নতুন আইফোন পেতে এ কী কাণ্ড!
নতুন আইফোন কিনে না দেওয়ায় প্রেমিকের সামনে দিগম্বর হয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন প্রেমিকা। |
চীনে
আইফোন দারুণ জনপ্রিয়। নতুন আইফোন হাতে পাওয়ার জন্য অনেক সময় অদ্ভুত কাণ্ড
করে বসেন সেখানকার কেউ কেউ। এর আগে নতুন আইফোন কিনতে কিডনি বিক্রি করার কথা
হয়তো অনেকেই শুনেছেন। এবারে চায়না নিউজের এক খবরে আইফোন নিয়ে আরেক অদ্ভুত
কাণ্ডের খবর প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে চীনের একটি বাজারে। প্রেমিক ও
প্রেমিকার মধ্যে তর্কবিতর্ক ও শেষ পর্যন্ত দিগম্বর হওয়ার ঘটনাটি সেখানকার
সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। পরে ওই ভিডিওটি অনলাইনে প্রকাশিত হলে তা দ্রুত
ছড়িয়ে পড়েছে।
এবিপি নিউজের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে আইফোন নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত। প্রেমিক নাকি আইফোন কিনে দিতে চেয়েছিলেন! সেটি কিনে না দেওয়ায়, রাগে-ক্ষোভে জনসম্মুখেই অভিনব প্রতিবাদ করে দিগম্বর হতে শুরু করেন প্রেমিকা। হতবিহ্বল—বেচারা প্রেমিক তাকে শত বুঝিয়েও কাজ হয়নি।
নতুন আইফোন হাতে পাওয়া নিয়ে এ রকম পাগলামির ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এ মাসের মাঝামাঝিতে চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, আইফোনের নতুন সংস্করণ ৬ এস বাজারে আসার পর কিডনি বিক্রি করে তা কেনার চেষ্টা করেন দুজন। উয়ু নামের এক ব্যক্তি নতুন আইফোন কেনার ইচ্ছার কথা তাঁর বন্ধু হুয়াংকে জানান। কিন্তু আইফোন কেনার সামর্থ্য না থাকায় কিডনি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অবৈধ অঙ্গ-প্রত্যক্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগও করেন। তাদের নানজিংয়ের এক হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য আসতে বলা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে এসে দেখেন সে প্রতিনিধি আসেনি। তখন উয়ু তার কিডনি বিক্রির পরিকল্পনা বাদ দিলেও হুয়াং সিদ্ধান্ত বদলাননি। বন্ধুর কিডনি বিক্রি ঠেকাতে উয়ু পুলিশকে ফোন করেন। তারপর থেকে পলাতক আছেন হুয়াং।
আইফোন কেনার ক্ষেত্রে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে মরিয়া হয়ে ওঠার লক্ষণ অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালে চীনের এক তরুণ আইফোন ও আইপ্যাড কেনার জন্য নিজের কিডনি বেচতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পা দিয়েছিল। এ কাজে জড়িত থাকার দায়ে সাতজনের কারাদণ্ড হয়।
২০১৩ সালে চীনের এক দম্পতির বিরুদ্ধে আইফোন ও বিলাসী পণ্য কিনতে নিজেদের কন্যাশিশুকে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছিল। দেশটির সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেন, ঝাং ও তেং দম্পতি প্রায় ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের কন্যাশিশুকে বিক্রির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। ইন্টারনেট, আইফোন ও অন্যান্য বিলাসী পণ্য কিনতে তারা এই টাকার সিংহভাগ খরচ করেছে। ওই দম্পতির ব্যাংক হিসাব ও ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনেও এর প্রমাণ রয়েছে।
সম্প্রতি ভারতেও এ ধরনের ঘটনার প্রমাণ পায় পুলিশ। দেশটির উত্তর প্রদেশে শুধু একটা স্মার্টফোন আর যৎসামান্য বাড়তি অর্থের জন্য তিন কিশোর রক্ত বিক্রি করতে গিয়েছিল। মাত্র ৫০০ রুপিতে প্রতি ব্যাগ রক্ত বিক্রি করতে সম্মত হয়েছিল তারা। ৭ আগস্ট রক্ত বিক্রির সময় ভারতের উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর আইফোন ৬ এস ও ৬ এস প্লাস নামের দুটি মডেলের আইফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপলের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আইফোন ৬ এসের ১৬ জিবি মডেলটির দাম ৬৪৯ মার্কিন ডলার, ৬ এস প্লাসের দাম ৭৪৯ মার্কিন ডলার।
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আইফোন বিক্রি শুরুর পর এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩০ লাখ ইউনিট আইফোন বিক্রি হয়েছে যা এক সপ্তাহের মধ্যে আইফোন বিক্রির একটি রেকর্ড। নতুন আইফোন চীনের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক।
এবিপি নিউজের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে আইফোন নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত। প্রেমিক নাকি আইফোন কিনে দিতে চেয়েছিলেন! সেটি কিনে না দেওয়ায়, রাগে-ক্ষোভে জনসম্মুখেই অভিনব প্রতিবাদ করে দিগম্বর হতে শুরু করেন প্রেমিকা। হতবিহ্বল—বেচারা প্রেমিক তাকে শত বুঝিয়েও কাজ হয়নি।
নতুন আইফোন হাতে পাওয়া নিয়ে এ রকম পাগলামির ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এ মাসের মাঝামাঝিতে চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, আইফোনের নতুন সংস্করণ ৬ এস বাজারে আসার পর কিডনি বিক্রি করে তা কেনার চেষ্টা করেন দুজন। উয়ু নামের এক ব্যক্তি নতুন আইফোন কেনার ইচ্ছার কথা তাঁর বন্ধু হুয়াংকে জানান। কিন্তু আইফোন কেনার সামর্থ্য না থাকায় কিডনি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অবৈধ অঙ্গ-প্রত্যক্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগও করেন। তাদের নানজিংয়ের এক হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য আসতে বলা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে এসে দেখেন সে প্রতিনিধি আসেনি। তখন উয়ু তার কিডনি বিক্রির পরিকল্পনা বাদ দিলেও হুয়াং সিদ্ধান্ত বদলাননি। বন্ধুর কিডনি বিক্রি ঠেকাতে উয়ু পুলিশকে ফোন করেন। তারপর থেকে পলাতক আছেন হুয়াং।
আইফোন কেনার ক্ষেত্রে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে মরিয়া হয়ে ওঠার লক্ষণ অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালে চীনের এক তরুণ আইফোন ও আইপ্যাড কেনার জন্য নিজের কিডনি বেচতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পা দিয়েছিল। এ কাজে জড়িত থাকার দায়ে সাতজনের কারাদণ্ড হয়।
২০১৩ সালে চীনের এক দম্পতির বিরুদ্ধে আইফোন ও বিলাসী পণ্য কিনতে নিজেদের কন্যাশিশুকে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছিল। দেশটির সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেন, ঝাং ও তেং দম্পতি প্রায় ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের কন্যাশিশুকে বিক্রির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। ইন্টারনেট, আইফোন ও অন্যান্য বিলাসী পণ্য কিনতে তারা এই টাকার সিংহভাগ খরচ করেছে। ওই দম্পতির ব্যাংক হিসাব ও ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনেও এর প্রমাণ রয়েছে।
সম্প্রতি ভারতেও এ ধরনের ঘটনার প্রমাণ পায় পুলিশ। দেশটির উত্তর প্রদেশে শুধু একটা স্মার্টফোন আর যৎসামান্য বাড়তি অর্থের জন্য তিন কিশোর রক্ত বিক্রি করতে গিয়েছিল। মাত্র ৫০০ রুপিতে প্রতি ব্যাগ রক্ত বিক্রি করতে সম্মত হয়েছিল তারা। ৭ আগস্ট রক্ত বিক্রির সময় ভারতের উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর আইফোন ৬ এস ও ৬ এস প্লাস নামের দুটি মডেলের আইফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপলের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আইফোন ৬ এসের ১৬ জিবি মডেলটির দাম ৬৪৯ মার্কিন ডলার, ৬ এস প্লাসের দাম ৭৪৯ মার্কিন ডলার।
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আইফোন বিক্রি শুরুর পর এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩০ লাখ ইউনিট আইফোন বিক্রি হয়েছে যা এক সপ্তাহের মধ্যে আইফোন বিক্রির একটি রেকর্ড। নতুন আইফোন চীনের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক।
No comments