মাটি থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। মঙ্গলবারের ওই হামলায় প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। বলা হচ্ছে, বেশ ভালোই সাফল্য পেয়েছে দেশটি। কিন্তু ইসরায়েল আগে থেকেই এমন হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল। বলা হয়, এই হামলা ইসরায়েলের জন্য পোয়াবারো হয়েছে।
প্রথমে যোগাযোগে ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লেবাননকে অস্থির করে তোলে ইসরায়েল। তারপর লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সদরদপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলী এলাকায় একটি আবাসিক ভবনের নিচে আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিল ওই সদরদপ্তর। সেখানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। নিহত হন লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। অল্পের জন্য বেঁচে যান গ্রুপটির শীর্ষ কয়েকজন নেতা।
এরপর পাল্টা জবাবে ইসরায়েলে হামলা করে বসে ইরান। হামলা করা হয় লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেন থেকেও। চতুর্দিক থেকে চালানো হামলা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলও কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে।
ইরানে হামলা চালানোর এমনই একটি উপলক্ষ্য খুঁজছিল ইসরায়েল। তেল আবিবকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে তেহরান। শোনা যাচ্ছে, ইরানের পরমাণু স্থাপনার হামলা করতে চাইছে ইসরায়েল। তবে তাতে সম্মতি নেই যুক্তরাষ্ট্রের। বরং যুক্তরাষ্ট্র চায়, ইরানের অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিতে। সেক্ষেত্রে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তেল রপ্তানি টার্মিনাল লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কথা না-ও শুনতে পারেন নেতানিয়াহু। ইরান গোপনে যেসব অঞ্চলে পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে সেগুলোকে টার্গেট করতে পারে ইসরায়েল। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। সামরিক শক্তিতে ইরান যেমন পিছিয়ে যাবে, তেমনটি অর্থনৈতিকভাবেও বড় ধাক্কা খাবে দেশটি। তাছাড়া পরমাণু কর্মসূচি ব্যর্থ হলে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের জন্য মোটেও হুমকির কারণ হবে না।
No comments