ঘাতকের জবানিতে নারায়ণগঞ্জের মাজেদ হত্যার নৃশংস বর্ণনা
অনেক
আশা ছিল বিদেশ গিয়ে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে মাজেদ আলী। এ জন্য
ধারদেনা আর ভিটেমাটি বিক্রি করে ২ লাখ টাকা তুলে দেয় মহিউদ্দিন বুলু নামে
এক আদম ব্যবসায়ীর হাতে। কিন্তু অসহায় মাজেদ বুঝতে পারেনি তাকে বিদেশ নয়,
টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরপারে পাঠিয়ে দেয়া হবে। পরিকল্পনা মতে আদম ব্যবসায়ী বুলু
তার এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে মাজেদকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ মেঘনা নদীতে
ফেলে দেয়। মিইয়ে যায় মাজেদের বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন মেঘনার গভীর জলে। এখানেই
শেষ নয়, মাজেদ বাঁচার জন্য বুলুর হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত
করে। বুলু হত্যা মিশন শেষ করে মাজেদের স্ত্রীকে গিয়ে বলে, ঝগড়ার একপর্যায়ে
মাজেদ তার হাতে কামড় দিয়েছে। পরে মাজেদের স্ত্রী ঘাতক বুলুকে ফার্মেসিতে
নিয়ে চিকিৎসা করায়। তার হাতে কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়। কিন্তু স্বামীর খোঁজে
পাগল প্রায় নাজমা বেগম কান্নাকাটি শুরু করলে কৌশলে পালিয়ে যায় ঘাতক বুলু।
এমন একটি নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব-১১। ঘটনার
দুই মাসে পর্যাক্রমে গ্রেপ্তার করা হয় ঘাতক মহিউদ্দিন বুলু, তার সহযোগী
সুলতান মাহমুদ বাবু ও তাদের বহনকারী নৌকার মাঝি সোহেলকে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর সিও কর্নেল কাজী শমসের উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১১ এর মেজর সাকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন প্রমুখ।
র্যাব-১১এর সিও জানান, বিদেশ পাঠানোর কথা বলে আদম ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বুলু পাবনা থেকে মাজেদ আলী ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার টাগার পাড় এলাকায় এনে একটি ভাড়া বাসায় রাখে। বুলুর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গোয়াগাছিয়া এলাকায়। একপর্যায়ে পাসপোর্ট, ভিসা, মেডিক্যাল ও বিভিন্ন কাজের কথা বলে আদম ব্যবসায়ী বুলু তাদের কাছে থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু বিদেশ না পাঠিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে বুলু। একপর্যায়ে চলতি বছরের ১০ই মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নিখোঁজ হয় মাজেদ। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাজমা বেগম ১২ই মার্চ ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি করেন। ১৩ই মার্চ নাজমা বেগম জিডির একটি কপি র্যাব-১১ কে দেয়। ওই জিডির সূত্রধরে, মাজেদের সন্ধানে নামে র্যাবের মেজর সাকিব ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী। এক পর্যায়ে সন্দেহজনক হিসেবে মহিউদ্দিন বুলু (৪২)কে ৮ই এপ্রিল ফতুল্লার শিবু মার্কেট থেকে আটক করে র্যাব।
এদিকে র্যাব প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে মাজেদ আলীর মোবাইল ফোন সর্বশেষ ব্যবহার হয়েছে গজারিয়ার গোয়াগাছিয়ায় মেঘনা নদীর পাড়ে। একপর্যায়ে সোহেল (২১) নামে এক ইঞ্জিন চালিত নৌকার মাঝিকে আটক করার পর উদঘাটিত হয় মাজেদ নিখোঁজের তথ্য। সোহেলের বাড়ি দাউদকান্দির চরকাটালী এলাকায়।
১৩ই মে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সোহেল ঘটনার আদ্যপ্রান্ত বর্ণনা করে। তার তথ্যমতে ১৩ই মে দিবাগত রাত দেড়টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গোয়াগাটিয়ার শিমুলিয়া এলাকায় নজ বাড়ি থেকে সুলতান মাহমুদ বাবু (৩৬) কে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত মহিউদ্দিন বুলু ও সুলতান মাহমুদ বাবু সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।
যেভাবে হত্যা করা হয় মাজেদকে: সোহেল আদালতকে জানায়, সে দাউদকান্দি বাজার হতে চরকাটালী এলাকায় গোমতী নদীতে নৌকা চালায়। সুলতান মাহমুদ বাবু নামে এক ব্যক্তি তার এলাকায় বিয়ে করার সূত্রে এলাকার জামাই হিসেবে তাকে সে চিনে। সুলতান মাহমুদ বাবুর বাড়ি গজারিয়ার গোয়াগাছিয়া এলাকায়। ঘটনার দিন ১০ মার্চ সকালে বাবু ১ হাজার টাকা ভাড়ায় সারাদিনের জন্য সোহেলের নৌকা ভাড়া করে। সকাল ১১টায় দাউদকান্দি হতে বাবু নৌকায় গজারিয়ার কালিরবাজার এালাকায় আসে। নৌকার মাঝি সোহেল ও বাবু সেখানে দুপুরের খাবার খায়। দুপুরের পর বাবু সোহেলকে কালিরবাজার থেকে চাষির বালুর মাঠের দিকে যেতে বলে। বিকাল সাড়ে ৩টায় তারা দাউদকান্দি ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে চাষির বালুর মাঠে নৌকা ভিড়ালে বাবুর পরিচিত আরো দুইজন ব্যক্তি নৌকায় ওঠে। তাদের আলাপ কালে সোহেল জানতে পারে তাদের একজনের নাম বুলু ও অপর জনের নাম মাজেদ।
নৌকায় উঠার পর বুলু সোহেলকে বেলতলী মাজারের দিকে যেতে বলে। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর বাবু, বুলু ও মাজেদ নৌকায় উঠে গোয়াগাছিয়া বালু মহলের দিকে নৌকা চালাতে বলে। সেখানে পৌঁছে তারা তিনজন বালু মহলে উঠে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে সোহেল মোবাইলে বাবুকে ফেরার তাড়া দেয়। প্রায় ১০ মিনিট পর তারা তিন জন এসে নৌকায় ওঠে। সোহেল সহজ পথ দিয়ে দাউদকান্দি আসতে চাইলেও মহিউদ্দিন বুলু যে পথ দিয়ে এসেছে, সে পথ দিয়ে নৌকা চালানোর নির্দেশ দেয়। আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে প্রায় অন্ধকার নেমে আসছিল এবং নৌকা মেঘনা নদীতে গোয়াগাছিয়ার মোড়ে পৌঁছায়। মাজেদ আলী নৌকার সামনের দিকে ছাউনির বাহিরে দাঁড়ানো ছিল।
তখন মহিউদ্দিন বুলু মাজেদকে নৌকার ছাউনির ভেতর ঢুকানোর জন্য বাবুকে নির্দেশ দেয়। তখন বাবু মাজেদকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ধস্তাধস্তি করে ছাউনির ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলে। বুলু ও বাবু কিল ঘুষি মেরে মাজেদকে নৌকার পাটাতনে শুইয়ে ফেলে। বুলু মাজেদের বুকের উপর উঠে বসে এবং বাবু মাজেদের পায়ের ওপর বসে জোরে পা চেপে ধরে। মাজেদ বাঁচাও, বাঁচাও চিৎকার করলে বুলু সোহেলকে ইঞ্জিনের শব্দ বাড়িয়ে দিতে বলে, যাতে পার্শ্ববর্তী নৌকা থেকে কেউ চিৎকার শুনতে না পায়। সোহেল ইঞ্জিনের শব্দ বাড়িয়ে দেয়। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বুলু ও বাবু নির্যাতন করে, গলা টিপে ও নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে মাজেদকে হত্যা করে। তবে মাজেদ বাঁচার জন্য বুলুর হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে কামড় দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে বুলু ও বাবু ধরাধরি করে মাজেদের লাশ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। লাশ ফেলে দেয়ার পর বুলু পাটাতনে টর্চ লাইটের আলোতে রক্ত দেখলে সোহেলকে রক্ত পরিষ্কার করতে বলে। সোহেল বুলুর নির্দেশে নদী থেকে পানি তুলে রক্ত পরিষ্কার করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বুলু ও বাবু সোহেলকে ১ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দাউদকান্দি ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে নেমে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর সিও কর্নেল কাজী শমসের উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১১ এর মেজর সাকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন প্রমুখ।
র্যাব-১১এর সিও জানান, বিদেশ পাঠানোর কথা বলে আদম ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বুলু পাবনা থেকে মাজেদ আলী ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার টাগার পাড় এলাকায় এনে একটি ভাড়া বাসায় রাখে। বুলুর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গোয়াগাছিয়া এলাকায়। একপর্যায়ে পাসপোর্ট, ভিসা, মেডিক্যাল ও বিভিন্ন কাজের কথা বলে আদম ব্যবসায়ী বুলু তাদের কাছে থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু বিদেশ না পাঠিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে বুলু। একপর্যায়ে চলতি বছরের ১০ই মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নিখোঁজ হয় মাজেদ। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাজমা বেগম ১২ই মার্চ ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি করেন। ১৩ই মার্চ নাজমা বেগম জিডির একটি কপি র্যাব-১১ কে দেয়। ওই জিডির সূত্রধরে, মাজেদের সন্ধানে নামে র্যাবের মেজর সাকিব ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী। এক পর্যায়ে সন্দেহজনক হিসেবে মহিউদ্দিন বুলু (৪২)কে ৮ই এপ্রিল ফতুল্লার শিবু মার্কেট থেকে আটক করে র্যাব।
এদিকে র্যাব প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে মাজেদ আলীর মোবাইল ফোন সর্বশেষ ব্যবহার হয়েছে গজারিয়ার গোয়াগাছিয়ায় মেঘনা নদীর পাড়ে। একপর্যায়ে সোহেল (২১) নামে এক ইঞ্জিন চালিত নৌকার মাঝিকে আটক করার পর উদঘাটিত হয় মাজেদ নিখোঁজের তথ্য। সোহেলের বাড়ি দাউদকান্দির চরকাটালী এলাকায়।
১৩ই মে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সোহেল ঘটনার আদ্যপ্রান্ত বর্ণনা করে। তার তথ্যমতে ১৩ই মে দিবাগত রাত দেড়টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গোয়াগাটিয়ার শিমুলিয়া এলাকায় নজ বাড়ি থেকে সুলতান মাহমুদ বাবু (৩৬) কে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত মহিউদ্দিন বুলু ও সুলতান মাহমুদ বাবু সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।
যেভাবে হত্যা করা হয় মাজেদকে: সোহেল আদালতকে জানায়, সে দাউদকান্দি বাজার হতে চরকাটালী এলাকায় গোমতী নদীতে নৌকা চালায়। সুলতান মাহমুদ বাবু নামে এক ব্যক্তি তার এলাকায় বিয়ে করার সূত্রে এলাকার জামাই হিসেবে তাকে সে চিনে। সুলতান মাহমুদ বাবুর বাড়ি গজারিয়ার গোয়াগাছিয়া এলাকায়। ঘটনার দিন ১০ মার্চ সকালে বাবু ১ হাজার টাকা ভাড়ায় সারাদিনের জন্য সোহেলের নৌকা ভাড়া করে। সকাল ১১টায় দাউদকান্দি হতে বাবু নৌকায় গজারিয়ার কালিরবাজার এালাকায় আসে। নৌকার মাঝি সোহেল ও বাবু সেখানে দুপুরের খাবার খায়। দুপুরের পর বাবু সোহেলকে কালিরবাজার থেকে চাষির বালুর মাঠের দিকে যেতে বলে। বিকাল সাড়ে ৩টায় তারা দাউদকান্দি ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে চাষির বালুর মাঠে নৌকা ভিড়ালে বাবুর পরিচিত আরো দুইজন ব্যক্তি নৌকায় ওঠে। তাদের আলাপ কালে সোহেল জানতে পারে তাদের একজনের নাম বুলু ও অপর জনের নাম মাজেদ।
নৌকায় উঠার পর বুলু সোহেলকে বেলতলী মাজারের দিকে যেতে বলে। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর বাবু, বুলু ও মাজেদ নৌকায় উঠে গোয়াগাছিয়া বালু মহলের দিকে নৌকা চালাতে বলে। সেখানে পৌঁছে তারা তিনজন বালু মহলে উঠে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে সোহেল মোবাইলে বাবুকে ফেরার তাড়া দেয়। প্রায় ১০ মিনিট পর তারা তিন জন এসে নৌকায় ওঠে। সোহেল সহজ পথ দিয়ে দাউদকান্দি আসতে চাইলেও মহিউদ্দিন বুলু যে পথ দিয়ে এসেছে, সে পথ দিয়ে নৌকা চালানোর নির্দেশ দেয়। আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে প্রায় অন্ধকার নেমে আসছিল এবং নৌকা মেঘনা নদীতে গোয়াগাছিয়ার মোড়ে পৌঁছায়। মাজেদ আলী নৌকার সামনের দিকে ছাউনির বাহিরে দাঁড়ানো ছিল।
তখন মহিউদ্দিন বুলু মাজেদকে নৌকার ছাউনির ভেতর ঢুকানোর জন্য বাবুকে নির্দেশ দেয়। তখন বাবু মাজেদকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ধস্তাধস্তি করে ছাউনির ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলে। বুলু ও বাবু কিল ঘুষি মেরে মাজেদকে নৌকার পাটাতনে শুইয়ে ফেলে। বুলু মাজেদের বুকের উপর উঠে বসে এবং বাবু মাজেদের পায়ের ওপর বসে জোরে পা চেপে ধরে। মাজেদ বাঁচাও, বাঁচাও চিৎকার করলে বুলু সোহেলকে ইঞ্জিনের শব্দ বাড়িয়ে দিতে বলে, যাতে পার্শ্ববর্তী নৌকা থেকে কেউ চিৎকার শুনতে না পায়। সোহেল ইঞ্জিনের শব্দ বাড়িয়ে দেয়। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বুলু ও বাবু নির্যাতন করে, গলা টিপে ও নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে মাজেদকে হত্যা করে। তবে মাজেদ বাঁচার জন্য বুলুর হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে কামড় দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে বুলু ও বাবু ধরাধরি করে মাজেদের লাশ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। লাশ ফেলে দেয়ার পর বুলু পাটাতনে টর্চ লাইটের আলোতে রক্ত দেখলে সোহেলকে রক্ত পরিষ্কার করতে বলে। সোহেল বুলুর নির্দেশে নদী থেকে পানি তুলে রক্ত পরিষ্কার করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বুলু ও বাবু সোহেলকে ১ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দাউদকান্দি ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে নেমে যায়।
No comments