ইসরাইলি সামরিক বাহিনী লেবাননের আরও ২০টিরও বেশি দক্ষিণ শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরে যেতে বলেছে, ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র আভিচে আদ্রাই এক্স-এ একটি পোস্টে একথা লিখেছেন। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলের স্থল অভিযান ও বৈরুতসহ বিভিন্ন স্থানে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে ইসরাইলি হামলা বাড়ার ফলে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা দেশটি থেকে চলে যেতে শুরু করেছেন। কয়েকটি দেশ বিমানযোগে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিলেও অন্যরা জাহাজ বা ফেরিতে করে দেশ ছেড়েছেন। বিমানে থাকা যাত্রীরা জানান, কীভাবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্রমবর্ধমান হামলা এবং হিজবুল্লাহর নেতৃত্বের ওপর চালানো আঘাতের ফলে শহরে বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। লেবাননে অবস্থারনত প্রবাসীরা দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। চীন থেকে ইউরোপ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের উদ্ধার করতে পরিকল্পনা করছে। রাশিয়া বৃহস্পতিবার তাদের কূটনীতিকদের পরিবারকে সরিয়ে নিতে একটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। অস্ট্রেলিয়া নিজের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার জন্য বিমানের শতাধিক সিটের ব্যবস্থা করেছে। হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বোমা হামলায় বৈরুট বিমানবন্দরের ঠিক বাইরে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাদের লক্ষ্য কী ছিল সেটি এখনও স্পষ্ট না। তবে রাজধানীতে বিমানবন্দরের এই দাহিয়েহ এলাকার সীমানা হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি।অন্যদিকে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে চালানো আক্রমণে লেবাননের দক্ষিণে দেশটির দুই সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের সেনাবাহিনী।হিজবুল্লাহ বলছে, তারা সীমান্তের দুই দিক থেকে ইসরায়েলি সেনাদের নিশানা করেছে। আক্রমণের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে লেবানিজ সেনাবাহিনীর সৈন্যদের ওপর এই প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়। এদিকে রেড ক্রস জানিয়েছে, তাদের চারজন স্বেচ্ছাসেবকও সামান্য আহত হয়েছে আর তাদের চলাচল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
সূত্র : দা গার্ডিয়ান
হিজবুল্লাহর কমিউনিকেশন কমান্ডার নিহত, সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি ইসরাইলের
লেবাননের যোদ্ধা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কমিউনিকেশন কমান্ডার মুহাম্মদ রাশিদ সাকাফিকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি বৃহস্পতিবার বৈরুতে এক হামলার মাধ্যমে হিজবুল্লাহর ওই কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স বলেছে, সাকাফি ২০০০ সাল থেকে হিজবুল্লাহর সাথে ছিলেন। তিনি সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্বের খুব আস্থাভাজন ছিলেন বলেও জানিয়েছে আইডিএফ। তবে ইসরাইলের এই দাবির প্রেক্ষিতে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি হিজবুল্লাহ। অন্যদিকে লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী ভূগর্ভস্থ টানেলে হামলার দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এক্সে দেয়া এক বার্তায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা। বার্তায় আইডিএফ বলেছে, ইসরাইলের বিমান বাহিনী হিজবুল্লাহর একটি টানেলে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের দাবি, টানেলটি অস্ত্র সরবরাহের কাজে ব্যবহার করত হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। টানেলের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর স্থাপনা এবং বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসের দাবিও করেছে ইসরাইল।
No comments