যেখানে বেমালুম হারিয়ে যাচ্ছে মেয়েরা
ব্যানারে মেক্সিকোর একটি এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া মেয়ে ও নারীদের ছবি। ছবি: রয়টার্স |
প্রতিদিন
দেশটির কোথাও না কোথাও একাধিক কিশোরী বেমালুম নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। তাদের
ফিরে আসার ঘটনা বিরল। বেশির ভাগেরই কোনো খোঁজ মেলে না। তাদের যে কেবল অপহরণ
করা হয়—এমন নয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এমন ফাঁদ পাতা হয়, সেই ফাঁদে পা দিয়ে
অনেক কিশোরী ঘরছাড়া হয়। পাচারকারীদের পাল্লায় পড়ে জীবনটাই শেষ হয়ে যায়
তাদের।
সম্প্রতি বিবিসি অনলাইনের খবরে উঠে এসেছে মেক্সিকোর হারিয়ে যাওয়া এসব মেয়ের কথা। দেশটিতে হাজারো মেয়ে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে, কোথাও আর তাদের সন্ধান মেলে না।
ফিরে পাওয়া এক কিশোরীর জীবনের গল্প দিয়েই শুরু করা যাক। মেয়েটির নাম কারেন। ২০১৩ সালের এপ্রিলে সে যখন হারিয়ে যায়, তার বয়স ছিল ১৪ বছর। মেক্সিকোয় প্রতি বছর নিখোঁজ হওয়া হাজারো মেয়ের একজন সে। অন্যদের চেয়ে সে অবশ্য ভাগ্যবতী। বাবা-মায়ের তৎপরতায় সে আবার পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পেরেছিল।
কারেনের মা এলিজাবেথ জানালেন সেই আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার দিনগুলোর কথা। তিনি বলেন, ‘মাত্র ১৫ মিনিটে তাঁর কিশোরী মেয়ে হারিয়ে যায়। এটা জানার পর প্রচণ্ড কষ্টে ভুগছিলাম আমি। আগে কখনো এত কষ্ট পাইনি। রাস্তায় রাস্তায় মেয়েটাকে খুঁজলাম। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ফোন করলাম। কিন্তু কোনো আশার আলো দেখতে পেলাম না। কেউ আমার মেয়েকে দেখেনি। আমার মেয়ে বাইরে একটি শৌচাগারে গিয়েছিল। তার সঙ্গে কিছুই ছিল না। টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন, বাড়তি কোনো কাপড়—এসব কিছুই ছিল না।...তখন ধরে নিলাম মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।’
মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘণ্টা পর এলিজাবেথ বিষয়টি পুলিকে জানায়। তবে পুলিশ বিষয়টি নথিভুক্ত করেনি। মেক্সিকোতে কেউ নিখোঁজ হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পার না হলে পুলিশ তা নথিভুক্ত করে না। এমনকি শিশু হলেও না। তাই কারেনের মা এলিজাবেথ ও বাবা আলেজেন্দ্রো নিজ উদ্যোগে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রথমেই তাঁরা মেয়ের সামাজিক যোগাযোগের অ্যাকাউন্টগুলোতে ঢোকেন।
এলিজাবেথ বলতে থাকলেন, ‘আমরা যখন মেয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকলাম, তখন দেখলাম চার হাজারেরও বেশি বন্ধু আছে তার। ওই বন্ধু তালিকায় থাকা একজনের বিষয়ে সন্দেহ জাগল। অনেক মেয়ের সঙ্গে ওই ব্যক্তির ছবি। এসব মেয়ে আমার মেয়ের বয়সী। টের পেলাম, সে আমার মেয়েকে পটিয়েছে। আমার মেয়ে বুঝতেও পারেনি—কী বিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছে সে।’
কারেনের বাবা আলেজান্দ্রো বলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে নানা কথা বলে পটিয়েছেন। মেয়েকে বলেছে, শিগগিরই তিনি তার (কারেন) সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার আগের দিনগুলোতে তাদের ঘন ঘন যোগাযোগ হয়েছে। ওই ব্যক্তি মেয়েকে স্মার্ট ফোন দিয়েছে, যাতে যোগাযোগ রক্ষায় কোনো সমস্যা না হয়। এর কিছুই বাবা-মা জানতেন না।
মেয়েকে বেশি দূর নিয়ে যাওয়ার আগেই সন্ধান পেতে এলিজাবেথ-আলেজান্দ্রা পুলিশের কাছে যান। তাদের চাপে, পুলিশ মেক্সিকো শহরের বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও জনবহুল স্থানে নিখোঁজ কারেনের সন্ধান চেয়ে ছবি এঁটে দেয়। টেলিভিশন ও রেডিওতেও এই নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করা হয়।
নিখোঁজের ১৬ দিন পর কারেনকে একটি বাস টার্মিনালে পাওয়া যায়। কারেন ও আরেকটি নিখোঁজ মেয়েকে সেখানে ফেলে যায় কেউ। তাদের নিউইয়র্কে পাচার করার ফন্দি আঁটা হয়েছিল, কারেন নিজেই পরে সেটা বলেছে।
আলেজান্দ্রো বলেন, ওই ব্যক্তি তাদের মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, অর্থ দেওয়া, সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ও খ্যাতির চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল। সেই ফাঁদে পড়ে মেয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে চলে যায়।
উদ্ধার হওয়ার পর কারেন প্রথমে তার বাবা-মায়ের ওপর খুব ক্ষিপ্ত ছিল। তখন বাবা-মা তাকে পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের নিয়ে আয়োজিত একটি সেমিনারে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর কারেন বুঝতে পারে, কী ভয়াবহ বিপদের হাত থেকে সে রক্ষা পেয়েছে।
২০১১ ও ২০১২ সালে মেক্সিকো সিটিতে এক হাজার ২৩৮ নারী নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের বয়স ১৭ বছরের নিচে। তবে এদের মধ্যে কতজনকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, সে কথা কেউ জানে না। এটা নারীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক শহর। শুধু নারী নয়, সবার জন্যই শহরটি বিপজ্জনক। কারণ, গত এক দশকে এখানে কমপক্ষে দুই হাজার ২২৮ জন খুন হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাবে, প্রতি বছর মেক্সিকোতে ২০ হাজারের মতো মানুষ পাচারের শিকার হয়। পাচার হওয়া বেশির ভাগ নারীকে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রতি ইন্টারনেটের সুযোগ ব্যবহার করে অপরাধীরা অধিক সংখ্যক মেয়েকে টোপে ফেলে পাচার করছে।
কর্তৃপক্ষের এই দাবির সত্যতা মেলে সায়মা পাজ লেমুস নামের হারিয়ে যাওয়া এক মেয়ের জীবনের গল্প শুনে। সায়মা শান্তশিষ্ট এক মেয়ে। ভালোবাসত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চ্যাট করতে, অনলাইনে গেমস খেলতে। এভাবে অনলাইনে থাকতে থাকতে এক ব্যক্তির সঙ্গে সায়মার সম্পর্ক হয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি তাকে ব্ল্যাকমেল করে। বলে, তার সঙ্গে না গেলে জীবন বিষিয়ে ফেলা হবে। ওই ব্যক্তির কাছে থাকা নানা গোপনীয় ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
মেয়েটি পরিবারের কাউকে কিছু না বলে একদিন ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। রেখে যাওয়া একটি চিঠিতে সে সব বলে যায়। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ করে, ছোট বোনটির দেখভাল করতে। তাকে সুন্দর একটি উপহার কিনে দিতে, যেন ওই উপহারটি দেখে ছোট বোন তার কথা স্মরণ করতে পারে।
অনেক দিন হয়ে গেল, সায়মার কোনো খোঁজ নেই। তবে তার পরিবার আশাবাদী। কারেনের ফিরে আসা তাদের আশান্বিত করে। যদিও পরিবারটি জানে, ফিরে আসা সহজ নয়। অল্প বয়সী মেয়েরা যেখানে নিজের ঘরেও নিরাপদ নয়, সেখানে ফিরে আসার কথা ভাবা অনেকটাই দুরাশা।
সম্প্রতি বিবিসি অনলাইনের খবরে উঠে এসেছে মেক্সিকোর হারিয়ে যাওয়া এসব মেয়ের কথা। দেশটিতে হাজারো মেয়ে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে, কোথাও আর তাদের সন্ধান মেলে না।
ফিরে পাওয়া এক কিশোরীর জীবনের গল্প দিয়েই শুরু করা যাক। মেয়েটির নাম কারেন। ২০১৩ সালের এপ্রিলে সে যখন হারিয়ে যায়, তার বয়স ছিল ১৪ বছর। মেক্সিকোয় প্রতি বছর নিখোঁজ হওয়া হাজারো মেয়ের একজন সে। অন্যদের চেয়ে সে অবশ্য ভাগ্যবতী। বাবা-মায়ের তৎপরতায় সে আবার পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পেরেছিল।
কারেনের মা এলিজাবেথ জানালেন সেই আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার দিনগুলোর কথা। তিনি বলেন, ‘মাত্র ১৫ মিনিটে তাঁর কিশোরী মেয়ে হারিয়ে যায়। এটা জানার পর প্রচণ্ড কষ্টে ভুগছিলাম আমি। আগে কখনো এত কষ্ট পাইনি। রাস্তায় রাস্তায় মেয়েটাকে খুঁজলাম। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ফোন করলাম। কিন্তু কোনো আশার আলো দেখতে পেলাম না। কেউ আমার মেয়েকে দেখেনি। আমার মেয়ে বাইরে একটি শৌচাগারে গিয়েছিল। তার সঙ্গে কিছুই ছিল না। টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন, বাড়তি কোনো কাপড়—এসব কিছুই ছিল না।...তখন ধরে নিলাম মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।’
মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘণ্টা পর এলিজাবেথ বিষয়টি পুলিকে জানায়। তবে পুলিশ বিষয়টি নথিভুক্ত করেনি। মেক্সিকোতে কেউ নিখোঁজ হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পার না হলে পুলিশ তা নথিভুক্ত করে না। এমনকি শিশু হলেও না। তাই কারেনের মা এলিজাবেথ ও বাবা আলেজেন্দ্রো নিজ উদ্যোগে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রথমেই তাঁরা মেয়ের সামাজিক যোগাযোগের অ্যাকাউন্টগুলোতে ঢোকেন।
এলিজাবেথ বলতে থাকলেন, ‘আমরা যখন মেয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকলাম, তখন দেখলাম চার হাজারেরও বেশি বন্ধু আছে তার। ওই বন্ধু তালিকায় থাকা একজনের বিষয়ে সন্দেহ জাগল। অনেক মেয়ের সঙ্গে ওই ব্যক্তির ছবি। এসব মেয়ে আমার মেয়ের বয়সী। টের পেলাম, সে আমার মেয়েকে পটিয়েছে। আমার মেয়ে বুঝতেও পারেনি—কী বিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছে সে।’
কারেনের বাবা আলেজান্দ্রো বলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে নানা কথা বলে পটিয়েছেন। মেয়েকে বলেছে, শিগগিরই তিনি তার (কারেন) সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার আগের দিনগুলোতে তাদের ঘন ঘন যোগাযোগ হয়েছে। ওই ব্যক্তি মেয়েকে স্মার্ট ফোন দিয়েছে, যাতে যোগাযোগ রক্ষায় কোনো সমস্যা না হয়। এর কিছুই বাবা-মা জানতেন না।
মেয়েকে বেশি দূর নিয়ে যাওয়ার আগেই সন্ধান পেতে এলিজাবেথ-আলেজান্দ্রা পুলিশের কাছে যান। তাদের চাপে, পুলিশ মেক্সিকো শহরের বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও জনবহুল স্থানে নিখোঁজ কারেনের সন্ধান চেয়ে ছবি এঁটে দেয়। টেলিভিশন ও রেডিওতেও এই নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করা হয়।
নিখোঁজের ১৬ দিন পর কারেনকে একটি বাস টার্মিনালে পাওয়া যায়। কারেন ও আরেকটি নিখোঁজ মেয়েকে সেখানে ফেলে যায় কেউ। তাদের নিউইয়র্কে পাচার করার ফন্দি আঁটা হয়েছিল, কারেন নিজেই পরে সেটা বলেছে।
আলেজান্দ্রো বলেন, ওই ব্যক্তি তাদের মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, অর্থ দেওয়া, সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ও খ্যাতির চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল। সেই ফাঁদে পড়ে মেয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে চলে যায়।
উদ্ধার হওয়ার পর কারেন প্রথমে তার বাবা-মায়ের ওপর খুব ক্ষিপ্ত ছিল। তখন বাবা-মা তাকে পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের নিয়ে আয়োজিত একটি সেমিনারে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর কারেন বুঝতে পারে, কী ভয়াবহ বিপদের হাত থেকে সে রক্ষা পেয়েছে।
২০১১ ও ২০১২ সালে মেক্সিকো সিটিতে এক হাজার ২৩৮ নারী নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের বয়স ১৭ বছরের নিচে। তবে এদের মধ্যে কতজনকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, সে কথা কেউ জানে না। এটা নারীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক শহর। শুধু নারী নয়, সবার জন্যই শহরটি বিপজ্জনক। কারণ, গত এক দশকে এখানে কমপক্ষে দুই হাজার ২২৮ জন খুন হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাবে, প্রতি বছর মেক্সিকোতে ২০ হাজারের মতো মানুষ পাচারের শিকার হয়। পাচার হওয়া বেশির ভাগ নারীকে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রতি ইন্টারনেটের সুযোগ ব্যবহার করে অপরাধীরা অধিক সংখ্যক মেয়েকে টোপে ফেলে পাচার করছে।
কর্তৃপক্ষের এই দাবির সত্যতা মেলে সায়মা পাজ লেমুস নামের হারিয়ে যাওয়া এক মেয়ের জীবনের গল্প শুনে। সায়মা শান্তশিষ্ট এক মেয়ে। ভালোবাসত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চ্যাট করতে, অনলাইনে গেমস খেলতে। এভাবে অনলাইনে থাকতে থাকতে এক ব্যক্তির সঙ্গে সায়মার সম্পর্ক হয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি তাকে ব্ল্যাকমেল করে। বলে, তার সঙ্গে না গেলে জীবন বিষিয়ে ফেলা হবে। ওই ব্যক্তির কাছে থাকা নানা গোপনীয় ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
মেয়েটি পরিবারের কাউকে কিছু না বলে একদিন ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। রেখে যাওয়া একটি চিঠিতে সে সব বলে যায়। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ করে, ছোট বোনটির দেখভাল করতে। তাকে সুন্দর একটি উপহার কিনে দিতে, যেন ওই উপহারটি দেখে ছোট বোন তার কথা স্মরণ করতে পারে।
অনেক দিন হয়ে গেল, সায়মার কোনো খোঁজ নেই। তবে তার পরিবার আশাবাদী। কারেনের ফিরে আসা তাদের আশান্বিত করে। যদিও পরিবারটি জানে, ফিরে আসা সহজ নয়। অল্প বয়সী মেয়েরা যেখানে নিজের ঘরেও নিরাপদ নয়, সেখানে ফিরে আসার কথা ভাবা অনেকটাই দুরাশা।
No comments