হাসিনা গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড: রাশেদ খান

শেখ হাসিনাকে গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড আখ্যা দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, আজকে কাউকে কাউকে আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বলা হচ্ছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানে একক কাউকে মাস্টারমাইন্ড বলা মানে অন্যদের অবদান অস্বীকার করা। এই আন্দোলন ছিল সার্বজনীন আন্দোলন। সকল দল মত পথের মানুষ ছিল। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে এই ২য় মুক্তি আমরা পেয়েছি। এটাতে আওয়ামী লীগের মত কেউ একক অর্জন মনে করলে তাদের অবস্থাও আওয়ামী লীগের মত হবে। এখন সময় এসেছে দেশকে গড়ার। কর্তৃক ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে স্বাধীনতাকে কেউ নস্যাৎ করবেন না। আগামীতে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির সরকার গঠন করে এই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে আসতে গিয়ে রাস্তায় যে অবস্থা দেখলাম, এতে মনে হলো উন্নয়নের নামে কিশোরগঞ্জবাসীর সাথে বেইমানি করা হয়েছে। পুরো রাস্তা ভাঙাচোরা, কর্দমাক্ত। যে জেলা থেকে তিনজন রাষ্ট্রপতি হয়েছে, সেই জেলার এই হাল কেন? আপনাদের এলাকার জনপ্রতিনিধি ছিল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। সে তো জাতীয় বেইমান। সে জাতীয় পার্টিকে শেখ হাসিনার দোসর বানিয়েছে। জিএম কাদেরকে ব্লাকমেইল করে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে নিয়ে গিয়েছে। এই বেইমানকে আপনাদের উচিত তাড়াইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা। তিনি বলেন, আমরা ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন করেছি। এরপর দল গঠন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছি। আমরা তো সেই ২০২১ সালেই বলেছি, দলীয় প্রধান রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারবে না, ২ বারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারবে না, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে। এই রাষ্ট্র সংস্কারের বাণী পৌঁছে দিতেই আমরা তাড়াইলে এসেছি।

তাড়াইল উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জহিরুল হকের সভাপতিত্বে তারুণ্যের সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, উচ্চতর পরিষদের সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম, বৈদেশিক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এবং সহ দপ্তর সম্পাদক মোখলেসুর রহমান উজ্জ্বল। গণঅধিকার পরিষদের তাড়াইল উপজেলার সদস্য সচিব জাকিরুল ইসলাম বাকির সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.