সরেজমিন-২-খন্দকারের সামনে রাজনৈতিক সংকট by সেলিম জাহিদ ও কামনাশীষ শেখর
চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়াসহ নানা অভিযোগে আগের ভাবমূর্তি অনেকটাই ম্লান টাঙ্গাইলের গোপালপুর-ভূঞাপুর আসনের সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামানের। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বার্ধক্যের ভার। সব মিলিয়ে ভবিষ্যতে এ সাংসদের ভবিষ্যৎ ভালো দেখছেন না তাঁর সংসদীয় এলাকার নেতা-কর্মীরা।
জানতে চাইলে ভূঞাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেউ মরে পাপে, কেউ মরে তাপে। নিজের কারণেই জামান সাহেবের (আসাদুজ্জামান) রাজনৈতিক মৃত্যু হচ্ছে, কিন্তু এর মূল্য দিতে হবে দলকে।’
ছিয়াত্তর বছরে পা দিয়েছেন সাংসদ আসাদুজ্জামান। গোপালপুর ও ভূঞাপুর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এবং এলাকার অনেক বাসিন্দা মনে করছেন, বয়সের ভারে সাংসদ যতটা ন্যুব্জ, তার চেয়ে বেশি ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন দুর্নীতির অভিযোগের ভারে।
ভূঞাপুর ইব্রাহীম খাঁ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক পদে চাকরির জন্য জামান সাহেব অন্তত ১০ জনের কাছ থেকে টাকা নেন। চাকরি হয় একজনের, বাকিরা দিনের পর দিন ঘুরেন। এতে তাঁর ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন ভূঞাপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামালও। তিনি বলেন, ‘যাত্রা, জুয়ার মাঠ থেকে টাকা নিলে কি আর ভাবমূর্তি থাকে?’
জানতে চাইলে সাংসদ আসাদুজ্জামান বয়স যে তাঁকে পিছিয়ে দিচ্ছে তা স্বীকার করেন। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নে যা করেছি, সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারলে দলের প্রার্থী আগামীতেও নির্বাচিত হবে।’
বদলে যাওয়ায় বিস্ময়: স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাংসদ আসাদুজ্জামান দীর্ঘ সময় সরকারের আমলা ছিলেন। এলাকার মানুষ সম্মান করে তাঁকে ‘স্যার’ ডাকেন। ’৯৬ সালে প্রথম সাংসদ হওয়ার পর তিনি দুই উপজেলার রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন করেন। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর অন্য এক ‘স্যার’কে দেখতে পান তাঁরা।
সাংসদের নিজ গ্রামের বাড়ি নারুচীর অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার মীর নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘স্যার সচিবই ভালো আছিলেন, এবার এমপি হইয়া বদনাম অইছে।’ নাজিম উদ্দিনের বাড়ি নারুচীর মিয়াপাড়ায়, সাংসদ আসাদুজ্জামানের বাড়ি ওই পাড়ারই মিয়াবাড়ি।
সাংসদের পাল্টে যাওয়ায় বিস্মিত গোপালপুর কলেজের একজন প্রবীণ শিক্ষক। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ওই তারিখে স্যার (’৯৬-এর সংসদে) অনেক কাজ করেছেন। এ তারিখে এসে তিনি কেন এমন হলেন, বুঝতে পারি না।’
জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, ‘সচিব হিসেবে যা করেছি, তা ছিল সীমাবদ্ধ ব্যাপার, কিছু স্কুল-কলেজে অবদান রেখেছি। কিন্তু এমপি হিসেবে বিস্তৃত পরিসরে এলাকার রাস্তাঘাটসহ যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি।’
ইচ্ছামতো কমিটি গঠন: সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাউন্সিলরদের ভোটে ২০০৩ সালে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মাসুদুল হক মাসুদ সভাপতি ও আমিরুল ইসলাম তালুকদার ওরফে বিদ্যুৎ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচিত এ কমিটির কয়েকজনকে পছন্দ করতে পারছিলেন না সাংসদ। দুই বছর পর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ এ কমিটি ভেঙে দেয় এবং আবদুল হালিমকে আহ্বায়ক ও আমিরুল ইসলাম তালুকদারকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি করে দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, গত উপজেলা নির্বাচনের সময় দলের মনোনয়ন চান কমিটির আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভেঙে দেওয়া কমিটির সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ। মনোনয়ন পান আবদুল হালিম। বেঁকে বসেন মাসুদ। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর শর্ত হিসেবে তিনি দলের আহ্বায়ক পদ চান সাংসদের কাছে। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আবার মাসুদকে কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে স্বীকার করা হয়। ওই চিঠিতে জেলা সাধারণ সম্পাদক সই করেননি। চিঠি পেয়ে মাসুদ জনৈক আবদুর রাজ্জাককে যুগ্ম আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করেন।
কিন্তু আবদুল হালিম নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর জেলা আওয়ামী লীগ আরেকটি চিঠি দিয়ে আবদুল হালিমকে আহ্বায়ক ও আমিরুল ইসলাম তালুকদারকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে পুনর্বহাল করে। ওই চিঠিতে জেলা সভাপতি-সম্পাদক দুজনই সই করেন। কিন্তু মাসুদ এখনো আহ্বায়ক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন।
যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি একটি। দলীয় বিষয়ে জেলা ও কেন্দ্র আমাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কে এম সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে কর্তার ইচ্ছায় সব হয়। এই কর্তার পরিবর্তন না হলে সামনের নির্বাচনে আমাদের ভরাডুবি হবে।’ গোপালপুর-ভূঞাপুর দুই উপজেলাতেই দলের অবস্থা ভালো নয় বলে দাবি করেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান খান সম্প্রতি মারা গেছেন। ভূঞাপুর উপজেলা কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর টাঙ্গাইলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ আসাদুজ্জামান এখন যে কমিটিকে সমর্থন দিচ্ছেন তা শতভাগ অবৈধ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কোনো কথা শোনেন না। তাঁর কর্মকাণ্ডের কারণে দল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আসাদুজ্জামানের জায়গায় মশিউজ্জামান!: দলের একাধিক নেতা বলেছেন, সাংসদ তাঁর বর্তমান অবস্থান টের পেয়ে ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান ওরফে রোমেলকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। বাবার সঙ্গে মশিউজ্জামান এলাকার সামাজিক অনুষ্ঠান, দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ এটি ভালোভাবে নিচ্ছে না। তবে ওই অংশটি এখনো প্রকাশ্যে মুখ খুলছে না।
পেশায় ব্যবসায়ী মশিউজ্জামান বতর্মান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে নিয়োগ পান। গোপালপুর সদর বাসস্ট্যান্ডের খাবার হোটেল ‘কস্তুরির’ মালিক শাহ আলম বলেন, ‘সামনের তারিখে নাকি স্যারের ছেলে প্রার্থী অইবো।’
জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তবে, বয়সের কারণে আগের মতো পারছি না। ভাবছি, বিকল্প কাউকে দায়িত্ব হস্তান্তর করব।’
সেই বিকল্প ছেলে মশিউজ্জামান কি না—জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, ‘মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এ বিষয়ে আলোপ-আলোচনা করছে। আলোচনায় যা বেরিয়ে আসে, আমি তা গ্রহণ করব।’
ছিয়াত্তর বছরে পা দিয়েছেন সাংসদ আসাদুজ্জামান। গোপালপুর ও ভূঞাপুর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এবং এলাকার অনেক বাসিন্দা মনে করছেন, বয়সের ভারে সাংসদ যতটা ন্যুব্জ, তার চেয়ে বেশি ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন দুর্নীতির অভিযোগের ভারে।
ভূঞাপুর ইব্রাহীম খাঁ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক পদে চাকরির জন্য জামান সাহেব অন্তত ১০ জনের কাছ থেকে টাকা নেন। চাকরি হয় একজনের, বাকিরা দিনের পর দিন ঘুরেন। এতে তাঁর ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন ভূঞাপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামালও। তিনি বলেন, ‘যাত্রা, জুয়ার মাঠ থেকে টাকা নিলে কি আর ভাবমূর্তি থাকে?’
জানতে চাইলে সাংসদ আসাদুজ্জামান বয়স যে তাঁকে পিছিয়ে দিচ্ছে তা স্বীকার করেন। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নে যা করেছি, সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারলে দলের প্রার্থী আগামীতেও নির্বাচিত হবে।’
বদলে যাওয়ায় বিস্ময়: স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাংসদ আসাদুজ্জামান দীর্ঘ সময় সরকারের আমলা ছিলেন। এলাকার মানুষ সম্মান করে তাঁকে ‘স্যার’ ডাকেন। ’৯৬ সালে প্রথম সাংসদ হওয়ার পর তিনি দুই উপজেলার রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন করেন। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর অন্য এক ‘স্যার’কে দেখতে পান তাঁরা।
সাংসদের নিজ গ্রামের বাড়ি নারুচীর অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার মীর নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘স্যার সচিবই ভালো আছিলেন, এবার এমপি হইয়া বদনাম অইছে।’ নাজিম উদ্দিনের বাড়ি নারুচীর মিয়াপাড়ায়, সাংসদ আসাদুজ্জামানের বাড়ি ওই পাড়ারই মিয়াবাড়ি।
সাংসদের পাল্টে যাওয়ায় বিস্মিত গোপালপুর কলেজের একজন প্রবীণ শিক্ষক। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ওই তারিখে স্যার (’৯৬-এর সংসদে) অনেক কাজ করেছেন। এ তারিখে এসে তিনি কেন এমন হলেন, বুঝতে পারি না।’
জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, ‘সচিব হিসেবে যা করেছি, তা ছিল সীমাবদ্ধ ব্যাপার, কিছু স্কুল-কলেজে অবদান রেখেছি। কিন্তু এমপি হিসেবে বিস্তৃত পরিসরে এলাকার রাস্তাঘাটসহ যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি।’
ইচ্ছামতো কমিটি গঠন: সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাউন্সিলরদের ভোটে ২০০৩ সালে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মাসুদুল হক মাসুদ সভাপতি ও আমিরুল ইসলাম তালুকদার ওরফে বিদ্যুৎ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচিত এ কমিটির কয়েকজনকে পছন্দ করতে পারছিলেন না সাংসদ। দুই বছর পর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ এ কমিটি ভেঙে দেয় এবং আবদুল হালিমকে আহ্বায়ক ও আমিরুল ইসলাম তালুকদারকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি করে দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, গত উপজেলা নির্বাচনের সময় দলের মনোনয়ন চান কমিটির আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভেঙে দেওয়া কমিটির সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ। মনোনয়ন পান আবদুল হালিম। বেঁকে বসেন মাসুদ। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর শর্ত হিসেবে তিনি দলের আহ্বায়ক পদ চান সাংসদের কাছে। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আবার মাসুদকে কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে স্বীকার করা হয়। ওই চিঠিতে জেলা সাধারণ সম্পাদক সই করেননি। চিঠি পেয়ে মাসুদ জনৈক আবদুর রাজ্জাককে যুগ্ম আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করেন।
কিন্তু আবদুল হালিম নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর জেলা আওয়ামী লীগ আরেকটি চিঠি দিয়ে আবদুল হালিমকে আহ্বায়ক ও আমিরুল ইসলাম তালুকদারকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে পুনর্বহাল করে। ওই চিঠিতে জেলা সভাপতি-সম্পাদক দুজনই সই করেন। কিন্তু মাসুদ এখনো আহ্বায়ক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন।
যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি একটি। দলীয় বিষয়ে জেলা ও কেন্দ্র আমাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কে এম সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে কর্তার ইচ্ছায় সব হয়। এই কর্তার পরিবর্তন না হলে সামনের নির্বাচনে আমাদের ভরাডুবি হবে।’ গোপালপুর-ভূঞাপুর দুই উপজেলাতেই দলের অবস্থা ভালো নয় বলে দাবি করেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান খান সম্প্রতি মারা গেছেন। ভূঞাপুর উপজেলা কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর টাঙ্গাইলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ আসাদুজ্জামান এখন যে কমিটিকে সমর্থন দিচ্ছেন তা শতভাগ অবৈধ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কোনো কথা শোনেন না। তাঁর কর্মকাণ্ডের কারণে দল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আসাদুজ্জামানের জায়গায় মশিউজ্জামান!: দলের একাধিক নেতা বলেছেন, সাংসদ তাঁর বর্তমান অবস্থান টের পেয়ে ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান ওরফে রোমেলকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। বাবার সঙ্গে মশিউজ্জামান এলাকার সামাজিক অনুষ্ঠান, দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ এটি ভালোভাবে নিচ্ছে না। তবে ওই অংশটি এখনো প্রকাশ্যে মুখ খুলছে না।
পেশায় ব্যবসায়ী মশিউজ্জামান বতর্মান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে নিয়োগ পান। গোপালপুর সদর বাসস্ট্যান্ডের খাবার হোটেল ‘কস্তুরির’ মালিক শাহ আলম বলেন, ‘সামনের তারিখে নাকি স্যারের ছেলে প্রার্থী অইবো।’
জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তবে, বয়সের কারণে আগের মতো পারছি না। ভাবছি, বিকল্প কাউকে দায়িত্ব হস্তান্তর করব।’
সেই বিকল্প ছেলে মশিউজ্জামান কি না—জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, ‘মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এ বিষয়ে আলোপ-আলোচনা করছে। আলোচনায় যা বেরিয়ে আসে, আমি তা গ্রহণ করব।’
No comments