এবার হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য প্রধানকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি ইসরাইলের

বৃহস্পতিবার রাতে বৈরুতে যে হামলা হয়েছিল তা হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাশেম সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে পরিচালনা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সাফিউদ্দিন হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর চাচাতো ভাই এবং সংগঠনটির পরবর্তী সম্ভাব্য প্রধান। তবে ওই হামলায় হাশেম সাফিউদ্দিন আহত বা নিহত হয়েছেন কি না সে সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ইসরাইলি কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন যে, সাফিউদ্দিন দাহেহের একটি বাঙ্কারে হিজবুল্লাহর একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। ওই বাঙ্কারটির অবস্থান হাসান নাসরাল্লাহর নিহত হওয়ার স্থানের আশপাশেই বলে দাবি করেছে ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের লেবানন বিষয়ক সিনিয়র বিশ্লেষক ডেভিড উড বলেছেন, ইসরাইল বারবার বৈরুতের ওই অঞ্চলে হামলা চালানোর পরও সেখানে হিজবুল্লাহর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও সংগঠনটির কাছে এই মুহূর্তে বিকল্প উপায় নেই। উড বলেছেন, এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য আপনাকে হিজবুল্লাহর ওপর পেজার হামলার দিকে ফিরে তাকাতে হবে। হিজবুল্লাহর মধ্যে ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনীর এজেন্ট আছে কি না সে সন্দেহ একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না। এই মুহূর্তে হিজবুল্লাহ নেতাদের মুখোমুখি বৈঠক করা ছাড়া কোনো উপায় নেই, সেক্ষেত্রে তারা দাহেহ ছাড়া আর কোথায় যেতে পারে?
দাহেহে হিজবুল্লাহর ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার রয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু এই বাঙ্কারগুলি এমন এক সময়ে স্থাপন করা হয়েছিল যখন হিজবুল্লাহ বিশ্বাস করেছিল যে ইসরাইলের নজর থেকে তাদের নেতৃবৃন্দ নিরাপদ রয়েছে। তবে এখন তাদের এই ধারণা দূর হয়েছে বলে মনে করেন উড। সাফিউদ্দীনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এই মুহূর্তে একজন নেতাকে রক্ষা করাই নয়, হিজবুল্লাহর সকল নেতাকে রক্ষা করাই সংগঠনটির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই সময়টি হিজবুল্লাহর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের লেবানন বিষয়ক ওই বিশ্লেষক।

উল্লেখ্য, সাফিউদ্দিন লেবাননের টায়ার শহরের কাছে দের কানুন এন-নাহর গ্রামে ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাসান নাসরাল্লাহর সঙ্গে ইরাকের নাজাফ ও ইরানের কম শহরে শিয়াদের প্রধান দুটি শিক্ষাকেন্দ্রে প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। হিজবুল্লাহর যাত্রার শুরুর দিকেই তারা একসঙ্গে সংগঠনটিতে যোগ দেন। ইরানের সঙ্গে সাফিউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তিনি ইরানের আলোচিত সেনাপ্রধান নিহত কাশেম সুলাইমানির মেয়ের জামাই। কাশেম ২০২০ সালে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.