বাকরুদ্ধ নুরুর স্ত্রী জীবন নিয়ে শঙ্কিত অন্যরা by মহিউদ্দীন জুয়েল ও নেজাম উদ্দিন রানা
বড়
মেয়ের নাম মীম। বয়স ১০ বছর। ছেলে নাঈম পড়ছে কেজি স্কুলে। আর সর্বকনিষ্ঠ
সন্তান নুয়াজের বয়স মাত্র ৩ মাস। বড় মেয়েটা একটু আধটু বুঝতে পারলেও নিহত
ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর বাকি দুই সন্তান এখনো কিছু জানে না।
তাদের বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটুকু জানতে পেরে মেয়ে মীম অঝোরে কাঁদছে ঘরের দরজায়। পুরো বাড়ি শোকে স্তব্ধ। একটু পরপরই বিলাপ আসছে ভেতর থেকে। এমন পরিবেশে ছোট্ট সন্তান নাঈম মায়াভরা চোখে তাকাচ্ছেন সবার দিকে।
চট্টগ্রামে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর রাউজানের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল এমনই চিত্র। চারদিকের পরিবেশ থমথমে। ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার বাতাস। ছাত্রদল নেতা নুরুকে কেন হত্যা করা হয়েছে? এমন প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।
এলাকাবাসী বলেছেন, রাজনীতি করতো বলে সারাক্ষণ উৎকণ্ঠায় থাকতো নুরুর পরিবার। বাসায়ও সে তটস্থ থাকতো। প্রায় সময় স্ত্রীকে বলতেন কেউ হয়তো তাকে তুলে নিয়ে যাবে। মিথ্যা ঘটনায় ফাঁসিয়ে দেবে। থানায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হওয়ার পর নুরু সক্রিয় রাজনীতি থেকে অনেকটা সরে এসেছিলেন।
তবে তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন সবসময়। চট্টগ্রাম শহরের চন্দনপুরার বাসা থেকে মাসে একবার হলেও রাউজান গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেন।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের চন্দনপুরার সেই বাসা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যায় একদল লোক। বৃহস্পতিবার সকালে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট বাজারের পাশে কর্ণফুলী নদীর তীরে তার লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনার পর থেকেই বিপর্যয় নেমে এসেছে নূরুর পরিবারে। ৩ সন্তান অকালে হারিয়েছেন তাদের বাবাকে। অন্যদিকে স্ত্রী হয়েছেন বিধবা। রাজনীতি করার কারণে পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় জীবন কাটাচ্ছেন বলে জানান। নুরুর পিতার নাম মোহাম্মদ ইসহাক। তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন।
৩ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে নুরু সবার ছোট। তার বড় ভাই মাহবুবুল আলম ও মেজভাই শফিউল আলম মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। ভাই হত্যার খবর শুনে তারা দুইজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানান ১৩ নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
নুরুল আলম নুরুর আত্মীয়স্বজনরা জানান, ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তিনি স্থানীয় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হিংসার শিকার হন। এই নিয়ে নিজের জীবনের চেয়েও স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে থাকতেন।
শহরে বাসা নিয়ে সেখানে সন্তানদের পড়ালেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
গত ২৩শে নভেম্বরের পিতা মারা যাওয়ার পর নুরুর কাঁধে সংসারের বিশাল দায়িত্ব পড়ে। রাজনৈতিক কারণে নিজের পিতার জানাজায় উপস্থিত থাকতে পারেননি নুরু।
প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হামলা, মামলার ভয়ে গত ১৫ বছর ধরে চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে ঢাকায় অবস্থান করতেন বেশির ভাগ সময়। খুন হওয়ার চারদিন আগেই ঢাকা থেকে এসেছিলেন নুরু। গ্রামের বাড়িতে পাকা দালানটি পুরনো আমলের।
রাউজান থানায় গেলে পুলিশ জানায়, নুরুর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, বিস্ফোরকসহ চারটি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে দক্ষিণ রাউজানের আলোচিত যুবলীগ নেতা মোবারক হত্যা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। দীর্ঘ দেড় যুগের রাজনৈতিক জীবনে নোয়াপাড়া কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বেশ দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ গঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান নুরু। চট্টগ্রামে ছাত্রদলের কর্মসূচিসমূহে নুরুর ছিল অগ্রণী ভূমিকা। নিরহংকারী, সজ্জন নুরু রাজনৈতিক গণ্ডির বাইরেও ছিল সমান জনপ্রিয়। দলের কর্মীদের দুঃসময়ে পাশে থাকতেন তিনি।
নুরুর বড় বোনের জামাই আবু জাফর বলেন, দেখতেই তো পারছেন একটি খুনের ঘটনা কিভাবে ওলটপালট করে দেয় সাজানো পরিবারকে। ছেলে-মেয়েগুলোর মুখের দিকে তাকানো যায় না। চোখে পানি চলে আসে। ছোট সন্তানের বয়স ৩ মাস। আফসোস বাবা বলে ডাকার আগেই সে বাবাকে হারালো।
তিনি বলেন, নুরু রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার। তার সক্রিয় হওয়াটাকে এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন ভালো চোখে দেখেনি। তারাই তাকে সরিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, নুরুর লাশ থানায় নেয়ার পর সেখান থেকে মামলা করার জন্য তার স্ত্রী সুমি আকতারকে বলা হয়। কিন্তু স্ত্রী সুমি থানার ওসিকে বলেন, আমার সামনে থেকে পুলিশ আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে এসেছে, পরে আমরা তাকে জীবিত নয় লাশ পেয়েছি। আমি আমার স্বামী হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এই সময় সবাই চুপ থাকেন।
নিহত নুরুর ভগ্নিপতি আবু জাফর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাকে আমি ছোটকাল থেকেই চিনি। আমরা পাশাপাশি বাড়ির। পরে তার বোনকে বিয়ে করার পর তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে উঠে। তাকে আমি ছোটভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম। তার মতো একটি ভালো ছেলেকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্মম ভাবে খুন করবে তা আমরা কল্পনাও করিনি কোনোদিন।
নুরুর ভাগিনা রাশেদুল ইসলাম বলেন, তাকে হারিয়ে পুরো পরিবার বাকরুদ্ধ। তার স্ত্রীর আহাজারি এখনো থামেনি। এই মুহূর্তে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার চিন্তা করতে পারছি না। বিষয়টি সম্পর্কে তার দলের নেতারা সিদ্ধান্ত নেবে।
স্বামীকে হারিয়ে একটু পরপরই শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন সুমি আকতার। তিনি বিলাপ করে বলেন, জলজ্যান্ত একটা মানুষকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেল। আর গুলি করে লাশ করলো। আল্লাহ এর বিচার করবেন।
তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে সে বারবারই বলতো তাকে বাঁচতে দেবে না। রাজনীতি করলে এখন মরতে হবে। হয়েছেও তাই। ছোট ছোট বাচ্চাগুলো এখন কাকে বাবা বলে ডাকবে? তাদের নিয়ে আমি শঙ্কিত। ওরা আমাদেরকেও হয়তো মেরে ফেলবে। আবার হয়তো পুলিশ নিয়ে এসে কাউকে ধরে নিয়ে যাবে।
তাদের বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটুকু জানতে পেরে মেয়ে মীম অঝোরে কাঁদছে ঘরের দরজায়। পুরো বাড়ি শোকে স্তব্ধ। একটু পরপরই বিলাপ আসছে ভেতর থেকে। এমন পরিবেশে ছোট্ট সন্তান নাঈম মায়াভরা চোখে তাকাচ্ছেন সবার দিকে।
চট্টগ্রামে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর রাউজানের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল এমনই চিত্র। চারদিকের পরিবেশ থমথমে। ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার বাতাস। ছাত্রদল নেতা নুরুকে কেন হত্যা করা হয়েছে? এমন প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।
এলাকাবাসী বলেছেন, রাজনীতি করতো বলে সারাক্ষণ উৎকণ্ঠায় থাকতো নুরুর পরিবার। বাসায়ও সে তটস্থ থাকতো। প্রায় সময় স্ত্রীকে বলতেন কেউ হয়তো তাকে তুলে নিয়ে যাবে। মিথ্যা ঘটনায় ফাঁসিয়ে দেবে। থানায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হওয়ার পর নুরু সক্রিয় রাজনীতি থেকে অনেকটা সরে এসেছিলেন।
তবে তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন সবসময়। চট্টগ্রাম শহরের চন্দনপুরার বাসা থেকে মাসে একবার হলেও রাউজান গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেন।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের চন্দনপুরার সেই বাসা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যায় একদল লোক। বৃহস্পতিবার সকালে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট বাজারের পাশে কর্ণফুলী নদীর তীরে তার লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনার পর থেকেই বিপর্যয় নেমে এসেছে নূরুর পরিবারে। ৩ সন্তান অকালে হারিয়েছেন তাদের বাবাকে। অন্যদিকে স্ত্রী হয়েছেন বিধবা। রাজনীতি করার কারণে পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় জীবন কাটাচ্ছেন বলে জানান। নুরুর পিতার নাম মোহাম্মদ ইসহাক। তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন।
৩ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে নুরু সবার ছোট। তার বড় ভাই মাহবুবুল আলম ও মেজভাই শফিউল আলম মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। ভাই হত্যার খবর শুনে তারা দুইজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানান ১৩ নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
নুরুল আলম নুরুর আত্মীয়স্বজনরা জানান, ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তিনি স্থানীয় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হিংসার শিকার হন। এই নিয়ে নিজের জীবনের চেয়েও স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে থাকতেন।
শহরে বাসা নিয়ে সেখানে সন্তানদের পড়ালেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
গত ২৩শে নভেম্বরের পিতা মারা যাওয়ার পর নুরুর কাঁধে সংসারের বিশাল দায়িত্ব পড়ে। রাজনৈতিক কারণে নিজের পিতার জানাজায় উপস্থিত থাকতে পারেননি নুরু।
প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হামলা, মামলার ভয়ে গত ১৫ বছর ধরে চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে ঢাকায় অবস্থান করতেন বেশির ভাগ সময়। খুন হওয়ার চারদিন আগেই ঢাকা থেকে এসেছিলেন নুরু। গ্রামের বাড়িতে পাকা দালানটি পুরনো আমলের।
রাউজান থানায় গেলে পুলিশ জানায়, নুরুর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, বিস্ফোরকসহ চারটি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে দক্ষিণ রাউজানের আলোচিত যুবলীগ নেতা মোবারক হত্যা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। দীর্ঘ দেড় যুগের রাজনৈতিক জীবনে নোয়াপাড়া কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বেশ দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ গঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান নুরু। চট্টগ্রামে ছাত্রদলের কর্মসূচিসমূহে নুরুর ছিল অগ্রণী ভূমিকা। নিরহংকারী, সজ্জন নুরু রাজনৈতিক গণ্ডির বাইরেও ছিল সমান জনপ্রিয়। দলের কর্মীদের দুঃসময়ে পাশে থাকতেন তিনি।
নুরুর বড় বোনের জামাই আবু জাফর বলেন, দেখতেই তো পারছেন একটি খুনের ঘটনা কিভাবে ওলটপালট করে দেয় সাজানো পরিবারকে। ছেলে-মেয়েগুলোর মুখের দিকে তাকানো যায় না। চোখে পানি চলে আসে। ছোট সন্তানের বয়স ৩ মাস। আফসোস বাবা বলে ডাকার আগেই সে বাবাকে হারালো।
তিনি বলেন, নুরু রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার। তার সক্রিয় হওয়াটাকে এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন ভালো চোখে দেখেনি। তারাই তাকে সরিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, নুরুর লাশ থানায় নেয়ার পর সেখান থেকে মামলা করার জন্য তার স্ত্রী সুমি আকতারকে বলা হয়। কিন্তু স্ত্রী সুমি থানার ওসিকে বলেন, আমার সামনে থেকে পুলিশ আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে এসেছে, পরে আমরা তাকে জীবিত নয় লাশ পেয়েছি। আমি আমার স্বামী হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এই সময় সবাই চুপ থাকেন।
নিহত নুরুর ভগ্নিপতি আবু জাফর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাকে আমি ছোটকাল থেকেই চিনি। আমরা পাশাপাশি বাড়ির। পরে তার বোনকে বিয়ে করার পর তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে উঠে। তাকে আমি ছোটভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম। তার মতো একটি ভালো ছেলেকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্মম ভাবে খুন করবে তা আমরা কল্পনাও করিনি কোনোদিন।
নুরুর ভাগিনা রাশেদুল ইসলাম বলেন, তাকে হারিয়ে পুরো পরিবার বাকরুদ্ধ। তার স্ত্রীর আহাজারি এখনো থামেনি। এই মুহূর্তে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার চিন্তা করতে পারছি না। বিষয়টি সম্পর্কে তার দলের নেতারা সিদ্ধান্ত নেবে।
স্বামীকে হারিয়ে একটু পরপরই শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন সুমি আকতার। তিনি বিলাপ করে বলেন, জলজ্যান্ত একটা মানুষকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেল। আর গুলি করে লাশ করলো। আল্লাহ এর বিচার করবেন।
তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে সে বারবারই বলতো তাকে বাঁচতে দেবে না। রাজনীতি করলে এখন মরতে হবে। হয়েছেও তাই। ছোট ছোট বাচ্চাগুলো এখন কাকে বাবা বলে ডাকবে? তাদের নিয়ে আমি শঙ্কিত। ওরা আমাদেরকেও হয়তো মেরে ফেলবে। আবার হয়তো পুলিশ নিয়ে এসে কাউকে ধরে নিয়ে যাবে।
No comments