জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের গলফ কূটনীতি ব্যর্থ হচ্ছে?
মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত সাপ্তাহিক অবকাশ কাটাতে গলফ খেলা পছন্দ করেন। কখনও কখনও ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে পড়েন বিদেশি কোনো নেতার বিপক্ষে। ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই ধরনের চিন্তা করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নিয়ে। ফ্লোরিডার পাম বিচে নিজের মালিকানাধীন মার-এ-লাগো রিসোর্টে আগামী ৬ এপ্রিল জিনপিংকে স্বাগত জানাবেন ট্রাম্প। সেখানে গলফ খেলার মাধ্যমে জিনপিংয়ের ওপর প্রভাব বাড়াতে চান তিনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এ গলফ-কূটনীতি কোনো কাজে আসবে না। ফুটবলপ্রেমী জিনপিং ট্রাম্পের সঙ্গে গলফ খেলতে রাজি হবেন বলে মনে হয় না। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খেলা হিসেবে গল্ফের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর শি জিনপিংয়ের সরকার দেশজুড়ে গলফ খেলা নিষিদ্ধ করে। এমনকি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রায় ৯ কোটি সদস্যকে খেলা থেকে কার্যত বিরত রাখা হচ্ছে।
দ্য ফরবিডেন গেম : গলফ অ্যান্ড দ্য চাইনিজ ড্রিম নামে একটি বই লিখেছেন ড্যান ওয়াশবার্ন। তিনি বলেছেন, গলফ খেলাকে দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন জিনপিং। এখন তার জন্য ওই টপিক সামনে নিয়ে আসা বিব্রতকর। তবে শুধু জিনপিংয়ের হাতেই চীনে গলফ খেলায় নিষেধাজ্ঞার সূচনা হয়নি। ১৯৪৯ সালে দেশটিতে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর গলফ নিষিদ্ধ হয়। সে সময় এ খেলাকে ‘কোটিপতিদের খেলা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে আশির দশকের মধ্যভাগে চীন যখন বিশ্বের জন্য নিজেকে উন্মুক্ত করেছিল, তখন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে গলফ খেলা পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল। তখন সরকারিভাবে এ খেলাকে সমর্থনও করা হয়নি, আবার প্রত্যাখ্যানও করা হয়নি। ২০০৪ সালে চীনজুড়ে নতুন গলফ-প্রজেক্ট নিষিদ্ধ করা হয়। আবাদি জমি বাঁচাতে ও পানির সঙ্কট কাটাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে স্থানীয় জমির মালিকরা গলফ প্রজেক্ট সংস্থার কাছে তাদের জমি বেচতে আগ্রহী ছিল। অবশেষে সরকার গলফ নিষিদ্ধকরণ আইন করে এবং দেশজুড়ে কার্যকর করে। শি জিনপিং যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন, তখন গলফ খেলাও টার্গেটে পড়ে যায়। ২০১৫ সালে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নতুন আচরণবিধি প্রণয়ন করে সরকারি টাকায় গলফ খেলা, অতিরিক্ত ব্যয়ে খাবার খাওয়া ও অপ্রয়োজনীয় বিদেশে ভ্রমণ করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পূর্ণ অন্য ধরনের মানুষ। ধনকুবের এই ব্যবসায়ীর জন্য গলফ খেলাটা একটা নেশা।
দ্য ফরবিডেন গেম : গলফ অ্যান্ড দ্য চাইনিজ ড্রিম নামে একটি বই লিখেছেন ড্যান ওয়াশবার্ন। তিনি বলেছেন, গলফ খেলাকে দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন জিনপিং। এখন তার জন্য ওই টপিক সামনে নিয়ে আসা বিব্রতকর। তবে শুধু জিনপিংয়ের হাতেই চীনে গলফ খেলায় নিষেধাজ্ঞার সূচনা হয়নি। ১৯৪৯ সালে দেশটিতে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর গলফ নিষিদ্ধ হয়। সে সময় এ খেলাকে ‘কোটিপতিদের খেলা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে আশির দশকের মধ্যভাগে চীন যখন বিশ্বের জন্য নিজেকে উন্মুক্ত করেছিল, তখন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে গলফ খেলা পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল। তখন সরকারিভাবে এ খেলাকে সমর্থনও করা হয়নি, আবার প্রত্যাখ্যানও করা হয়নি। ২০০৪ সালে চীনজুড়ে নতুন গলফ-প্রজেক্ট নিষিদ্ধ করা হয়। আবাদি জমি বাঁচাতে ও পানির সঙ্কট কাটাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে স্থানীয় জমির মালিকরা গলফ প্রজেক্ট সংস্থার কাছে তাদের জমি বেচতে আগ্রহী ছিল। অবশেষে সরকার গলফ নিষিদ্ধকরণ আইন করে এবং দেশজুড়ে কার্যকর করে। শি জিনপিং যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন, তখন গলফ খেলাও টার্গেটে পড়ে যায়। ২০১৫ সালে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নতুন আচরণবিধি প্রণয়ন করে সরকারি টাকায় গলফ খেলা, অতিরিক্ত ব্যয়ে খাবার খাওয়া ও অপ্রয়োজনীয় বিদেশে ভ্রমণ করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পূর্ণ অন্য ধরনের মানুষ। ধনকুবের এই ব্যবসায়ীর জন্য গলফ খেলাটা একটা নেশা।
সপ্তাহখানেক আগেই তিনি ভার্জিনিয়ার একটি গলফ ক্লাবে হঠাৎ ক্যামেরাবন্দি হয়ে পড়েন। অথচ একই সময়ে তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছিলেন, প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে সরকারি কজে মগ্ন আছেন। ওই ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। ট্রাম্পের এ ধরনের প্রবঞ্চনা আগেও দেখা গেছে। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর এক টুইটার পোস্টে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘এটা কি বিশ্বাস করা যায়, যুক্তরাষ্ট্র এত সমস্যা মোকাবেলা করছে, আর ওবামা গলফ খেলে সময় কাটাচ্ছেন! কার্টারের চেয়েও খারাপ!’ এমনকি ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, ‘আমি জনগণের জন্য কাজ করতে যাচ্ছি। গলফ খেলার মতো সময় আমার নেই।’ অথচ এখন প্রতি সপ্তাহান্তেই তিনি গলফ খেলার মাঠে হাজির হন। শি জিনপিংয়ের যেহেতু গলফ খেলায় কোনো আগ্রহ নেই, সেহেতু বিনোদনমূলক কাজটা কী হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে ট্রাম্প দু-রাউন্ড গলফ খেলতে পেরেছিলেন। কিন্তু জিনপিং এতে রাজি হবেন না। এখন নতুন খেলা নিয়ে গণমাধ্যম একটা পরামর্শ দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চীনের টেবিল টেনিস দলকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন একটা মৈত্রী ম্যাচ খেলার জন্য। এ খেলার মাধ্যমেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার সূচনা হয়েছিল।
No comments