ভূমধ্যসাগর ট্র্যাজেডি: নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়তে পারে by মিজানুর রহমান
ভূমধ্যসাগরে
ইতালি অভিমুখী অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকাডুবিতে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা
বাড়তে পারে। এমনটাই আভাস দিয়েছেন দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি তিউনিশিয়ার
জার্জিস উপকূলে ৩দিন ধরে অবস্থান করা ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম
বিষয়ক কাউন্সেল এ এস এম আশরাফুল ইসলাম। গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনের সঙ্গে
টেলিফোন আলাপে বলেন, ভয়াল ওই দুর্ঘটনায় সাগর বুকে হারিয়ে যাওয়া ৪০ জন
বাংলাদেশির তথ্য তারা পেয়েছেন। এর মধ্যে একজনের লাশ পাওয়া গেছে। লাশ শনাক্ত
হওয়া ওই বাংলাদেশির নাম উত্তম কুমার। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া
উপজেলার চাকদহ গ্রামে। বাকিরা এখনও নিখোঁজ। তাদের লাশও মিলেনি।
শ্রম কাউন্সেলর বলেন, লাশ না পাওয়ায় নিখোঁজ বাংলাদেশিদের আমরা ‘নিহত’ বলতে পারছি না। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এবং ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৩৭ বাংলাদেশি ডুবে মারা যাওয়া এবং ১৪ জন জীবিত উদ্ধার হওয়ার কথা জানিয়েছিল। দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ১৪ বাংলাদেশি উদ্ধার হয়েছেন এবং তারা ধীরে ধীরে সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে ওঠছেন। আইসিআরসির বরাতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সোমবার নিহত ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় ‘মোটামুটিভাবে শনাক্ত’ হওয়ার খবর দিয়েছিল। তাদের দেয়া তথ্য মতে, ওই ঘটনায় নিহত অভিবাসীদের ৫ টি লাশ পাওয়া গেছে। তবে তারা কে কোন দেশের নাগরিক সেটি তখনও শনাক্ত হয়নি। উদ্ধার হওয়া চারজন বাংলাদেশি তিউনিসিয়ার জার্জিস শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন জানিয়ে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছিল ওই ৪ জন উদ্ধার হওয়া ১৪ বাংলাদেশির মধ্যে কি না- সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেনি। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা জানান, জার্জিস শহরের একটি হাসপাতালে রাখা বাংলাদেশি উত্তম কুমারের লাশ গতকালই শনাক্ত হয়েছে। তার লাশ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, তিউনিসিয়ার উপকূলবর্তী অন্য শহর স্ফ্যাক্স এর একটি হাসপাতালে ভূমধ্যসাগর ট্র্যাজেডিতে নিহত আরও ৩টি লাশ থাকার তথ্য পেয়েছেন। লাশগুলো এখনও শনাক্ত হয়নি।
হিমঘরে রাখা আছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ওই লাশগুলো শনাক্ত করতে অর্থাৎ এদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশি আছেন কি-না? তা দেখতে রাতেই আমি ওই শহরে যাচ্ছি। স্মরণ করা যায়, এক দিন আগে রেড ক্রিসেন্টের পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার সাইয়্যেদা আবিদা ফারহীনকে উদ্বৃত করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ধারণার চেয়ে বেশি হতে পারে। সংঘাতময় লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যেতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রওনা হয়েছিলেন ওই নৌযাত্রীরা। ভোররাতে তিউনিসিয়া উপকূলে আরেকটি ছোট নৌকায় তাদের ওঠানোর পর বড় ঢেউয়ের কবলে পড়েন। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। তিউনিসিয়ার জেলেরা ডুবুডুবু অবস্থায় ১৬ জনকে কোনো মতে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ১৪ জনই বাংলাদেশি। তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের তথ্য মতে, ওই নৌকায় ৮৫ থেকে ৯০ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩২ জন মিশরীয় নাগরিক ছিলেন বলে বেঁচে ফিরে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে তারা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন। নৌকার আরোহীদের মধ্যে ৫০-৫৫ জন বাংলাদেশি ছিলেন বলে ধারণা তাদের।
শ্রম কাউন্সেলর বলেন, লাশ না পাওয়ায় নিখোঁজ বাংলাদেশিদের আমরা ‘নিহত’ বলতে পারছি না। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এবং ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৩৭ বাংলাদেশি ডুবে মারা যাওয়া এবং ১৪ জন জীবিত উদ্ধার হওয়ার কথা জানিয়েছিল। দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ১৪ বাংলাদেশি উদ্ধার হয়েছেন এবং তারা ধীরে ধীরে সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে ওঠছেন। আইসিআরসির বরাতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সোমবার নিহত ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় ‘মোটামুটিভাবে শনাক্ত’ হওয়ার খবর দিয়েছিল। তাদের দেয়া তথ্য মতে, ওই ঘটনায় নিহত অভিবাসীদের ৫ টি লাশ পাওয়া গেছে। তবে তারা কে কোন দেশের নাগরিক সেটি তখনও শনাক্ত হয়নি। উদ্ধার হওয়া চারজন বাংলাদেশি তিউনিসিয়ার জার্জিস শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন জানিয়ে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছিল ওই ৪ জন উদ্ধার হওয়া ১৪ বাংলাদেশির মধ্যে কি না- সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেনি। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা জানান, জার্জিস শহরের একটি হাসপাতালে রাখা বাংলাদেশি উত্তম কুমারের লাশ গতকালই শনাক্ত হয়েছে। তার লাশ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, তিউনিসিয়ার উপকূলবর্তী অন্য শহর স্ফ্যাক্স এর একটি হাসপাতালে ভূমধ্যসাগর ট্র্যাজেডিতে নিহত আরও ৩টি লাশ থাকার তথ্য পেয়েছেন। লাশগুলো এখনও শনাক্ত হয়নি।
হিমঘরে রাখা আছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ওই লাশগুলো শনাক্ত করতে অর্থাৎ এদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশি আছেন কি-না? তা দেখতে রাতেই আমি ওই শহরে যাচ্ছি। স্মরণ করা যায়, এক দিন আগে রেড ক্রিসেন্টের পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার সাইয়্যেদা আবিদা ফারহীনকে উদ্বৃত করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ধারণার চেয়ে বেশি হতে পারে। সংঘাতময় লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যেতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রওনা হয়েছিলেন ওই নৌযাত্রীরা। ভোররাতে তিউনিসিয়া উপকূলে আরেকটি ছোট নৌকায় তাদের ওঠানোর পর বড় ঢেউয়ের কবলে পড়েন। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। তিউনিসিয়ার জেলেরা ডুবুডুবু অবস্থায় ১৬ জনকে কোনো মতে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ১৪ জনই বাংলাদেশি। তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের তথ্য মতে, ওই নৌকায় ৮৫ থেকে ৯০ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩২ জন মিশরীয় নাগরিক ছিলেন বলে বেঁচে ফিরে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে তারা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন। নৌকার আরোহীদের মধ্যে ৫০-৫৫ জন বাংলাদেশি ছিলেন বলে ধারণা তাদের।
No comments