ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরাইলের জন্য ন্যূনতম শাস্তি -খামেনি
তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় এসব কথা বলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। গত পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি প্রথমবারের মতো জুমার নামাজের খুতবা দিলেন। এর আগে ২০২০ সালে মার্কিন হামলায় বিপ্লবী গার্ডের জেনারেল কাসেম সোলেইমানীকে হত্যা করার পর খামেনি শেষবার জুমার খুতবা দিয়েছিলেন। ফার্সি ভাষায় দেয়া এই খুতবার প্রথম অংশে খামেনি পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের নীতির ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ‘ঐক্য’ গড়ার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, ইরান, ফিলিস্তিন, লেবাননের শত্রু প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের শত্রু। আনুষ্ঠানিকভাবে তেহরানের গ্র্যান্ড মসজিদের জুমার খুতবা খামেনির দেয়ার কথা থাকলেও জরুরি পরিস্থিতি না হলে তা থেকে তিনি বিরত থাকেন। তার পরিবর্তে সাধারণত অন্য কেউ জুমার নামাজের ইমামতি করেন।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লেবানন এবং ফিলিস্তিনিদের সম্বোধন করে আরবি ভাষায়ও একটি বক্তব্য দেবেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। হামাস-ইসরাইল সংঘাতের এক বছর পূর্তির তিনদিন আগে এই ভাষণ দিলেন তিনি। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) কমান্ডার আব্বাস নীলফরৌশানের পাশাপাশি হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তিনদিন পরে এই ভাষণ দিলেন খামেনি। ২০২০ সালে বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পরে এবং পরবর্তীতে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর খামেনি শেষবার তার জুমার খুতবা দিয়েছিলেন। এর আগে ২০১২ সালেও এভাবে জুমার খুতবা দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
No comments