বগুড়ায় চুরি যাওয়া নবজাতক উদ্ধার
বগুড়া সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগ থেকে চুরি যাওয়া তিন দিন বয়সী নবজাতকটি উদ্ধার হয়েছে। শিশু চোর চক্রের সদস্য রত্না নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। সে এক নিঃসন্তান দম্পতিকে দেয়ার জন্য বাচ্চাটি চুরি করে। চুরি যাওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর পুলিশ রোববার বিকালে গাবতলীর মাজবাড়ী গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় লাবনী ও ফুলমিয়া দম্পতি পালিয়ে যায়। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে তার বাবা-মার কোলে তুলে দেন। এ সময় তারা আনন্দে কেঁদে ফেলেন। বিকালে এ খবর পাঠানোর সময় চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছিল। জানা যায়, বগুড়া শহরের ঝোপগাড়ি এলাকায় ডায়নামা মিস্ত্রি রুবেল ২৮ মার্চ তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হোসনে আরাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন সকালে চিকিৎসকরা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি শিশুপুত্র প্রসব করান।
হোসনে আরার পাশাপাশি তার মা রেহেনা বেগম শিশুটিকে দেখভাল করছিলেন। ৩০-৩৫ বছর বয়সী এক নারী রোগীর স্বজন সেজে কয়েক দিন ধরে ১৫ নম্বর বেডে অবস্থান করছিল।ওই নারী শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কৌশলে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়। রোববার বিকালে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী ব্রিফিং করেন। তিনি জানান, নবজাতকটি চুরি করে বগুড়া শহরতলির বারোপুর এলাকার মাহফুজার রহমানের স্ত্রী রত্না। সে শিশু চোর চক্রের সদস্য। অর্থের বিনিময়ে শিশু চুরি করে নিঃসন্তান দম্পতিদের এনে দেয়াই তার কাজ। তার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে রোববার বিকাল ৩টার দিকে নশিপুর ইউনিয়নের পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলামের সহায়তায় লাবনী ও ফুলমিয়া দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তারা টের পেয়ে শিশুটিকে বারান্দায় রেখে পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
No comments