ফতোয়া নিয়ে বিতর্কের অবসান
সুপ্রিম কোর্ট ফতোয়ার ওপর দেওয়া হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে উপযুক্তভাবে শিক্ষিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ফতোয়া প্রদানকে বৈধ বলেছেন। তবে একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ফতোয়ার মাধ্যমে শারীরিক কিংবা মানসিক শাস্তি প্রদানকে সম্পূর্ণরূপে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ছয় বিচারকের বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। এর আগে ২০০১ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ফতোয়া প্রদানকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে রায় দিয়েছিলেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দুটি রিট আবেদন দাখিল করা হয়। আদালতে মার্চ মাসে শুনানি শুরু হয় এবং এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ আইনজীবীদের মতামতও নেওয়া হয়। আশা করা যাচ্ছে, এই রায়ের ফলে ফতোয়া নিয়ে বিরাজমান দীর্ঘ বিতর্কের অবসান ঘটবে।
এটা ঠিক, ফতোয়ার নামে দুর্বল ও অসহায় নারীদের ওপর একশ্রেণীর গোঁড়া-ধর্মান্ধ মোল্লা ও মাতব্বরের নারী নির্যাতনের ঘটনা চরমে উঠে গিয়েছিল। আর এসব ফতোয়ার অবশ্যম্ভাবী অনুষঙ্গ দোররা বা বেত মারার কারণে অনেক নারী মারাও গেছেন। অনেককে সমাজচ্যুত হয়ে বছরের পর বছর অমানবিক জীবন যাপন করতে হয়েছে। আর তথাকথিত এসব ফতোয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে মূলত হিলা বিয়ে ও ধর্ষণজনিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা চলে যেত প্রভাবশালী ধর্ষকের পক্ষে, আর শাস্তি পেতে হতো দুর্বল ও অসহায় নারীদের। অথবা গ্রামের কোনো কুরুচিপূর্ণ মাতব্বরের হীন প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার কাজে তা সহায়ক হতো। গত কয়েক বছরেও এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতিত ও অপমানিত হয়ে অনেক নারী আত্মহত্যা করতেও বাধ্য হয়েছেন। এসব কারণে তথাকথিত ফতোয়ার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। পাশাপাশি এটি সভ্য দুনিয়ায় ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাও তৈরি করছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট ২০০১ সালে ফতোয়া নিষিদ্ধ করে রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামী বিধিবিধানের অংশ ফতোয়াকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে আপত্তি দেখা দেয়। তাদের পক্ষ থেকে দুজন দুটি রিট পিটিশনও দায়ের করেন। আমরা মনে করি, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এ-সংক্রান্ত সব বিতর্কের অবসান ঘটাবে এবং ফতোয়ার যাবতীয় অপপ্রয়োগ বন্ধ করবে।
এর পরও যদি কেউ কোথাও ফতোয়ার নামে শারীরিক-মানসিক শাস্তি প্রদানের চেষ্টা করে, তবে দেশের প্রচলিত আইন তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করবে এবং বিচারের মুখোমুখি করবে_এটাই সবার প্রত্যাশা।
এটা ঠিক, ফতোয়ার নামে দুর্বল ও অসহায় নারীদের ওপর একশ্রেণীর গোঁড়া-ধর্মান্ধ মোল্লা ও মাতব্বরের নারী নির্যাতনের ঘটনা চরমে উঠে গিয়েছিল। আর এসব ফতোয়ার অবশ্যম্ভাবী অনুষঙ্গ দোররা বা বেত মারার কারণে অনেক নারী মারাও গেছেন। অনেককে সমাজচ্যুত হয়ে বছরের পর বছর অমানবিক জীবন যাপন করতে হয়েছে। আর তথাকথিত এসব ফতোয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে মূলত হিলা বিয়ে ও ধর্ষণজনিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা চলে যেত প্রভাবশালী ধর্ষকের পক্ষে, আর শাস্তি পেতে হতো দুর্বল ও অসহায় নারীদের। অথবা গ্রামের কোনো কুরুচিপূর্ণ মাতব্বরের হীন প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার কাজে তা সহায়ক হতো। গত কয়েক বছরেও এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতিত ও অপমানিত হয়ে অনেক নারী আত্মহত্যা করতেও বাধ্য হয়েছেন। এসব কারণে তথাকথিত ফতোয়ার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। পাশাপাশি এটি সভ্য দুনিয়ায় ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাও তৈরি করছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট ২০০১ সালে ফতোয়া নিষিদ্ধ করে রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামী বিধিবিধানের অংশ ফতোয়াকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে আপত্তি দেখা দেয়। তাদের পক্ষ থেকে দুজন দুটি রিট পিটিশনও দায়ের করেন। আমরা মনে করি, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এ-সংক্রান্ত সব বিতর্কের অবসান ঘটাবে এবং ফতোয়ার যাবতীয় অপপ্রয়োগ বন্ধ করবে।
এর পরও যদি কেউ কোথাও ফতোয়ার নামে শারীরিক-মানসিক শাস্তি প্রদানের চেষ্টা করে, তবে দেশের প্রচলিত আইন তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করবে এবং বিচারের মুখোমুখি করবে_এটাই সবার প্রত্যাশা।
No comments