বিসিএসে প্রথম হলেন চিকিৎসক নীলিমা by মোছাব্বের হোসেন
নীলিমা ইয়াসমিন |
সম্প্রতি
প্রকাশিত চিকিৎসকদের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে দেশসেরা হয়েছেন নীলিমা
ইয়াসমিন। এই বিসিএসে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নেওয়া হয়। নীলিমা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়ার সময় বিয়ে হয় নীলিমা ইয়াসমিনের। সংসার, সন্তান সবকিছু সামলে তিনি পড়াশোনায় করেই এ ফল করেছেন। ফলে সেরা হওয়ার পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না নীলিমার।
নীলিমা বলছিলেন, ‘তৃতীয় বর্ষে পড়ি তখন বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসারের চাপ তো আছেই। তবে নিজের পড়াশোনাটা করে গেছি ঠিকমতো। আর তার ফলও পেয়েছি হাতেনাতে। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে স্বর্ণপদক নিয়েছিলাম সেরা ফলের জন্য।’
নীলিমার জীবনে প্রথম বিসিএস পরীক্ষা ছিল ৩৮তম বিসিএস। এই পরীক্ষার তিন দিন পর এফসিপিএস পরীক্ষা। সন্তানের বয়সও চার মাস। সব মিলে দারুণ এক চাপে ছিলেন তিনি। ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন, সে ফলাফল এখনো হয়নি। এফসিপিএসের মতো কঠিন পরীক্ষাতেও পেয়েছেন সফলতা।
নীলিমার পড়াশোনায় ভালো করার অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ঢাকার মুন্সি আব্দুর রউফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি আর ২০১০ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করেন। বৃত্তি নিয়ে দুটোতেই গোল্ডেন জিপিএ ৫ পান। এরপর ভর্তি হন সিলেটের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে।
মেডিকেলে ভালো ফলাফলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণ পদক পেয়ে নিজের প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিল নীলিমার। ছেলে নাহিয়ান হকের বয়স যখন ১ বছর তখন ৩৯তম বিসিএসে অংশ নেন তিনি। পরীক্ষা ভালোই দিয়েছিলেন। বললেন, ‘যখন ৩৯তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিয়ে বের হলাম, তখন মিলিয়ে দেখলাম যে ১৬৪/১৬৫ পাব। মৌখিক পরীক্ষাও দিলাম বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। ফলাফলের দিন নিজের ফলাফল দেখে কিছুটা অবাক হলেও আবেগে ভাসিনি। ভালো পরীক্ষা দিয়েই তো এ ফল পেয়েছি।’
নীলিমার স্বামী জিহাদুল হকও চিকিৎসক হিসেব কর্মরত। নীলিমা বললেন, ‘স্বামী চিকিৎসক হওয়াতে তিনি সবকিছুতে সহায়তা করেছেন। বিসিএসে আমার ভালো ফলাফলের কৃতিত্ব তাঁরও আছে।’
নীলিমার গ্রামের বাড়ি ফেনীতে হলেও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। বাবা মোহাম্মাদ হানিফ ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী আর মা গৃহিণী। বাবা-মা সব সময় তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। বাবা ২০১৩ সালে মারা যান। নীলিমার সন্তানের বয়স এখন ২ বছর।
নীলিমা ভালো চিকিৎসক হতে চান। চিকিৎসকদের সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক মনোভাব বদলে মানুষ আর চিকিৎসকের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে চান তিনি।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়ার সময় বিয়ে হয় নীলিমা ইয়াসমিনের। সংসার, সন্তান সবকিছু সামলে তিনি পড়াশোনায় করেই এ ফল করেছেন। ফলে সেরা হওয়ার পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না নীলিমার।
নীলিমা বলছিলেন, ‘তৃতীয় বর্ষে পড়ি তখন বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসারের চাপ তো আছেই। তবে নিজের পড়াশোনাটা করে গেছি ঠিকমতো। আর তার ফলও পেয়েছি হাতেনাতে। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে স্বর্ণপদক নিয়েছিলাম সেরা ফলের জন্য।’
নীলিমার জীবনে প্রথম বিসিএস পরীক্ষা ছিল ৩৮তম বিসিএস। এই পরীক্ষার তিন দিন পর এফসিপিএস পরীক্ষা। সন্তানের বয়সও চার মাস। সব মিলে দারুণ এক চাপে ছিলেন তিনি। ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন, সে ফলাফল এখনো হয়নি। এফসিপিএসের মতো কঠিন পরীক্ষাতেও পেয়েছেন সফলতা।
নীলিমার পড়াশোনায় ভালো করার অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ঢাকার মুন্সি আব্দুর রউফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি আর ২০১০ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করেন। বৃত্তি নিয়ে দুটোতেই গোল্ডেন জিপিএ ৫ পান। এরপর ভর্তি হন সিলেটের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে।
মেডিকেলে ভালো ফলাফলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণ পদক পেয়ে নিজের প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিল নীলিমার। ছেলে নাহিয়ান হকের বয়স যখন ১ বছর তখন ৩৯তম বিসিএসে অংশ নেন তিনি। পরীক্ষা ভালোই দিয়েছিলেন। বললেন, ‘যখন ৩৯তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিয়ে বের হলাম, তখন মিলিয়ে দেখলাম যে ১৬৪/১৬৫ পাব। মৌখিক পরীক্ষাও দিলাম বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। ফলাফলের দিন নিজের ফলাফল দেখে কিছুটা অবাক হলেও আবেগে ভাসিনি। ভালো পরীক্ষা দিয়েই তো এ ফল পেয়েছি।’
নীলিমার স্বামী জিহাদুল হকও চিকিৎসক হিসেব কর্মরত। নীলিমা বললেন, ‘স্বামী চিকিৎসক হওয়াতে তিনি সবকিছুতে সহায়তা করেছেন। বিসিএসে আমার ভালো ফলাফলের কৃতিত্ব তাঁরও আছে।’
নীলিমার গ্রামের বাড়ি ফেনীতে হলেও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। বাবা মোহাম্মাদ হানিফ ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী আর মা গৃহিণী। বাবা-মা সব সময় তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। বাবা ২০১৩ সালে মারা যান। নীলিমার সন্তানের বয়স এখন ২ বছর।
নীলিমা ভালো চিকিৎসক হতে চান। চিকিৎসকদের সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক মনোভাব বদলে মানুষ আর চিকিৎসকের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে চান তিনি।
No comments