টয়লেটের প্যানে নবজাতকের লাশ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টয়লেট থেকে ফুটফুটে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার ভোরে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন পেশার মানুষ বিস্ময় ও দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, হায়রে মানুষ, হায়রে মানবতা! কী দোষ ছিল ফুটফুটে এ নবজাতকের। অভিযোগ রয়েছে, এক তরুণী অবৈধ গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে তার নবজাতক ছেলে সন্তানকে হাসপাতালের টয়লেটে ফেলে দিয়েছে। ওই তরুণী নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। প্রেমের কথা বলে লোহাগড়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী একই উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের এক তরুণ প্রায় নয় মাস আগে মেয়েটির সাথে অবৈধ ভাবে মেলামেশা করায় মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে, পরিবার ও লোকচুক্ষুর ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি ওই মেয়েটি। প্রসব যন্ত্রণায় মেয়েটি তার নানীকে সাথে করে শনিবার (১ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান,
পেটে ব্যাথার কথা বলে মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি হয়। হাসপাতালের কয়েকজন রোগী জানান, রোববার ভোরে দীর্ঘ সময় ধরে মেয়েটি হাসপাতালের টয়লেটে অবস্থান করে। প্রায় এক ঘণ্টা পরে অন্য এক রোগী টয়লেটে গিয়ে প্যানের ভেতর নবজাতকের লাশ দেখতে পান। এ সময় ওই রোগীর চিৎকারে সবাই এগিয়ে আসেন। পরে হাসপাতালের আয়া টয়লেটের প্যান থেকে নবজাতককে তুলে আনেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মেয়েটি জানায়, গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে ছেলেটি তার সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেনি। এদিকে, রোববার অভিযুক্ত ওই তরুণের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে, গতকাল অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। লোহাগড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রোববার বিকেলে নবজাতকের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। জীবিত না, মৃত অবস্থায় নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এদিকে, অভিযোগ পেলে ওই তরুণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া অভিযুক্ত ওই তরুণের সাথে নবজাতকের ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজনও হতে পারে।
No comments