মহাসমাবেশ ঠেকানোর নানা কৌশল র‌্যাব-পুলিশের by পারভেজ খান

র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিটি সংস্থার সদস্যদের দিয়ে ঠাস বুনোটের নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ঢাকাকে। বিরোধী দলের ডাকা কোনো কর্মসূচি সামনে রেখে রাজধানীতে এ ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা এর আগে কখনো নেওয়া হয়নি।


নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করতে ঢাকার বাইরে থেকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ডেকে আনা হয়েছে। বাতিল রয়েছে ছুটিছাটা। এরই মধ্যেই মাঠে নামানো হয়েছে ২০ হাজার নিরাপত্তাকর্মীকে। তাঁদের বেশির ভাগই কাজ করছেন সাদা পোশাকে। রিজার্ভ রাখা হয়েছে আরো ১০ হাজার। তাঁদেরও মাঠে নামানো হবে আজ রবিবার রাত থেকে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে রাজধানীর সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সড়ক ও নৌ যোগাযোগ। এরপরও নাশকতার আশঙ্কায় ঘুম নেই পুলিশ আর র‌্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। দফায় দফায় বৈঠক করে তাঁরা ঢেলে সাজাচ্ছেন নিরাপত্তার নানা কৌশল। আর এসব কৌশল যতটা না নাশকতা প্রতিরোধের, তার চেয়ে অনেক বেশি বিরোধী দলের কর্মসূচি ঠেকানোর। এই মুহূর্তে নাশকতা নয়, সমাবেশ ঠেকানোই যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্যত পুলিশ বড় বেশি দুঃসময় কাটাচ্ছে কয়েক দিন ধরে। পুলিশের একাধিক সূত্র থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ সার্বক্ষণিক পুলিশের প্রস্তুতি এবং কর্মকাণ্ড দেখভাল করছেন। এ ছাড়া মাঠ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কয়েকজন উপকমিশনারকে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। আগাম গোয়েন্দা রিপোর্ট পর্যালোচনা করছেন র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে চার দেশীয় এই আসরের নিরাপত্তা নিয়েও বাড়তি চাপ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। টুর্নামেন্টের খেলাগুলো হবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। দিনের খেলার পাশাপাশি অনুশীলন মাঠ ও আবাসস্থলে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা দিতে স্বাভাবিক সময়েই যথেষ্ট চাপ নিতে হয় পুলিশকে। এবার মহাসমাবেশের কারণে সেই চাপ বহুগুণে বেড়ে গেছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে এক ধরনের উদ্বেগ রয়েছে তাদের মধ্যে। তাই কোনো কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে পুলিশ মহাসমাবেশের ব্যাপারে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারে। এমন আভাস অনেকটাই পাওয়া গেছে গতকাল ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার কথাতেও। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, যারা এই কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে তাদের সমাবেশ করা, মঞ্চ তৈরি বা মাইক ব্যবহারের জন্য সরকারের বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত নির্দেশ বা আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১২ মার্চের কর্মসূচির ব্যাপারে তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষপর্যায়ে। এরই মধ্যে তারা মাঠেও নেমে গেছে। তবে বিশেষভাবে মাঠে নামবে রবিবার রাত থেকে। মাঠপর্যায়ের সব ফোর্সকে মহানগরী পুলিশ কন্ট্রোল রুম, এপিবিএন কার্যালয় ও রাজারবাগে সমবেত করা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে মাঠে নেমে পড়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সবাইকে। জড়ো করা হয়েছে প্রয়োজনীয় রাবার বুলেট, লাঠি, জলকামান, রায়টকার, টিয়ার গ্যাসের শেলসহ নানা সরঞ্জাম। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলোতে এরই মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে অতিরিক্ত চেকপোস্ট। বাড়ানো হয়েছে টহল ও তল্লাশি। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ সমাবেশস্থল ও সড়কপথে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। অভিযান শুরু করা হয়েছে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের জন্য। এরই মধ্যে সারা দেশ থেকে ৮০০ জনের মতো সন্দেহভাজনকে আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে- এমন ধরনের সন্দেহভাজনদের প্রায় সবাই গা ঢাকা দিয়েছে এবং তারা মোবাইল ফোনসেটও ব্যবহার করছে না বলে মনে করছে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষস্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, রাজধানী ও এর আশপাশের থানা এলাকায় পুলিশের বহুমুখী কর্মকাণ্ড এখন বলা চলে একমুখী। তদন্ত আর রুটিন কাজ নেই বললেই চলে। এখন সবারই দৃষ্টি বিরোধী দলের ১২ মার্চের ঢাকা চলো কর্মসূচিতে যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে সেদিকে। তবে এর চেয়েও বড় দায়িত্ব হচ্ছে নতুন নতুন কৌশল খুঁজে বের করে সেগুলো প্রয়োগ করা, যাতে করে সমাবেশে লোকজন কম হয় বা লোকজন ঢাকায় আসতে না পারে। এরই মধ্যে সে রকম একটি কৌশলেরই প্রয়োগ ঘটেছে রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোর ওপর। বলা চলে, হোটেলগুলো এক প্রকার বন্ধই করে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে সরকারপন্থী নৌ ও সড়ক পরিবহন নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, আরো হবে। প্রয়োজনে বাস চলাচলও বন্ধ রাখা হতে পারে। এ বিষয়ে পুলিশের ভাষ্য হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ মহল থেকে যেভাবে নির্দেশনা আসছে সেভাবেই তারা কাজ করছে। তবে এখন যেটা করা হচ্ছে বিগত কোনো সরকারের সময়ই আন্দোলন ঠেকাতে এতটা কৌশল অবলম্বন করতে হয়নি বলে তাদের দাবি। এক কর্মকর্তার মন্তব্য, অবস্থাটা এমন যে সমাবেশ শান্তিপূর্ণ এবং তাতে লোক সমাগম বেশি হলে সে দায়-দায়িত্বও যেন নিতে হবে পুলিশকেই।
ওই কর্মকর্তা ক্ষোভের সঙ্গে আরো জানান, নাশকতা ঠেকানো, আগাম ব্যবস্থা নেওয়া পুলিশেরই কাজ। কিন্তু তাদের ভেতর কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা পেশাগত দায়িত্ব আর কর্তব্যকে যতটা না গুরুত্ব দেন, এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন দলীয় মতাদর্শকে। নিজেদের তাঁরা রাজনীতির বাইরে রাখতে পারেন না। আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতার চেয়েও অনেক ব্যাপারে তাঁদের উৎসাহ বেশি। এই অত্যুৎসাহী কর্মকর্তারাই পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করে তুলছেন বলে তিনি জানান।
তবে পুলিশের আইজি খন্দকার হাসান মাহমুদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ঠেকানো পুলিশের দায়িত্ব নয় এবং তারা সেটা করছেও না। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। তারা সেটাই করছে। সমাবেশ বা কর্মসূচির সুযোগ নিয়ে কোনো চক্র যাতে নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে না পারে তারা সে ব্যাপারেই কাজ করে যাচ্ছে। নিরাপত্তাব্যবস্থাকে সাজানো হয়েছে সেভাবেই। এটাকে প্রয়োজনীয় ও সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা বলা যায়।
গণগ্রেপ্তার, আবাসিক হোটেলে অতিথিদের থাকতে না দেওয়া বা বন্ধ করে রাখা এবং পরিবহনগুলোতে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে খন্দকার হাসান মাহমুদ বলেন, পুলিশ যেটা করছে সেটা আইনের মধ্যে থেকে জনস্বার্থেই করছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপপুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, কোথাও কোনো গণগ্রেপ্তার নেই। তবে নাশকতা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে যেটা করা দরকার পুলিশ আইনের আওতায় থেকে সেটাই করছে।
কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হতে পারে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, এখনো এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এটা সত্য, যারা এ কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে তাদের সমাবেশ করা, মঞ্চ তৈরি বা মাইক ব্যবহারের জন্য কোনো লিখিত নির্দেশ বা আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
এদিকে গত দুই দিন রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, কয়েকটি আবাসিক এলাকা ও আরামবাগ-ফকিরাপুল এলাকার কয়েকটি মেসে অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশের তৎপরতা সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া গেছে। আরামবাগ-ফকিরাপুল এলাকার মেসগুলো এখন প্রায় খালি। চাকরিজীবী এবং বয়স্ক আর পুরনো সদস্য ছাড়া কেউ নেই বললেই চলে। আবাসিক হোটেলগুলোরও একই অবস্থা। বোর্ডার নেই। এমনকি ঢাকার বাইরে থেকে চিকিৎসা নিতে এসেও অনেকে কক্ষ ভাড়া পাচ্ছেন না।
আরামবাগ মসজিদ গলির মেসের মালিক বুলু মিয়া জানান, পুলিশের নির্দেশে তাঁদের মেস থেকে সব অতিথি বের করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মেসের অনেক নিয়মিত সদস্যও পুলিশের ভয়ে চলে গেছেন। তিন-চার দিন ধরে এলাকার মেসগুলোতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
ফকিরাপুল গরমপানির গলির মেসের বাসিন্দা জুলহাস জানান, তিনি সিএনজি বেবিট্যাক্সি চালক। তাঁর ছোট ভাই বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিলেন চাকরির খোঁজে। তাঁর কাছেই থাকতেন। ১২ মার্চ তাঁর একটি চাকরির ইন্টারভিউ ছিল। কিন্তু পুলিশ মেসে এসে তাঁর ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে ভয়ে তিনি ভাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
উত্তরা থানা এবং বিমানবন্দরের গোলচত্বরের পাশে নতুন দুটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্য আফজাল হোসেন খান গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, কয়েক দিন ধরে উত্তরা এলাকায় পুলিশের তল্লাশি বেড়ে গেছে। এই সুযোগে পুলিশ অনেককে হয়রানিও করছে। গত শনিবার ময়মনসিংহ থেকে একটি পরিবার (মহিলা ও শিশুসহ) মাইক্রোবাসে করে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার জন্য ঢাকায় আসছিল। দুপুরের দিকে উত্তরা থানার সামনে তাদের আটক করে পুলিশ। ওই পরিবারের সদস্যদের একজনের মুখে দাড়ি থাকায় থানার ওসি তাঁকেসহ পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন। পরে তাদের মিরপুরে যেতে নিষেধ করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি নিজে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন বলে জানান।
মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি, এজিবি কলোনি এবং মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির কয়েকজন বাসিন্দা কালের কণ্ঠকে জানান, কয়েক দিন ধরে তাঁদের এলাকায় অনেক বাসায় পুলিশ এসে মেহমানদের জায়গা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করে যাচ্ছে। এতে তাঁদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আবাসিক এলাকায় গিয়ে বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালানোর ব্যাপারে পুলিশের উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালানোর কথা ঠিক নয়। তবে বাড়িওয়ালাদের প্রতি পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে বা হচ্ছে, তাঁরা যেন অচেনা কাউকে অতিথি হিসেবে আশ্রয় না দেন। বরং কোথাও এ ধরনের কিছু ঘটলে বা কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে পুলিশকে খবর দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
পৃথক আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকামুখী বাস ও লঞ্চের সংখ্যা এরই মধ্যে কমে গেছে। আগাম টিকিট বিক্রিও অনেকে বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী কবির চান এ ব্যাপারে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, পরিবহন ব্যবসায়ীরা এই কর্মসূচি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় আছেন। পুলিশ রাস্তাঘাট থেকে গাড়ি রিকুইজিশন করছে। আবার কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্যও আন্দোলনকারীরা গাড়ি চাইছে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন মালিকরা। একই সঙ্গে এ ধরনের পরিস্থিতিতে গাড়ি রাস্তায় নামানোও বিপজ্জনক। গাড়িতে অগি্নসংযোগ হলে বা ভাঙচুর হলে বীমার টাকা পাওয়া যায় না। ফলে ভয়েই অনেকে ওই দিন গাড়ি বন্ধ রাখতে চাইছেন। অনেকে এরই মধ্যে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে সাংগঠনিকভাবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকার বাইরে থেকে কয়েক হাজার পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যকে ঢাকায় আনা হয়েছে এই ১২ মার্চ উপলক্ষে। তাঁদের রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ব্রিফিংও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিন-চার দিন ধরে রাজধানীতে অসংখ্য সাদা পোশাকধারী পুরুষ ও মহিলা পুলিশ সদস্য ছদ্মবেশে মাঠে নেমেছেন।
গতকালও পুলিশ কমিশনার ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একাধিক জরুরি বৈঠক করেন।

No comments

Powered by Blogger.