সুন্দরবনকে অবহেলা হবে আত্মঘাতী
বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। জাতিসংঘের ইউনেস্কো মিশন ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ২১তম অধিবেশনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে ৫২২তম বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া দেশে ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়।
সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের এক অংশ নিয়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের মোট আয়তনের ৪.২ শতাংশ মোট বনাঞ্চলের ৪৪ শতাংশ জুড়ে থাকা এ বনের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা আলোচনার অপেক্ষা রাখে না। অতি মূল্যবান প্রাণীজ, জলজ ও বনজ সম্পদ মিলে এক অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বেলাভূমিতে এ সুন্দরবন শুধু জীব বৈচিত্র্যের উৎসই নয় একই সাথে সুন্দরবন সংলগ্ন লাখ লাখ মানুষের জীবন জীবিকার উৎস হিসেবে অবদান রাখছে।
১৯০৩ সালে ডেভিড প্রেইন এখানে ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। এ ছাড়াও এ বনভূমিতে ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং গুল্ম লতা। এই বিশাল বনভূমিতে প্রধান বৃক্ষ হল সুন্দরী গাছ, এছাড়া গেওয়া, বাইন, কেওড়া, নোনা ঝাউ, গরান, সিউরা, ওড়া, কাকড়া, ধুন্দল, আমুর, পশুর, খলসি, ভোলা, হেতাল, গড়াইয়া, গোলপাতা, কুম্ভিপাতা, আরও নাম না জানা অনেক বৃক্ষ রয়েছে। মধু ও মোমের পাশাপাশি ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য তৈরির সামগ্রীও সুন্দরবন থেকে সংগ্রহ করা হয়। দেশের কাষ্ঠ সম্পদের শতকরা ৬০ ভাগই সংগ্রহ করা হয় এই বিশাল বন থেকে। উল্লেখযোগ্য মৎস্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে রূপচাঁদা, লইট্যা, ছুরি, মেদ, ইলিশ, পোয়া, কাইন, পাঙ্গাস, ফ্যাসা, সুরমা, শাপলা পাতা, হাঙ্গর, চিংড়ি, কৈ করাত, ভেটকি, আইড়, ভোল প্রভৃতি মাছ। ১৫/২০ হাজার টন প্রতি বছর আহরিত হয়। প্রায় ৩৬ হাজার টন চিংড়ি ও কাকড়া, ৭৫০ টন ইলিশ ও প্রায় ২০ কোটি চিংড়ির পোনা আহরিত হয় এখান থেকে।
প্রায় ৪,১৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট স্থলে ভাগে রয়েছে প্রাণীবৈচিত্র্যের ব্যাপক সমাগম। প্রাণী বিজ্ঞানী ড. রেজা খান ১৯৮৩ সালে একটি গভেষণা পত্রে এখানকার ৩ প্রজাতির উভচর, ৫০ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৬১ প্রজাতির পাখি, ৪৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর কথা উল্ল্যেখ করেছেন। বিভিন্ন পশু পাখির মধ্যে রয়েছে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী চিত্রল হরিণ, শুকর, বানর, সাপ, গুইসাপ, কুমির, বনবিড়াল, ভোদড়, দাড়িয়া এবং নাম না জানা নানা প্রজাতির পশু-পাখি। প্রাণীকূলের মধ্যে সুন্দরবনের সর্বপ্রধান আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণ।
সর্বশেষ ২০০৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা রয়েছে ৪৪০টি ধারণা করা হয় হরিণের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। আর কুমির রয়েছে ২ শতাধিক। বর্তমানে ১২ শতাধিক বনকর্মকর্তা কর্মচারী সুন্দরবনের দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়েজিত আছেন।
১৯০৩ সালে ডেভিড প্রেইন এখানে ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। এ ছাড়াও এ বনভূমিতে ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং গুল্ম লতা। এই বিশাল বনভূমিতে প্রধান বৃক্ষ হল সুন্দরী গাছ, এছাড়া গেওয়া, বাইন, কেওড়া, নোনা ঝাউ, গরান, সিউরা, ওড়া, কাকড়া, ধুন্দল, আমুর, পশুর, খলসি, ভোলা, হেতাল, গড়াইয়া, গোলপাতা, কুম্ভিপাতা, আরও নাম না জানা অনেক বৃক্ষ রয়েছে। মধু ও মোমের পাশাপাশি ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য তৈরির সামগ্রীও সুন্দরবন থেকে সংগ্রহ করা হয়। দেশের কাষ্ঠ সম্পদের শতকরা ৬০ ভাগই সংগ্রহ করা হয় এই বিশাল বন থেকে। উল্লেখযোগ্য মৎস্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে রূপচাঁদা, লইট্যা, ছুরি, মেদ, ইলিশ, পোয়া, কাইন, পাঙ্গাস, ফ্যাসা, সুরমা, শাপলা পাতা, হাঙ্গর, চিংড়ি, কৈ করাত, ভেটকি, আইড়, ভোল প্রভৃতি মাছ। ১৫/২০ হাজার টন প্রতি বছর আহরিত হয়। প্রায় ৩৬ হাজার টন চিংড়ি ও কাকড়া, ৭৫০ টন ইলিশ ও প্রায় ২০ কোটি চিংড়ির পোনা আহরিত হয় এখান থেকে।
প্রায় ৪,১৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট স্থলে ভাগে রয়েছে প্রাণীবৈচিত্র্যের ব্যাপক সমাগম। প্রাণী বিজ্ঞানী ড. রেজা খান ১৯৮৩ সালে একটি গভেষণা পত্রে এখানকার ৩ প্রজাতির উভচর, ৫০ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৬১ প্রজাতির পাখি, ৪৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর কথা উল্ল্যেখ করেছেন। বিভিন্ন পশু পাখির মধ্যে রয়েছে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী চিত্রল হরিণ, শুকর, বানর, সাপ, গুইসাপ, কুমির, বনবিড়াল, ভোদড়, দাড়িয়া এবং নাম না জানা নানা প্রজাতির পশু-পাখি। প্রাণীকূলের মধ্যে সুন্দরবনের সর্বপ্রধান আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণ।
সর্বশেষ ২০০৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা রয়েছে ৪৪০টি ধারণা করা হয় হরিণের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। আর কুমির রয়েছে ২ শতাধিক। বর্তমানে ১২ শতাধিক বনকর্মকর্তা কর্মচারী সুন্দরবনের দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়েজিত আছেন।
দুবলার চর সুন্দর বনের একটি বিখ্যাত স্থান। এটি বঙ্গোপ সাগরের উপকূল সংলগ্ন একটি চর। বন আর সমুদ্রের এ মিলন কেন্দ্রে দেশের অন্যতম বৃহৎ মৎস্য ও শুঁটকি শিল্প গড়ে উঠেছে। মৎস্য শিল্প ছাড়া ও এটি দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের রাস উৎসবের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর ২৩-২৬ নভেম্বর দুবলার চরে আলোর কোলে চার দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলার সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য দেশ বিদেশের পর্যটকরা ও এখানে মিলিত হয়। এই মেলার সময় হরিণ শিকারীদের হরিণ শিকারের এক মহোৎসব শুরু হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুণ্য স্নান উপলক্ষে রাস উৎসব উদযাপন করা হয়। আর প্রতি বছর যত হরিণ নিধন করা হয় তার সিংহ ভাগই নিধন করা হয় এই রাস উৎসবের অন্তরালে। এ ছাড়া ও প্রতি নিয়ত শিকারীরা নির্বিচারে হরিণ শিকার করছে। বন রক্ষীদের অগোচরে শিকারী চক্র পশু শিকার করে থাকে। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় যে কেউ সহজেই হরিনের মাংস সংগ্রহ করতে পারে। সুন্দরবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার যা এ বন ও বাংলাদেশকে বিশ্ব খ্যতি দিয়েছে। কিন্তু বাঘেরাও আজকাল ভাল নেই। বিশ্বখ্যাত এ বাঘের এক মাত্র ও শেষ আশ্রয়স্থল সুন্দরবনে ও তারা হুমকির সম্মুখীন।
বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ৫৩টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৩০টি মারা যায় লিভার সিরোসিস এবং অজানা রোগে। ১৯৮৮ সালের বন্যায় মারা যায় ১১টি বাঘ। তাছাড়া ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ১৭টি বাঘের চামড়া আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। সম্প্রতি সিডরের আঘাতে বেশ কয়েকটি বাঘ মারা যায়।
বনরক্ষী, পুলিশ বা অন্যান্য বাহিনীর অগোচরে গুপ্তভাবে কত যে বাঘ ও হরিণ শিকার হচ্ছে তার সঠিক পরিসখ্যান কারো জানা নেই। সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষন খুব কঠিন কাজ নয়। শুধু প্রয়োজন সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা। সর্বাপেক্ষা বেষ্ট প্রয়োজন বা দরকার তা হলো দেশ প্রেম, সততা, আন্তরিকতা ও নৈতিকতা।
বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ৫৩টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৩০টি মারা যায় লিভার সিরোসিস এবং অজানা রোগে। ১৯৮৮ সালের বন্যায় মারা যায় ১১টি বাঘ। তাছাড়া ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ১৭টি বাঘের চামড়া আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। সম্প্রতি সিডরের আঘাতে বেশ কয়েকটি বাঘ মারা যায়।
বনরক্ষী, পুলিশ বা অন্যান্য বাহিনীর অগোচরে গুপ্তভাবে কত যে বাঘ ও হরিণ শিকার হচ্ছে তার সঠিক পরিসখ্যান কারো জানা নেই। সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষন খুব কঠিন কাজ নয়। শুধু প্রয়োজন সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা। সর্বাপেক্ষা বেষ্ট প্রয়োজন বা দরকার তা হলো দেশ প্রেম, সততা, আন্তরিকতা ও নৈতিকতা।
No comments