মিসর-একদা পরাক্রমশালী স্বৈরশাসকের বিচার by রবার্ট ফিস্ক
যে সময়টায় আরব স্বৈরশাসকদের মরিয়া হয়ে দরকার আরব বসন্তের নিরাপদ, শীতল পানি পান করা, সে সময়ে মিসরীয়রা গত বুধবার সেই পানির কূপে বিষ ছড়িয়ে দিতে হাজির হলেন। অনেক গভীরে তাকালে স্বৈরশাসকেরা দেখতে পারতেন এক তারের জালির ঘরে মিট মিট করে জ্বলছে এক মুখাবয়ব। নাজুক। নাক মুখের ওপর আঙুল চালাচ্ছে।
স্ট্রেচারে শুয়ে থাকা লোকটার হাত ঊর্ধ্বে উঠে গেল খুব কাছে চলে আসা আলো ঠেকাতে। কিন্তু মাত্র অল্প কয়েক মুহূর্তের জন্য দেখা গেল সেই পুরোনো উদ্ধত চোখ। তারপর ভারী কালো রঙের মাইক লোকটার বাঁ হাতে তুলে ধরা। দৃঢ় কণ্ঠে বলল, ‘ইয়োর অনার, আমি এখানে। এমন কোনো অপরাধই আমি করিনি।’
হ্যাঁ, মিসরের জনগণ সত্যি সত্যি তাদের পতিত, প্রাচীন স্বৈরশাসকের বিচার শুরু করেছে। সঙ্গে তাঁর ক্ষমতাহীন বিষণ্ন পুত্রদেরও বিচার হচ্ছে। সবার পরনে ছিল সাদা কাপড়, যেন তাঁরা বসন্তকালীন টেনিস পার্টিতে যাচ্ছেন। অবশ্য এই ভ্রম কেটে যাবে আলা মোবারকের হাতে ধরা সবুজ রঙের কোরআনে চোখ গেলে। এমন পোশাক-পরিচ্ছদ ৮৩ বছর বয়সী পিতা হোসনিকে উৎসাহ জোগানোর জন্য, নাকি এটা নিহতদের প্রতি অবজ্ঞাপ্রসূত?
আইনজীবীরা উচ্চ স্বরে বলছিলেন তাদের মক্কেলদের বেদনার কথা, জুলুম-নির্যাতন, স্নাইপার, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির গণজাগরণে দেশবাসীর খুন, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বর্বরতা আর মাফিয়া মাত্রার দুর্নীতির কথা। এত এত ভয়ানক সব অভিযোগ কার বিরুদ্ধে আর! আমরা দামেস্কের কথা ভাবলাম। ভাবলাম ত্রিপোলি আর মানামার কথা। আর রাবাত, আম্মান, আলজিয়ার্স, রিয়াদের কথা...
বিচারপতি আহমেদ রিফাত প্রশ্ন করলেন, ’আপনিই মহাম্মদ হোসনি সাইয়েদ মোবারক?’ অথবা বাসার আল-আসাদ? অথবা মুয়াম্মার গাদ্দাফি? অথবা রাজা হামাদ? অথবা তিন পবিত্র ভূমির রক্ষক বাদশাহ আবদুল্লাহ?
মিসরীয় পুলিশ অ্যাকাডেমির ভেতরে বুধবার যা ঘটেছে, তা ইতিহাসে স্থান করে নেবে আলাদা অধ্যায় হিসেবে। পাদটীকা ও সূত্রসহকারে। এই সেই সময় যখন একটি দেশ প্রমাণ করল, তাদের বিপ্লব শুধু যে কেবল বাস্তব ছিল তা-ই নয়, এর শিকার যারা তারাও বাস্তব। দেশটির স্বৈরশাসকের দুর্নীতির পাই পাই হিসাব বিবরণী তুলে ধরা হয়েছে। উঠে এসেছে সর্বশেষ ভুয়া কোম্পানির নামও। আর এসেছে জনগণের দুর্দশার বর্ণনা।
ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও এটা কিন্তু সংক্ষিপ্ত বিচার নয়। মহা প্রতাপশালী স্বৈরাচারকে মাটিতে নামানো হয়েছে। ‘আরব বসন্ত’ ফিরে এসেছে। বুড়ো লোকটাকে বিচারের জন্য নিয়ে আসা হেলিকপ্টার মরুভূমির ওপর দূর আকাশে দেখা দেওয়া মাত্রই উপস্থিত লোকজন মুহূর্তের জন্য পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাতে শুরু করেছিল।
সংক্রমণ কি থামানো যাবে, বিষাক্ত পানি শোধন করা যাবে? মিসরবাসী তা মনে করে না। সুপ্রিম মিলিটারি কমান্ড এই বিচার অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিবাদী ও বাদী পক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ স্বরে তাঁদের দাবি জানালেন। আরও কয়েক হাজার পৃষ্ঠা (শুধু মোবারকের বিরুদ্ধেই পাঁচ হাজার পৃষ্ঠা) সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং মোবারকের সব সাঙ্গপাঙ্গের নামে তলবনামা পাঠানোর দাবি উঠল।
বিচারকাজের মধ্যে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা যন্ত্রের বহু কৌতূহলোদ্দীপক নাম এসেছে। কায়রোর ‘নিরাপত্তা পরিদপ্তর’ থেকে শুরু করে গিজার ‘পুলিশি নিরাপত্তা’র দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা সবাই এখন নিরপরাধ। অথচ তাঁরা ছিলেন গোপন রাষ্ট্রের শরিক। তাঁরা সর্বদা কাজ করেছেন চিনপরিচয় না রেখে, সতর্ক রহস্যঘেরা প্রতিষ্ঠানে।
আর তারপর নাগরিক অধিকার আইনজীবীরা (নিহত ও আহতদের পক্ষের) চিৎকার করে ভুক্তভোগীদের নাম বলতে থাকেন।
আদালতের বাইরে বিচার কার্যক্রম শুরুর কয়েক মিনিট আগে মাহমুদ আল-তাফের মতো আইনজীবীকে দেখা গেল। তিনি জানালেন, নিহত বেসামরিক ব্যক্তিদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল বিচার মন্ত্রণালয় থেকে। তিনি চোখের সামনেই দেখলেন, কেমন করে আদালতের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আলেকজান্দ্রিয়ার সেহির ময়দানে শহীদ হয়েছিলেন ১৮ বছরের তরুণ হাসান ফাথি মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তাঁর বাবা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত। হাতে ধরা ছিল এক ছবি। তিনি আমাকে বললেন, ‘আদালতে তাঁর কোনো আইনজীবী থাকবেন না কেন?’ বিচারপতি রিফাতের দিকে যাঁরা প্রথমেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, তাঁরা বেসামরিক শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বকারী। এক নারী আইনজীবী জানতে চাইলেন, ‘হত্যা-নির্যাতনের শিকার যারা, তাদের আইনজীবীর চেয়ে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী বেশি কেন?’
বেচারা বৃদ্ধ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব আল-আদলি। গামাল ও আলা মোবারক তাঁকে পাত্তা দিলেন না। গামাল ও আলা মিসরীয় ক্যামেরার পথ আগলে মনে হলো ইচ্ছাকৃতভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। বাবাকে হয়তো ক্যামেরার ফ্রেম থেকে আড়াল করতে চাইছিলেন। খাঁচার ভেতরে যেদিকে আল-আবাদি দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেখানে অপেক্ষা করছিলেন দুর্নীতি ও সহিংসতার আরও কিছু অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য। ইতিমধ্যে তাঁর ১২ বছরের দণ্ড ঘোষিত হয়েছে। আদালতের গারদে তাঁর অবস্থা খুব করুণ লাগছিল। বহু আগে আমি তাঁর ব্যবসাপাতি বিষয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। জবাবে আমাকে বলা হয়েছিল, আর যদি সাক্ষাৎকারের নাম নিই, তবে গ্রেপ্তার হতে হবে।
আলা বললেন, ‘আমি সবকিছু অস্বীকার করছি।’ গামাল বললেন, ‘সব অভিযোগ অস্বীকার করছি।’ বর্তমান মিসরের সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল মহাম্মদ তানতাবির (মোবারকের পুরোনো বন্ধু) নামে আদালতে তলবনামা জারির দাবিও উঠেছিল। এটা নিশ্চয়ই খুব বাড়াবাড়ি! দামেস্ক, আম্মান, রাবাত ও মানামা থেকে রিয়াদ পর্যন্ত নীরবতা। কী অদ্ভুত, ওয়াশিংটন বলল না একটা কথাও। তাদের পুরোনো বন্ধু হোসনি এখন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তির (তাত্ত্বিকভাবে) মুখোমুখি। হয়তো ফগি বটমেরও (অর্থাৎ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর) বিষাক্ত কূপ আছে।
ব্রিটেনের দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনূদিত।
রবার্ট ফিস্ক: ব্রিটিশ সাংবাদিক।
হ্যাঁ, মিসরের জনগণ সত্যি সত্যি তাদের পতিত, প্রাচীন স্বৈরশাসকের বিচার শুরু করেছে। সঙ্গে তাঁর ক্ষমতাহীন বিষণ্ন পুত্রদেরও বিচার হচ্ছে। সবার পরনে ছিল সাদা কাপড়, যেন তাঁরা বসন্তকালীন টেনিস পার্টিতে যাচ্ছেন। অবশ্য এই ভ্রম কেটে যাবে আলা মোবারকের হাতে ধরা সবুজ রঙের কোরআনে চোখ গেলে। এমন পোশাক-পরিচ্ছদ ৮৩ বছর বয়সী পিতা হোসনিকে উৎসাহ জোগানোর জন্য, নাকি এটা নিহতদের প্রতি অবজ্ঞাপ্রসূত?
আইনজীবীরা উচ্চ স্বরে বলছিলেন তাদের মক্কেলদের বেদনার কথা, জুলুম-নির্যাতন, স্নাইপার, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির গণজাগরণে দেশবাসীর খুন, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বর্বরতা আর মাফিয়া মাত্রার দুর্নীতির কথা। এত এত ভয়ানক সব অভিযোগ কার বিরুদ্ধে আর! আমরা দামেস্কের কথা ভাবলাম। ভাবলাম ত্রিপোলি আর মানামার কথা। আর রাবাত, আম্মান, আলজিয়ার্স, রিয়াদের কথা...
বিচারপতি আহমেদ রিফাত প্রশ্ন করলেন, ’আপনিই মহাম্মদ হোসনি সাইয়েদ মোবারক?’ অথবা বাসার আল-আসাদ? অথবা মুয়াম্মার গাদ্দাফি? অথবা রাজা হামাদ? অথবা তিন পবিত্র ভূমির রক্ষক বাদশাহ আবদুল্লাহ?
মিসরীয় পুলিশ অ্যাকাডেমির ভেতরে বুধবার যা ঘটেছে, তা ইতিহাসে স্থান করে নেবে আলাদা অধ্যায় হিসেবে। পাদটীকা ও সূত্রসহকারে। এই সেই সময় যখন একটি দেশ প্রমাণ করল, তাদের বিপ্লব শুধু যে কেবল বাস্তব ছিল তা-ই নয়, এর শিকার যারা তারাও বাস্তব। দেশটির স্বৈরশাসকের দুর্নীতির পাই পাই হিসাব বিবরণী তুলে ধরা হয়েছে। উঠে এসেছে সর্বশেষ ভুয়া কোম্পানির নামও। আর এসেছে জনগণের দুর্দশার বর্ণনা।
ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও এটা কিন্তু সংক্ষিপ্ত বিচার নয়। মহা প্রতাপশালী স্বৈরাচারকে মাটিতে নামানো হয়েছে। ‘আরব বসন্ত’ ফিরে এসেছে। বুড়ো লোকটাকে বিচারের জন্য নিয়ে আসা হেলিকপ্টার মরুভূমির ওপর দূর আকাশে দেখা দেওয়া মাত্রই উপস্থিত লোকজন মুহূর্তের জন্য পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাতে শুরু করেছিল।
সংক্রমণ কি থামানো যাবে, বিষাক্ত পানি শোধন করা যাবে? মিসরবাসী তা মনে করে না। সুপ্রিম মিলিটারি কমান্ড এই বিচার অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিবাদী ও বাদী পক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ স্বরে তাঁদের দাবি জানালেন। আরও কয়েক হাজার পৃষ্ঠা (শুধু মোবারকের বিরুদ্ধেই পাঁচ হাজার পৃষ্ঠা) সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং মোবারকের সব সাঙ্গপাঙ্গের নামে তলবনামা পাঠানোর দাবি উঠল।
বিচারকাজের মধ্যে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা যন্ত্রের বহু কৌতূহলোদ্দীপক নাম এসেছে। কায়রোর ‘নিরাপত্তা পরিদপ্তর’ থেকে শুরু করে গিজার ‘পুলিশি নিরাপত্তা’র দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা সবাই এখন নিরপরাধ। অথচ তাঁরা ছিলেন গোপন রাষ্ট্রের শরিক। তাঁরা সর্বদা কাজ করেছেন চিনপরিচয় না রেখে, সতর্ক রহস্যঘেরা প্রতিষ্ঠানে।
আর তারপর নাগরিক অধিকার আইনজীবীরা (নিহত ও আহতদের পক্ষের) চিৎকার করে ভুক্তভোগীদের নাম বলতে থাকেন।
আদালতের বাইরে বিচার কার্যক্রম শুরুর কয়েক মিনিট আগে মাহমুদ আল-তাফের মতো আইনজীবীকে দেখা গেল। তিনি জানালেন, নিহত বেসামরিক ব্যক্তিদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল বিচার মন্ত্রণালয় থেকে। তিনি চোখের সামনেই দেখলেন, কেমন করে আদালতের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আলেকজান্দ্রিয়ার সেহির ময়দানে শহীদ হয়েছিলেন ১৮ বছরের তরুণ হাসান ফাথি মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তাঁর বাবা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত। হাতে ধরা ছিল এক ছবি। তিনি আমাকে বললেন, ‘আদালতে তাঁর কোনো আইনজীবী থাকবেন না কেন?’ বিচারপতি রিফাতের দিকে যাঁরা প্রথমেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, তাঁরা বেসামরিক শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বকারী। এক নারী আইনজীবী জানতে চাইলেন, ‘হত্যা-নির্যাতনের শিকার যারা, তাদের আইনজীবীর চেয়ে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী বেশি কেন?’
বেচারা বৃদ্ধ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব আল-আদলি। গামাল ও আলা মোবারক তাঁকে পাত্তা দিলেন না। গামাল ও আলা মিসরীয় ক্যামেরার পথ আগলে মনে হলো ইচ্ছাকৃতভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। বাবাকে হয়তো ক্যামেরার ফ্রেম থেকে আড়াল করতে চাইছিলেন। খাঁচার ভেতরে যেদিকে আল-আবাদি দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেখানে অপেক্ষা করছিলেন দুর্নীতি ও সহিংসতার আরও কিছু অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য। ইতিমধ্যে তাঁর ১২ বছরের দণ্ড ঘোষিত হয়েছে। আদালতের গারদে তাঁর অবস্থা খুব করুণ লাগছিল। বহু আগে আমি তাঁর ব্যবসাপাতি বিষয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। জবাবে আমাকে বলা হয়েছিল, আর যদি সাক্ষাৎকারের নাম নিই, তবে গ্রেপ্তার হতে হবে।
আলা বললেন, ‘আমি সবকিছু অস্বীকার করছি।’ গামাল বললেন, ‘সব অভিযোগ অস্বীকার করছি।’ বর্তমান মিসরের সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল মহাম্মদ তানতাবির (মোবারকের পুরোনো বন্ধু) নামে আদালতে তলবনামা জারির দাবিও উঠেছিল। এটা নিশ্চয়ই খুব বাড়াবাড়ি! দামেস্ক, আম্মান, রাবাত ও মানামা থেকে রিয়াদ পর্যন্ত নীরবতা। কী অদ্ভুত, ওয়াশিংটন বলল না একটা কথাও। তাদের পুরোনো বন্ধু হোসনি এখন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তির (তাত্ত্বিকভাবে) মুখোমুখি। হয়তো ফগি বটমেরও (অর্থাৎ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর) বিষাক্ত কূপ আছে।
ব্রিটেনের দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনূদিত।
রবার্ট ফিস্ক: ব্রিটিশ সাংবাদিক।
No comments