ব্যস্ততার মাঝে বডি ফিটনেস
সুস্থ থাকতে সঠিক খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি এক্সারসাইজের দরকার। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যস্ত এই জীবনের সময়ের অভাবে প্রতিদিন জিমে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই ব্যস্ত এই জীবনে একটু সময় বের করে এক্সারসাইজ করতে পারেন।
প্রত্যেকের শারীরিক ক্ষমতা একরকম হয় না। সাধারণত প্রত্যেকের ফিটনেস আলাদা। সুবিধা অনুযায়ী এক্সারসাইজ মডিফাই করে নেওয়া যায়। তবে যাদের বয়স ৪০-এর বেশি, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, হাই ব্লাডপেসার বা অন্য কোন শারীরিক সমস্যা আছে, তারা এক্সারসাইজ শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। তবে দেখা গেছে যারা ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, আর্থ্রাইটিস বা হার্টের রোগে ভুগছেন, তারা এ্যারোবিক এক্সারসাইজ হলো হাঁটা। এ ছাড়াও সাইকেল চালানো, দৌড়ানো, বাস্কেটবল খেলা এ্যারোবিক এক্সারসাইজের মধ্যে পড়ে। এমনকি নাচও এক ধরনের এ্যারোবিক ওয়ার্ক আউট। আর যদি জিমে যেতে চান কিন্তু কঠিন কোন এক্সারসাইজ করার আপত্তি থাকে, বেছে নিতে পারেন সাইকেল, বোয়িং মেশিন। যারা এক্সারসাইজ করতে শুরু করেছেন, বা যাদের মূল লক্ষ্য অতিরিক্ত ওজন কমানো তাদের ক্ষেত্রে হাঁটার কোন বিকল্প নেই। তবে যদি মনে করেন হাঁটতে শুরু করলেই আপনার ওজন সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে তাহলে কিন্তু মুশকিল। ধৈর্য ধরতে হবে। আস্তে আস্তে হাঁটার সঙ্গে সঙ্গে জগিং আরম্ভ করে দিতে পারেন। যেহেতু জগিং হাঁটার তুলনায় বেশি ইনটেন্স, তাই তাড়াতাড়ি ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্যে করে। যারা বাড়ির বাইরে এক্সারসাইজ করা পছন্দ করেন তাদের ক্ষেত্রে জগিং একদম পারফেক্ট। ভোরবেলা বা সন্ধ্যাবেলা জগিং করার সব থেকে ভাল সময়। বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই মেদ কমার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে। যারা এ্যাক্টিভ থাকত পছন্দ করেন বা খেলাধুলায় রুচি রাখেন, তাদের জন্য সাইকেল চালানো খুব ভাল এক্সারসাইজ। অনেক সময় হয়ত আবহাওয়া বা ট্রাফিকের কারণে রাস্তায় সাইকেল চালানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। সে ক্ষেত্রে জিমে গিয়ে সাইকেল চালাতে পারেন। তবে মাঝে মধ্যে চেষ্টা করবেন রাস্তায় সাইকেল চালাতে। তাহলে এক্সারসাইজ রুটিন একটু রদবদলও হবে আর আপনিও ফ্রেশ থাকবেন। এছাড়া জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ করতে চাইলে বেচে নিতে পারেন রোয়িং মেশিন বা এলিপ্টিকাল জাতীয় মেশিন।রিমা
No comments