দলীয় বিবেচনার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য-নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
সরকার আরও যে ১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে, তার পেছনে কোন বিবেচনা কাজ করেছে, সেটি বড় প্রশ্ন। ৯২টির মধ্যে ১০টি আবেদন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাই যে বড় ভূমিকা রেখেছে, তাতে সন্দেহ নেই। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেখানে নির্দিষ্ট মান ও তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করার বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত, সেখানে যদি রাজনৈতিক বিবেচনা গুরুত্ব পায়, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক।
দেশে বর্তমানে ৫৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় মান ও শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। বাকিগুলো শর্ত পূরণ না করেই চলছে। বছর পাঁচেক নতুন কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৯২টি। আগের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিলে বর্তমানে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করা সম্ভব। নতুন যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এমন প্রমাণ নেই।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে এমন কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে যারা ইতিমধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাস, ভবনসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সব শর্তই শত ভাগ পূরণ করেছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুমোদন পায়নি। অথচ নতুন অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত ছিল। ধারণা করা যায়, প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক প্রভাব, দলীয় আনুকূল্য বা তদবির না করতে পারায় এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুমোদনের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
সরকারের যেকোনো অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক বিবেচনাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বেসরকারি ব্যাংকই হোক বা বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক। দলের লোক বা দলের আনুকূল্য না থাকলে বাকি কেউ আর কিছুই করতে পারবে না! শিক্ষার মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতে যদি দলীয় পরিচয়ের বাইরের কোনো উদ্যোক্তা বা শিক্ষানুরাগী আন্তরিকভাবে কিছু করতে চান এবং সে পথ যদি রুদ্ধ থাকে, তবে জাতির জন্য এটি এক চরম হতাশার বিষয়। এই খাতটিকে কি অন্তত দলীয়করণের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায় না?
দেশে বর্তমানে ৫৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় মান ও শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। বাকিগুলো শর্ত পূরণ না করেই চলছে। বছর পাঁচেক নতুন কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৯২টি। আগের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিলে বর্তমানে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করা সম্ভব। নতুন যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এমন প্রমাণ নেই।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে এমন কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে যারা ইতিমধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাস, ভবনসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সব শর্তই শত ভাগ পূরণ করেছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুমোদন পায়নি। অথচ নতুন অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত ছিল। ধারণা করা যায়, প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক প্রভাব, দলীয় আনুকূল্য বা তদবির না করতে পারায় এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুমোদনের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
সরকারের যেকোনো অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক বিবেচনাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বেসরকারি ব্যাংকই হোক বা বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক। দলের লোক বা দলের আনুকূল্য না থাকলে বাকি কেউ আর কিছুই করতে পারবে না! শিক্ষার মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতে যদি দলীয় পরিচয়ের বাইরের কোনো উদ্যোক্তা বা শিক্ষানুরাগী আন্তরিকভাবে কিছু করতে চান এবং সে পথ যদি রুদ্ধ থাকে, তবে জাতির জন্য এটি এক চরম হতাশার বিষয়। এই খাতটিকে কি অন্তত দলীয়করণের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায় না?
No comments