পদ্মা সেতু-বঙ্গবন্ধু সেতুর অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিন by মো. আলী আকবর মল্লিক
বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর আগের সরকারের ধারাবাহিকতায় দুই সপ্তাহের মধ্যে পদ্মা সেতুর নকশার কাজ চূড়ান্ত করার জন্য নিউজিল্যান্ডভিত্তিক একটি পরামর্শক সংস্থা নিয়োগ করে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই সেতুর জমি অধিগ্রহণ ও নকশার কাজ এগিয়ে যায়।
বিশ্বব্যাংক, জাইকা, ইসলামিক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় অর্থের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগের ঋণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। অচিরেই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়ে তিন-চার বছরে শেষ হবে। যেমন—বঙ্গবন্ধু সেতুর কাজ এপ্রিল ১৯৯৪ থেকে শুরু হয়ে জুন ১৯৯৮ সালে শেষ হয়েছিল।
দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতুর ওপরের তলায় চারটি লেন থাকবে মোটরযান চলার জন্য এবং ইস্পাতের কাঠামোয় তৈরি নিচের তলা দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। এর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ দশমিক এক মিটার, ব্যয় হবে ২৯২ কোটি ইউএস ডলার। পক্ষান্তরে একতলাবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ দশমিক ৫ মিটার এবং এক পাশ দিয়ে ট্রেন চলার ব্যবস্থা আছে। ব্যয় হয়েছিল ৬২ কোটি ইউএস ডলার। পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়ে দৈর্ঘ্যে শতকরা ১২৮ ভাগ এবং ব্যয়ে শতকরা ৪৭০ ভাগ বড়। পদ্মা সেতু একদিকে দ্বিতলবিশিষ্ট, মাটির গর্ভের পাইল বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়ে গভীর এবং নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সেতুর এক যুগ পর। তাই এর নির্মাণ খরচ এতটা বেশি হচ্ছে বলে মনে হয়।
খুব সংগত কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণকালীন এবং সেতু উদ্বোধনের মাত্র সাত বছর পর সেতুর ফাটলের খবরের কথা মনে পড়ছে। ২৩ জুন ১৯৯৮ সালে খুলে দেওয়া বঙ্গবন্ধু সেতুর ফাটলের খবর নতুন করে মার্চ ২০০৬ সালে প্রকাশ পায়। খবরটি আরও চাউর হয় ২০০৮ সালের প্রথম দিকে। কারণ, তত দিনে সেতুর ফাটলগুলো নিজগুণে পরিপক্বতা লাভ করেছিল। প্রথম আলো ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
কাঠামো নির্মাণে ব্যবহূত সিমেন্ট, বালু, খোয়া ও মাইল্ড-স্টিল রডমিশ্রিত কংক্রিটের এই এক দোষ। একবার এর কোথাও একটু ক্ষতের সৃষ্টি হলে ক্যানসারের মতো তা সারা শরীরে ছড়াতে চায়। বেয়াড়া কংক্রিট একবারও ভাবে না, কোনো নামীদামি প্রতিষ্ঠান তার নকশা বা নির্মাণ করেছে। কোনো কোনো গুণধর বিশেষজ্ঞ তাকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে ছিলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা যেমন রোগীর ব্যবস্থাপত্র দেন, তেমনি কাঠামো প্রকৌশলীরা একটি স্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় মাইল্ড-স্টিলের পরিমাণ নির্ণয় করে ব্যবস্থাপত্র দেন। বঙ্গবন্ধু সেতুর ডেক স্লাবে সেই মাইল্ড-স্টিল রড পরিমাণে কম দেওয়ার কারণে ফাটল দেখা দিয়েছিল বলে যখন জেনেছিলাম, তখন হাসব না কাঁদব বুঝতে পারিনি। তার কারণ, একটি সেতু যে মূল চারটি কাঠামো, যথা—খাম্বা বরাবর নিচে মাটির গর্ভের পাইল, খাম্বা, গার্ডার এবং ডেক স্লাব দ্বারা নির্মিত হয়, এর মধ্যে ডেক স্লাব হচ্ছে সবচেয়ে সহজ কাঠামো। ডেক স্লাবের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করে বলে এটি গ্রামের বাড়ির উঠানের আদলে বিস্তৃত আকারে নির্মাণ করতে হয়। ডেক স্লাবের বিস্তৃত গঠনের জন্যই এর নকশা, মাইল্ড-স্টিল রডের পরিমাণ নির্ণয় বা নির্মাণকালীন মান নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে সহজ। তবে এই সেতুর এক পাশ দিয়ে ট্রেন চলাচলের নকশা প্রণয়ন সেতুটির সবচেয়ে অদ্ভুত ও জটিল দিক। এর দ্বারা আড়াআড়িভাবে কাঠামোটির ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। মানুষের দেহটি যেমন একটি ভারসাম্য রক্ষাকারী কাঠামো, তেমনি দুনিয়ার যেকোনো কাঠামোর নকশা প্রণয়ন করতে যত দূর সম্ভব ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুটি বাংলাদেশের মাদার ব্রিজ, যা কমবেশি ১০০ বছর বেঁচে থেকে এ দেশকে আরও অনেক সেতুর জন্ম দিয়ে যাওয়ার কথা। অথচ মাত্র সাত বছরের মাথায় মা-সেতুটি এমনই অসুস্থ হয়ে পড়ল যে তার ওপর দিয়ে গাড়ি-ঘোড়া চলবে কি না, তা তদন্ত করতে হলো। মেরামতকাজ এখনো হয়নি, যা করতে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এ টাকা দিয়ে এই নদীবহুল দেশে কয়েক শ ছোট সেতু ও কালভার্ট অথবা একটি বড় সেতু নির্মাণ করা যেত। এই সেতুর নির্মাণকারী হুন্দাই সেতুর ডেক স্লাবে মাইল্ড-স্টিল রড কম দিয়েছিল বলে ফাটল দেখা দেয়। নির্মাণকারী সাধারণত বেশি মুনাফার উদ্দেশ্যে কাজে ফাঁকি দিতে চায়। সেই ফাঁকি ঠেকানোর জন্যই মালিকপক্ষ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মান নিয়ন্ত্রণকারী পরামর্শক এবং পাল্টা মান নিয়ন্ত্রণকারী পরামর্শক নিয়োগ করে। সেতুটির মালিক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব পরামর্শক কি ছিল না?
একটি সেতু নির্মাণে অর্থের জোগানদাতা ছাড়া মোটা দাগে পাঁচটি পক্ষ যেমন—মালিক, পরিকল্পনা ও নকশাকারী, নির্মাণকারী, মান নিয়ন্ত্রণকারী পরামর্শক এবং পাল্টা মান নিয়ন্ত্রণকারী পরামর্শক থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান বা বিশেষজ্ঞদের যেসব বিষয় যাচাই-বাছাই করা জরুরি: ১. যোগ্যতা, সদিচ্ছা আর স্বচ্ছতা; ২. পৃথিবীর কোন কোন দেশে এমন বড় সেতু নির্মাণের অভিজ্ঞতা আছে এবং গুডউইল সৃষ্টি করতে পেরেছে; ৩. নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা নাকি মান নিয়ন্ত্রণ, কোন দিকে নজর বেশি; ৪. বঙ্গবন্ধু সেতুর মতো মান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার রেকর্ড আছে কি এবং ৫. কোনো প্রজেক্ট করতে গিয়ে দেশে-বিদেশে ব্ল্যাক লিস্টেড হয়েছে কি?
আমরা নিশ্চয়ই চাই না, বঙ্গবন্ধু সেতুর ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তেমন বা তার মতো কোনো ঘটনা পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে ঘটুক। হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয়ের মাধ্যমে বারবার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার মতো নির্বুদ্ধিতা দেখানো এই গরিব দেশের জন্য মানায় না। তাই বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণকালীন দেখা দেওয়া ফাটল এবং উদ্বোধনের সাত বছরের মাথায় দেখা দেওয়া ফাটলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও যেন এ দেশের জনগণকে দেখতে না হয়।
মো. আলী আকবর মল্লিক: কাঠামো প্রকৌশলী এবং ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ।
দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতুর ওপরের তলায় চারটি লেন থাকবে মোটরযান চলার জন্য এবং ইস্পাতের কাঠামোয় তৈরি নিচের তলা দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। এর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ দশমিক এক মিটার, ব্যয় হবে ২৯২ কোটি ইউএস ডলার। পক্ষান্তরে একতলাবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ দশমিক ৫ মিটার এবং এক পাশ দিয়ে ট্রেন চলার ব্যবস্থা আছে। ব্যয় হয়েছিল ৬২ কোটি ইউএস ডলার। পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়ে দৈর্ঘ্যে শতকরা ১২৮ ভাগ এবং ব্যয়ে শতকরা ৪৭০ ভাগ বড়। পদ্মা সেতু একদিকে দ্বিতলবিশিষ্ট, মাটির গর্ভের পাইল বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়ে গভীর এবং নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সেতুর এক যুগ পর। তাই এর নির্মাণ খরচ এতটা বেশি হচ্ছে বলে মনে হয়।
খুব সংগত কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণকালীন এবং সেতু উদ্বোধনের মাত্র সাত বছর পর সেতুর ফাটলের খবরের কথা মনে পড়ছে। ২৩ জুন ১৯৯৮ সালে খুলে দেওয়া বঙ্গবন্ধু সেতুর ফাটলের খবর নতুন করে মার্চ ২০০৬ সালে প্রকাশ পায়। খবরটি আরও চাউর হয় ২০০৮ সালের প্রথম দিকে। কারণ, তত দিনে সেতুর ফাটলগুলো নিজগুণে পরিপক্বতা লাভ করেছিল। প্রথম আলো ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
কাঠামো নির্মাণে ব্যবহূত সিমেন্ট, বালু, খোয়া ও মাইল্ড-স্টিল রডমিশ্রিত কংক্রিটের এই এক দোষ। একবার এর কোথাও একটু ক্ষতের সৃষ্টি হলে ক্যানসারের মতো তা সারা শরীরে ছড়াতে চায়। বেয়াড়া কংক্রিট একবারও ভাবে না, কোনো নামীদামি প্রতিষ্ঠান তার নকশা বা নির্মাণ করেছে। কোনো কোনো গুণধর বিশেষজ্ঞ তাকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে ছিলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা যেমন রোগীর ব্যবস্থাপত্র দেন, তেমনি কাঠামো প্রকৌশলীরা একটি স্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় মাইল্ড-স্টিলের পরিমাণ নির্ণয় করে ব্যবস্থাপত্র দেন। বঙ্গবন্ধু সেতুর ডেক স্লাবে সেই মাইল্ড-স্টিল রড পরিমাণে কম দেওয়ার কারণে ফাটল দেখা দিয়েছিল বলে যখন জেনেছিলাম, তখন হাসব না কাঁদব বুঝতে পারিনি। তার কারণ, একটি সেতু যে মূল চারটি কাঠামো, যথা—খাম্বা বরাবর নিচে মাটির গর্ভের পাইল, খাম্বা, গার্ডার এবং ডেক স্লাব দ্বারা নির্মিত হয়, এর মধ্যে ডেক স্লাব হচ্ছে সবচেয়ে সহজ কাঠামো। ডেক স্লাবের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করে বলে এটি গ্রামের বাড়ির উঠানের আদলে বিস্তৃত আকারে নির্মাণ করতে হয়। ডেক স্লাবের বিস্তৃত গঠনের জন্যই এর নকশা, মাইল্ড-স্টিল রডের পরিমাণ নির্ণয় বা নির্মাণকালীন মান নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে সহজ। তবে এই সেতুর এক পাশ দিয়ে ট্রেন চলাচলের নকশা প্রণয়ন সেতুটির সবচেয়ে অদ্ভুত ও জটিল দিক। এর দ্বারা আড়াআড়িভাবে কাঠামোটির ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। মানুষের দেহটি যেমন একটি ভারসাম্য রক্ষাকারী কাঠামো, তেমনি দুনিয়ার যেকোনো কাঠামোর নকশা প্রণয়ন করতে যত দূর সম্ভব ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুটি বাংলাদেশের মাদার ব্রিজ, যা কমবেশি ১০০ বছর বেঁচে থেকে এ দেশকে আরও অনেক সেতুর জন্ম দিয়ে যাওয়ার কথা। অথচ মাত্র সাত বছরের মাথায় মা-সেতুটি এমনই অসুস্থ হয়ে পড়ল যে তার ওপর দিয়ে গাড়ি-ঘোড়া চলবে কি না, তা তদন্ত করতে হলো। মেরামতকাজ এখনো হয়নি, যা করতে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এ টাকা দিয়ে এই নদীবহুল দেশে কয়েক শ ছোট সেতু ও কালভার্ট অথবা একটি বড় সেতু নির্মাণ করা যেত। এই সেতুর নির্মাণকারী হুন্দাই সেতুর ডেক স্লাবে মাইল্ড-স্টিল রড কম দিয়েছিল বলে ফাটল দেখা দেয়। নির্মাণকারী সাধারণত বেশি মুনাফার উদ্দেশ্যে কাজে ফাঁকি দিতে চায়। সেই ফাঁকি ঠেকানোর জন্যই মালিকপক্ষ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মান নিয়ন্ত্রণকারী পরামর্শক এবং পাল্টা মান নিয়ন্ত্রণকারী পরামর্শক নিয়োগ করে। সেতুটির মালিক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব পরামর্শক কি ছিল না?
একটি সেতু নির্মাণে অর্থের জোগানদাতা ছাড়া মোটা দাগে পাঁচটি পক্ষ যেমন—মালিক, পরিকল্পনা ও নকশাকারী, নির্মাণকারী, মান নিয়ন্ত্রণকারী পরামর্শক এবং পাল্টা মান নিয়ন্ত্রণকারী পরামর্শক থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান বা বিশেষজ্ঞদের যেসব বিষয় যাচাই-বাছাই করা জরুরি: ১. যোগ্যতা, সদিচ্ছা আর স্বচ্ছতা; ২. পৃথিবীর কোন কোন দেশে এমন বড় সেতু নির্মাণের অভিজ্ঞতা আছে এবং গুডউইল সৃষ্টি করতে পেরেছে; ৩. নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা নাকি মান নিয়ন্ত্রণ, কোন দিকে নজর বেশি; ৪. বঙ্গবন্ধু সেতুর মতো মান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার রেকর্ড আছে কি এবং ৫. কোনো প্রজেক্ট করতে গিয়ে দেশে-বিদেশে ব্ল্যাক লিস্টেড হয়েছে কি?
আমরা নিশ্চয়ই চাই না, বঙ্গবন্ধু সেতুর ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তেমন বা তার মতো কোনো ঘটনা পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে ঘটুক। হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয়ের মাধ্যমে বারবার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার মতো নির্বুদ্ধিতা দেখানো এই গরিব দেশের জন্য মানায় না। তাই বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণকালীন দেখা দেওয়া ফাটল এবং উদ্বোধনের সাত বছরের মাথায় দেখা দেওয়া ফাটলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও যেন এ দেশের জনগণকে দেখতে না হয়।
মো. আলী আকবর মল্লিক: কাঠামো প্রকৌশলী এবং ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ।
No comments