এশিয়া কাপ-আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান এবং এশিয়া কাপ by সাইদুজ্জামান
মিরপুরে ২৩৩ রান করলে ম্যাচ জেতা যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে এ ব্যবধানে হারের অতীতই আছে বাংলাদেশ দলের। হতাশার এশিয়া কাপের ২৯ ম্যাচে তবু দুটি জয় আছে বাংলাদেশের। সেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে সমসংখ্যক ম্যাচে একটিই জয় বাংলাদেশের। তবু খেলাটা এমন যে আগেই হেরে মাঠে নামার উপায় নেই।
তাই দ্বাদশ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নামার আগে ড্রেসিংরুমে পাকিস্তানকে হারানোর মন্ত্রই জপ হবে বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এরপর আর ফর্মে তুঙ্গে থাকা পাকিস্তান দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকের প্রত্যাশার কথা না-ই বা জানলেন!
মিসবাহ-উল হকের কথাবার্তার ধরন জানা হয়ে গেছে। গত ডিসেম্বরেই যে বাংলাদেশের সব জিতে গেল তাঁর দল! তাই বাংলাদেশের সাবেক কোচ ডেভ হোয়াটমোরের কাছ থেকে বাংলাদেশ দল কিংবা এখানকার উইকেট আর আবহাওয়া সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানার নেই পাকিস্তান অধিনায়কের, 'কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে খেলে গেছি। কয়েকজন পরে বিপিএলেও খেলেছে। তাই আমরা একে অন্যকে ভালো চিনি-জানি। শক্তি আর দুর্বলতা সম্পর্কেও ধারণা আছে।' সে ধারণার সুবিধা বাংলাদেশেরও আছে। তাই ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনের সুখস্মৃতি ভুলে বাস্তবতাকেই মেনে নিয়েছেন সাকিব, 'হ্যাঁ, এরপরে আর কোনো ম্যাচ জিতিনি। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব ভালো একটা ক্রিকেটও খেলতে পারিনি। গত সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আমাদের ভালো একটা সুযোগ ছিল। দ্বিতীয় টেস্টটা মোটামুটি ভালো খেলেছি। কিন্তু ওদের সঙ্গে ওভাবে কখনোই ভালো করতে পারিনি।'
তবে এটা নতুন একটা টুর্নামেন্ট। তাও আবার শুরুর ম্যাচ। তাই সুযোগ তো আছেই। আপাতত সে সুযোগের সদ্ব্যবহারে ফন্দিও আঁটছে বাংলাদেশ। যেমন কাল অনুশীলনের ফাঁকে উইকেট দেখে আসা সাকিবের মন্তব্য, 'উইকেটে ঘাস দেখলাম।' মিসবাহও কিছুটা চমকিত, 'ডিসেম্বরে খেলে যাওয়া উইকেটের সঙ্গে কোনো মিল নেই। ঘাস দেখলাম।' গজিয়ে ওঠা সে ঘাসে কি তৃতীয় পেসার খেলানোর চিন্তা-ভাবনা উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের মনে? সাকিবের দেওয়া ইঙ্গিতটা সে রকমই, 'পরিকল্পনার কথা অধিনায়ক এবং কোচ ভালো বলতে পারবেন। তবে উইকেট যে রকম দেখছি, তাতে তিন পেসারও খেলতে পারে।'
আবার সাকিবের কথাতে উল্টো সুরও আছে, 'উপমহাদেশের উইকেটে এখানকার দলের বিপক্ষে বোলিং সব সময়ই চ্যালেঞ্জ। স্পিনাররা তবু কিছুটা সাহায্য পায়। কিন্তু পেসারদের জন্য কিছু থাকে না। এখানে সাধারণত অভিজ্ঞতাটা খুব কাজে আসে।' দলে স্পিনার-অলরাউন্ডার সংখ্যায় বেশি থাকায় তিন পেসারের কারণে ব্যাটিং শক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন না সাকিব। তবু উইকেটে যৎসামান্য ঘাস দেখেই তিন পেসারে যাবে বাংলাদেশ, শতভাগ নিশ্চিত হওয়া কঠিন। যদিও মাশরাফি বিন মর্তুজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তিনি খেলছেনই।
কিন্তু বাংলাদেশের যে সমস্যার অন্ত নেই! মিরপুরের একেকটা উইকেটের একেক আচরণের কারণে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে না পারলেও ২৩০ রানকে লড়াইয়ের নূ্যনতম পুঁজি মনে করছেন সাকিব। কথাবার্তায় মনে হলো পাকিস্তানি বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এ রান করাটাকেই আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক, 'ওদের স্পিন আক্রমণ খুবই ভালো, পেস বোলিংয়েও। আমার মনে হয় উপমহাদেশের চারটা দলের মধ্যে সেরা বোলিং আক্রমণ পাকিস্তানেরই। সেদিক থেকে আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।' অনেক বিতর্ক ঠেলে জাতীয় দলে ফেরা তামিম ইকবাল খানই সে চ্যালেঞ্জ জয়ে বাংলাদেশের বাজির ঘোড়া।
এরপর ডেভ হোয়াটমোরকে টেনে না আনলেই নয়। আয়োজক কমিটির দেওয়া সূচি অনুযায়ী দুপুর ২টায় মিরপুরে অনুশীলনে যাওয়ার কথা পাকিস্তান দলের। কিন্তু দুপুর ১২টার আগেই সদলবলে মাঠে হোয়াটমোর। যাঁর বিরুদ্ধে অনুশীলনে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে একাট্টা সে সময়কার ক্রিকেটাররা, সেই হোয়াটমোরই কিনা নেটে বল থ্রো করছেন। সাঈদ আজমল-আবদুল রেহমানদের ফিল্ডিং অনুশীলন করাচ্ছেন! বড় দলের দায়িত্বপ্রাপ্তির অনুপ্রেরণা এবং সাফল্যের পথে সোজা হাঁটতে শুরু করা পাকিস্তান আচমকা হোঁচট খেলে মসনদ টলে ওঠার আশঙ্কা মিলিয়ে এ যেন কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর ডেভ হোয়াটমোর। এশিয়া কাপটা যেন তাঁর নিজের জন্যও বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
চ্যালেঞ্জ আরেক অস্ট্রেলীয়র জন্যও। শ্রীলঙ্কা, সিলেট রয়্যালস কিংবা বাংলাদেশ_কোথাও সুখস্মৃতি নেই স্টুয়ার্ট ল'র। ক্রিকেটে স্মৃতি বড়ই ক্ষণস্থায়ী। বাংলাদেশ স্মৃতির ঠাঁই নেই বললেই চলে। অন্তত তামিম ইকবাল এটা খুব বিশ্বাস করেন। ক্রিকেটপাড়ায় কোচ স্টুয়ার্ট ল'র 'ভাগ্য' নিয়েও তেমনি শুরু হয়ে গেছে কানাঘুষা। মুশকিল হলো, সেই কানাঘুষা বন্ধ করা তাঁর জন্য বাঘের খাঁচায় খালি হাতে যুদ্ধের মতোই কঠিন। তবু রিং মাস্টার বাঘ পোষ মানিয়ে সদর্পে বেরিয়ে আসেন খাঁচা থেকে। ম্যাচ পরিকল্পনার ফাঁদে কি পাকিস্তানকে ফেলতে পারবেন স্টুয়ার্ট ল?
অবশ্য দিনশেষে ম্যাচের ফল মূলত নির্ভর করে সাকিব কিংবা শহীদ আফ্রিদির নৈপুণ্যের ওপরই। সমস্যা হলো যুদ্ধ জয়ে সাকিবের পাশে তামিম, মাশরাফির মতো হাতে গোনা কজন দক্ষ যোদ্ধা আছেন। অন্যদিকে আফ্রিদির পাশে আছেন তেমন আরো ১০ জন। তবু তেমন দিন তো আসেই। যেদিন সাকিবের কথায়, 'যদি আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে খেলতে পারি...।' সঙ্গে যোগ করে নিন, 'যদি একটা মেঘলা দিন গ্রাস করে পাকিস্তানকে...।'
তাহলে নর্দাম্পটনের আনন্দস্রোত বইবে আজ রাতের ঢাকায়। তারও চেয়ে বেশি কিছু হওয়ার কথা। অবশ্য যদি পাকিস্তানের সঙ্গে এশিয়া কাপের অতীতটাও আনা হয় বিবেচনায়। প্রথমে এক টুকরো স্মৃতি। ২০০৪ সালে কলম্বোর এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা জাভেদ ওমর স্যুভেনির হিসেবে প্রাইজমানির রেপ্লিকা চেকটা কোলে বসিয়ে ঢাকায় ফিরেছিলেন। তা নিয়ে মুখ টিপে এখনো হাসেন অনেকে। অথচ ওটাই এশিয়া কাপের কোনো ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম জয়। পরে আরেকটি জয় দেখেছে বাংলাদেশ। তবে ২০০৮ সালের সে জয়টিও আইসিসির সহযোগী দেশ আমিরাতের বিপক্ষে। মাঝে সব বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারালেও ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের।
এটুকু জানার পর তো সে হাসি মুছে যাওয়াই উচিত, নাকি? তেমনি 'অঘটন' ঘটিয়ে ফেলতে পারলে তার আনন্দও ছাড়িয়ে যেতে পারে নর্দাম্পটনের উৎসবকে।
মিসবাহ-উল হকের কথাবার্তার ধরন জানা হয়ে গেছে। গত ডিসেম্বরেই যে বাংলাদেশের সব জিতে গেল তাঁর দল! তাই বাংলাদেশের সাবেক কোচ ডেভ হোয়াটমোরের কাছ থেকে বাংলাদেশ দল কিংবা এখানকার উইকেট আর আবহাওয়া সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানার নেই পাকিস্তান অধিনায়কের, 'কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে খেলে গেছি। কয়েকজন পরে বিপিএলেও খেলেছে। তাই আমরা একে অন্যকে ভালো চিনি-জানি। শক্তি আর দুর্বলতা সম্পর্কেও ধারণা আছে।' সে ধারণার সুবিধা বাংলাদেশেরও আছে। তাই ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনের সুখস্মৃতি ভুলে বাস্তবতাকেই মেনে নিয়েছেন সাকিব, 'হ্যাঁ, এরপরে আর কোনো ম্যাচ জিতিনি। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব ভালো একটা ক্রিকেটও খেলতে পারিনি। গত সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আমাদের ভালো একটা সুযোগ ছিল। দ্বিতীয় টেস্টটা মোটামুটি ভালো খেলেছি। কিন্তু ওদের সঙ্গে ওভাবে কখনোই ভালো করতে পারিনি।'
তবে এটা নতুন একটা টুর্নামেন্ট। তাও আবার শুরুর ম্যাচ। তাই সুযোগ তো আছেই। আপাতত সে সুযোগের সদ্ব্যবহারে ফন্দিও আঁটছে বাংলাদেশ। যেমন কাল অনুশীলনের ফাঁকে উইকেট দেখে আসা সাকিবের মন্তব্য, 'উইকেটে ঘাস দেখলাম।' মিসবাহও কিছুটা চমকিত, 'ডিসেম্বরে খেলে যাওয়া উইকেটের সঙ্গে কোনো মিল নেই। ঘাস দেখলাম।' গজিয়ে ওঠা সে ঘাসে কি তৃতীয় পেসার খেলানোর চিন্তা-ভাবনা উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের মনে? সাকিবের দেওয়া ইঙ্গিতটা সে রকমই, 'পরিকল্পনার কথা অধিনায়ক এবং কোচ ভালো বলতে পারবেন। তবে উইকেট যে রকম দেখছি, তাতে তিন পেসারও খেলতে পারে।'
আবার সাকিবের কথাতে উল্টো সুরও আছে, 'উপমহাদেশের উইকেটে এখানকার দলের বিপক্ষে বোলিং সব সময়ই চ্যালেঞ্জ। স্পিনাররা তবু কিছুটা সাহায্য পায়। কিন্তু পেসারদের জন্য কিছু থাকে না। এখানে সাধারণত অভিজ্ঞতাটা খুব কাজে আসে।' দলে স্পিনার-অলরাউন্ডার সংখ্যায় বেশি থাকায় তিন পেসারের কারণে ব্যাটিং শক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন না সাকিব। তবু উইকেটে যৎসামান্য ঘাস দেখেই তিন পেসারে যাবে বাংলাদেশ, শতভাগ নিশ্চিত হওয়া কঠিন। যদিও মাশরাফি বিন মর্তুজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তিনি খেলছেনই।
কিন্তু বাংলাদেশের যে সমস্যার অন্ত নেই! মিরপুরের একেকটা উইকেটের একেক আচরণের কারণে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে না পারলেও ২৩০ রানকে লড়াইয়ের নূ্যনতম পুঁজি মনে করছেন সাকিব। কথাবার্তায় মনে হলো পাকিস্তানি বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এ রান করাটাকেই আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক, 'ওদের স্পিন আক্রমণ খুবই ভালো, পেস বোলিংয়েও। আমার মনে হয় উপমহাদেশের চারটা দলের মধ্যে সেরা বোলিং আক্রমণ পাকিস্তানেরই। সেদিক থেকে আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।' অনেক বিতর্ক ঠেলে জাতীয় দলে ফেরা তামিম ইকবাল খানই সে চ্যালেঞ্জ জয়ে বাংলাদেশের বাজির ঘোড়া।
এরপর ডেভ হোয়াটমোরকে টেনে না আনলেই নয়। আয়োজক কমিটির দেওয়া সূচি অনুযায়ী দুপুর ২টায় মিরপুরে অনুশীলনে যাওয়ার কথা পাকিস্তান দলের। কিন্তু দুপুর ১২টার আগেই সদলবলে মাঠে হোয়াটমোর। যাঁর বিরুদ্ধে অনুশীলনে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে একাট্টা সে সময়কার ক্রিকেটাররা, সেই হোয়াটমোরই কিনা নেটে বল থ্রো করছেন। সাঈদ আজমল-আবদুল রেহমানদের ফিল্ডিং অনুশীলন করাচ্ছেন! বড় দলের দায়িত্বপ্রাপ্তির অনুপ্রেরণা এবং সাফল্যের পথে সোজা হাঁটতে শুরু করা পাকিস্তান আচমকা হোঁচট খেলে মসনদ টলে ওঠার আশঙ্কা মিলিয়ে এ যেন কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর ডেভ হোয়াটমোর। এশিয়া কাপটা যেন তাঁর নিজের জন্যও বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
চ্যালেঞ্জ আরেক অস্ট্রেলীয়র জন্যও। শ্রীলঙ্কা, সিলেট রয়্যালস কিংবা বাংলাদেশ_কোথাও সুখস্মৃতি নেই স্টুয়ার্ট ল'র। ক্রিকেটে স্মৃতি বড়ই ক্ষণস্থায়ী। বাংলাদেশ স্মৃতির ঠাঁই নেই বললেই চলে। অন্তত তামিম ইকবাল এটা খুব বিশ্বাস করেন। ক্রিকেটপাড়ায় কোচ স্টুয়ার্ট ল'র 'ভাগ্য' নিয়েও তেমনি শুরু হয়ে গেছে কানাঘুষা। মুশকিল হলো, সেই কানাঘুষা বন্ধ করা তাঁর জন্য বাঘের খাঁচায় খালি হাতে যুদ্ধের মতোই কঠিন। তবু রিং মাস্টার বাঘ পোষ মানিয়ে সদর্পে বেরিয়ে আসেন খাঁচা থেকে। ম্যাচ পরিকল্পনার ফাঁদে কি পাকিস্তানকে ফেলতে পারবেন স্টুয়ার্ট ল?
অবশ্য দিনশেষে ম্যাচের ফল মূলত নির্ভর করে সাকিব কিংবা শহীদ আফ্রিদির নৈপুণ্যের ওপরই। সমস্যা হলো যুদ্ধ জয়ে সাকিবের পাশে তামিম, মাশরাফির মতো হাতে গোনা কজন দক্ষ যোদ্ধা আছেন। অন্যদিকে আফ্রিদির পাশে আছেন তেমন আরো ১০ জন। তবু তেমন দিন তো আসেই। যেদিন সাকিবের কথায়, 'যদি আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে খেলতে পারি...।' সঙ্গে যোগ করে নিন, 'যদি একটা মেঘলা দিন গ্রাস করে পাকিস্তানকে...।'
তাহলে নর্দাম্পটনের আনন্দস্রোত বইবে আজ রাতের ঢাকায়। তারও চেয়ে বেশি কিছু হওয়ার কথা। অবশ্য যদি পাকিস্তানের সঙ্গে এশিয়া কাপের অতীতটাও আনা হয় বিবেচনায়। প্রথমে এক টুকরো স্মৃতি। ২০০৪ সালে কলম্বোর এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা জাভেদ ওমর স্যুভেনির হিসেবে প্রাইজমানির রেপ্লিকা চেকটা কোলে বসিয়ে ঢাকায় ফিরেছিলেন। তা নিয়ে মুখ টিপে এখনো হাসেন অনেকে। অথচ ওটাই এশিয়া কাপের কোনো ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম জয়। পরে আরেকটি জয় দেখেছে বাংলাদেশ। তবে ২০০৮ সালের সে জয়টিও আইসিসির সহযোগী দেশ আমিরাতের বিপক্ষে। মাঝে সব বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারালেও ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের।
এটুকু জানার পর তো সে হাসি মুছে যাওয়াই উচিত, নাকি? তেমনি 'অঘটন' ঘটিয়ে ফেলতে পারলে তার আনন্দও ছাড়িয়ে যেতে পারে নর্দাম্পটনের উৎসবকে।
No comments