ভূমধ্যসাগর ট্র্যাজেডি: নিখোঁজ চার তরুণ, নিস্তব্ধ বিয়ানীবাজার by মিলাদ জয়নুল
যেকোনো
মূল্যে ইউরোপে যেতে চায় সিলেটের তরুণরা। এই জেলার মধ্যে আবার
বিয়ানীবাজারের তরুণরা এই পথে পা বাড়ায় বেশি। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে হলেও জীবন
সাজাতে তাদের কোনো ভয় নেই। এখানকার তরুণদের মনে-ইউরোপ মানে বিলাসী জীবন,
সংসারের সুখ-শান্তি।
এই শান্তির পেছনে ছুটতে গিয়ে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে এখনো নিখোঁজ বিয়ানীবাজারের ৪ তরুণ। তবে সন্তান নিখোঁজের ঘটনায় তাদের পরিবারের কোনো সদস্য সহজে মুখ খুলতে চায় না। পরিবারের উজ্জ্বল-উচ্ছল সন্তান অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি থাকলেও খোদ বাবা-মা’ই নীরব-নিস্তব্ধ।
নিখোঁজদের মধ্য থেকে আবার একজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। আব্দুল হালিম সুজন (৩২) নামের ওই যুবক উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের মাইজকাপন গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে। এদিকে চারখাই ইউনিয়নের আদিনাবাদ গ্রামের তুহিন (২৮) নামের অপর আরেক তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর। তিনি ওই তরুণের বাড়ি ঘুরে এসে জানান, গত ৬ই মে তুহিন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ যোগাযোগ করে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়।
অপরদিকে একইপথে ইতালি যেতে নিখোঁজ হয়েছে রফিক আহমদ ও রিপন আহমদ নামের আরো দুই যুবক। বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর বলেন, সাগরে জীবনহানির জন্য যারা প্রলোভন দেখিয়েছে, সেসব আদম ব্যবসায়ীকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। কোনো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিখোঁজ সুজনের বড় ভাই আব্দুল আলিম জানান, সুজন দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। মা-বাবাহীন পরিবারের চার ভাই ও এক বোনের সংসারের হাল ধরতে ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিল। পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার গোয়ালি গ্রামের শাহিন আহমদ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার পারভেজ আহমদ নামের এক দালালের সঙ্গে ৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রায় ১ বছর আগে ইতালি যাওয়ার জন্য চুক্তি হয়েছিল। দীর্ঘদিন লিবিয়াতে অবস্থান করার পর গত বৃহস্পতিবার (৯ই মে) সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার জন্য ট্রলারে চড়ে সে সহ আরো কয়েকজন। ট্রলারে চড়ার পূর্বে সুজন বাড়িতে সর্বশেষ যোগাযোগ করেছে বলে জানান তার ভাই আব্দুল আলিম। নৌকাডুবির ঘটনা জানার পর থেকে আমার পরিবার-পরিজনদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। কেননা, ট্রলারে চড়ার পর থেকে এখনো বাড়িতে সে যোগাযোগ করেনি। ভাইয়ের খোঁজ নেয়ার জন্য দালালের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করলে পারভেজ নামের ওই আদম ব্যবসায়ী জানান, আমরা সুজনকে ইতালিগামী ট্রলারে তুলে দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, লিবিয়ায় এখনো ইতালি যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন সিলেটের আরো কমপক্ষে ১২শ’ তরুণ। এদের মধ্যে বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রায় দেড়শ’ তরুণ সেখানে অপেক্ষা করছে। যারা ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে কয়েকটি দেশ ঘুরে লিবিয়ায় পৌঁছে। লিবিয়া পর্যন্ত পৌঁছতে তাদের একেকজনকে সাড়ে ৬ লাখ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত আদম ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিতে হয়েছে। এর আগেও বিয়ানীবাজার উপজেলার আরো ৩ তরুণ ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার প্রায় ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ হওয়া ফতেহপুরের ইমন (২২), শ্রীধরার ফরিদুল আলম (২৪) ও খাসা গ্রামের ইমরান (৩০) আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় কোনো মামলাও দায়ের করেনি।
এই শান্তির পেছনে ছুটতে গিয়ে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে এখনো নিখোঁজ বিয়ানীবাজারের ৪ তরুণ। তবে সন্তান নিখোঁজের ঘটনায় তাদের পরিবারের কোনো সদস্য সহজে মুখ খুলতে চায় না। পরিবারের উজ্জ্বল-উচ্ছল সন্তান অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি থাকলেও খোদ বাবা-মা’ই নীরব-নিস্তব্ধ।
নিখোঁজদের মধ্য থেকে আবার একজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। আব্দুল হালিম সুজন (৩২) নামের ওই যুবক উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের মাইজকাপন গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে। এদিকে চারখাই ইউনিয়নের আদিনাবাদ গ্রামের তুহিন (২৮) নামের অপর আরেক তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর। তিনি ওই তরুণের বাড়ি ঘুরে এসে জানান, গত ৬ই মে তুহিন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ যোগাযোগ করে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়।
অপরদিকে একইপথে ইতালি যেতে নিখোঁজ হয়েছে রফিক আহমদ ও রিপন আহমদ নামের আরো দুই যুবক। বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর বলেন, সাগরে জীবনহানির জন্য যারা প্রলোভন দেখিয়েছে, সেসব আদম ব্যবসায়ীকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। কোনো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিখোঁজ সুজনের বড় ভাই আব্দুল আলিম জানান, সুজন দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। মা-বাবাহীন পরিবারের চার ভাই ও এক বোনের সংসারের হাল ধরতে ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিল। পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার গোয়ালি গ্রামের শাহিন আহমদ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার পারভেজ আহমদ নামের এক দালালের সঙ্গে ৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রায় ১ বছর আগে ইতালি যাওয়ার জন্য চুক্তি হয়েছিল। দীর্ঘদিন লিবিয়াতে অবস্থান করার পর গত বৃহস্পতিবার (৯ই মে) সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার জন্য ট্রলারে চড়ে সে সহ আরো কয়েকজন। ট্রলারে চড়ার পূর্বে সুজন বাড়িতে সর্বশেষ যোগাযোগ করেছে বলে জানান তার ভাই আব্দুল আলিম। নৌকাডুবির ঘটনা জানার পর থেকে আমার পরিবার-পরিজনদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। কেননা, ট্রলারে চড়ার পর থেকে এখনো বাড়িতে সে যোগাযোগ করেনি। ভাইয়ের খোঁজ নেয়ার জন্য দালালের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করলে পারভেজ নামের ওই আদম ব্যবসায়ী জানান, আমরা সুজনকে ইতালিগামী ট্রলারে তুলে দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, লিবিয়ায় এখনো ইতালি যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন সিলেটের আরো কমপক্ষে ১২শ’ তরুণ। এদের মধ্যে বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রায় দেড়শ’ তরুণ সেখানে অপেক্ষা করছে। যারা ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে কয়েকটি দেশ ঘুরে লিবিয়ায় পৌঁছে। লিবিয়া পর্যন্ত পৌঁছতে তাদের একেকজনকে সাড়ে ৬ লাখ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত আদম ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিতে হয়েছে। এর আগেও বিয়ানীবাজার উপজেলার আরো ৩ তরুণ ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার প্রায় ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ হওয়া ফতেহপুরের ইমন (২২), শ্রীধরার ফরিদুল আলম (২৪) ও খাসা গ্রামের ইমরান (৩০) আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় কোনো মামলাও দায়ের করেনি।
No comments