খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সেলিম উদ্দিন

আগস্ট বিজয়োত্তর খুনিদের চিহ্নিত ও বিচার করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে দেশে মানবতাবিরোধী রাজনীতির অবসান ঘটনার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় ৪ শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমীর বলেন, মূলত বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও সকল ক্ষেত্রে জাস্টিস প্রতিষ্ঠার জন্যই ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। কিন্তু এই আন্দোলন মোটেই নির্বিঘ্নে হয়নি বরং শত-সহস্র প্রাণের বিনিময়ে এই আন্দোলন বিজয় লাভ করেছে। তাই এই আন্দোলন দমাতে গিয়ে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছেন তাদের জন্য অবশ্যই শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে। খুনিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এজন্য দেশে মানবিক রাজনৈতিক দল দরকার। সে শূন্যতা পূরণের জন্য জামায়াত দীর্ঘ পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের মুক্তি, কল্যাণ ও উন্নতির জন্য আমরা শপথবদ্ধ। তাই জামায়াতকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই দেশকে দুর্নীতি মুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।

তিনি বলেন, আগস্ট বিপ্লবের শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। শাহাদাত আল্লাহর ফয়সালা ও মহাসম্মানের। আমাদের সন্তানরা জালিম শাসকের উৎখাত ও জুলুমের অবসানের জন্য হাসিমুখে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। আমাদের বীর সন্তানরা বৈষম্যমুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছিল। রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে পাখির মত নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। যা বিশ্ব ইতিহাসে নজীরবিহীন। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই এসব অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, শহীদরা আমাদেরকে নতুন করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তাদের জন্য তাদের পরিবারের সঙ্গে পুরো জাতিই গর্বিত। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। শহীদদের স্মরণে দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যায়, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, জনহিতকর ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসাসহ তাদের পরিবারসহ শহীদ পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের জন্য সম্ভব সবকিছুই করা দরকার। প্রয়োজনে আহতদের দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ কাজে জামায়াত সবসময় তাদের পাশে থাকবে-ইনশাআল্লাহ।

থানা আমীর ডা. মু. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জোন পরিচালক জিয়াউল হাসান, মোহাম্মদপুর দক্ষিণ থানা আমীর সাখাওয়াত হোসেন, থানা নায়েবে আমীর মাহাদী হাসান, সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, রুহুল আমীন, আশরাফুল আলম, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.