বিএনপিকে নয়াপল্টন ছাড়া কোথাও একত্র হতে দেবে না আ.লীগ by জাহাঙ্গীর আলম
১২ মার্চ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের এলাকা ছাড়া শহরের কোথাও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের একত্র হতে দেবে না আওয়ামী লীগ। ওই দিন প্রতি ওয়ার্ডের পাড়ায়-মহল্লায় অবস্থান নেবেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব ওয়ার্ড কার্যালয়ও খোলা রাখা হবে। আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকার ১৫টি নির্বাচনী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সাংসদদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকার সাংসদদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনও তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ঢাকার ছয়জন সাংসদের সঙ্গে প্রথম আলোর পক্ষ যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, তাঁদের এলাকা থেকে যাতে বিরোধী দলের কোনো মিছিল বের হতে না পারে, সে জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্র জানায়, পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির নেতাদের ডেকে কথা বলা হবে। বিএনপির নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেই মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেবে পুলিশ প্রশাসন।
সূত্র জানায়, যেসব সাংসদের এলাকায় আন্তজেলা বাস টার্মিনাল আছে, তাঁদের বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর থেকেই রাজধানীর অভ্যন্তরে আন্তজেলা সব বাস টার্মিনাল কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো এলাকা থেকে হেঁটে বা বাস-ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না।
জানতে চাইলে লালবাগ এলাকার সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করব।’
সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে সরকার কঠোর মনোভাব নিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে তথ্য আছে, বিএনপি এই মহাসমাবেশ থেকে টানা অবস্থানের মতো কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। বিষয়টি মাথায় নিয়েই পুলিশকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের ঘোষিত ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল ডেডলাইনভিত্তিক আন্দোলনে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বের হতে দেয়নি।
অপর একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী জানান, ২০০৫ সালের আওয়ামী লীগের হাওয়া ভবন ঘেরাও কর্মসূচির দিন গোটা ঢাকা শহর পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ রাখা হয়। সেদিন তারেক রহমান ও কোকো হাওয়া ভবনে ক্রিকেট খেলে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে তাচ্ছিল্য করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ দলীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রথম আলোকে বলেন, কেউ আইনশৃঙ্খলা-পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইলে পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর আওয়ামী লীগ সর্বত্র সতর্ক অবস্থান নেবে। কাউকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না।
সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদেরও দলীয় কর্মীদের নিয়ে বিশেষ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মধ্যে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে মাঠে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকার ১৫টি নির্বাচনী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সাংসদদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকার সাংসদদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনও তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ঢাকার ছয়জন সাংসদের সঙ্গে প্রথম আলোর পক্ষ যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, তাঁদের এলাকা থেকে যাতে বিরোধী দলের কোনো মিছিল বের হতে না পারে, সে জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্র জানায়, পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির নেতাদের ডেকে কথা বলা হবে। বিএনপির নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেই মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেবে পুলিশ প্রশাসন।
সূত্র জানায়, যেসব সাংসদের এলাকায় আন্তজেলা বাস টার্মিনাল আছে, তাঁদের বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর থেকেই রাজধানীর অভ্যন্তরে আন্তজেলা সব বাস টার্মিনাল কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো এলাকা থেকে হেঁটে বা বাস-ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না।
জানতে চাইলে লালবাগ এলাকার সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করব।’
সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে সরকার কঠোর মনোভাব নিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে তথ্য আছে, বিএনপি এই মহাসমাবেশ থেকে টানা অবস্থানের মতো কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। বিষয়টি মাথায় নিয়েই পুলিশকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের ঘোষিত ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল ডেডলাইনভিত্তিক আন্দোলনে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বের হতে দেয়নি।
অপর একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী জানান, ২০০৫ সালের আওয়ামী লীগের হাওয়া ভবন ঘেরাও কর্মসূচির দিন গোটা ঢাকা শহর পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ রাখা হয়। সেদিন তারেক রহমান ও কোকো হাওয়া ভবনে ক্রিকেট খেলে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে তাচ্ছিল্য করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ দলীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রথম আলোকে বলেন, কেউ আইনশৃঙ্খলা-পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইলে পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর আওয়ামী লীগ সর্বত্র সতর্ক অবস্থান নেবে। কাউকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না।
সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদেরও দলীয় কর্মীদের নিয়ে বিশেষ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মধ্যে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে মাঠে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
No comments