বিশ্বব্যাংক-নিজেদের স্বচ্ছতাও প্রমাণ করতে হবে
পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করেছে বিশ্বব্যাংক। ঋণ সহায়তা প্রদানের সূত্রে তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও একপর্যায়ে তাদের হস্তক্ষেপ এত দূর গিয়ে ঠেকে, যাকে বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক বললেও কম বলা হবে। তাদের প্রথম অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশ পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংগত কারণেই বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে নড়েচড়ে উঠতে হয়। কারণ এই অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের জন্যই শুধু নয়, গোটা দেশ ও জনগণের ভাবমূর্তির ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও বহির্বিশ্বে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বাংলাদেশের দুর্নীতি প্রমাণের দায় অভিযোগকারী কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। এ প্রকল্পে ঋণ প্রদান না করলেও বিশ্বব্যাংকের উচিত ছিল যে এই প্রকল্পের কোন পর্যায়ে, কিভাবে দুর্নীতি হয়েছে তা প্রমাণ করা। বিশ্বব্যাংকের এই অভিযোগের পর বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছে। কিন্তু তারা দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পায়নি।
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের সূত্র ধরে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদেও রদবদল হয়েছে, এমন বলা হয়ে থাকে। অথচ যারা অভিযোগ করেছে তাদেরই দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেল। গতকাল ১০ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেছিল সেই বিশ্বব্যাংকই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রাক-যোগ্যতা যাচাইকালে একটি চায়নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশ্বব্যাংক সুপারিশই শুধু করেনি, ওই প্রতিষ্ঠানটিকেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বারবার প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং পদ্মা সেতু কার্যক্রম বছরকাল পিছিয়ে দিয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানটিই আবার ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। চায়নিজ এই প্রতিষ্ঠানটি যে প্যাডসর্বস্ব, তা সে দেশেরই দূতাবাসের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিশ্বব্যাংকের বারবার প্রচেষ্টার পরও যখন ভুয়া ওই প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশ গ্রহণ করেনি এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণাও যখন ধরা পড়ে যায়, তখন বাধ্য হয়ে তারা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিশ্বব্যাংকের যেখানে নিজেরই অভিযুক্ত হওয়ার কথা, সেখানে বাংলাদেশের নামে এমন অহেতুক বদনাম রটিয়ে তারা কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছিল, তা ভেবে দেখতে হবে।
বাংলাদেশের এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাংক সম্পর্কেও ভাবতে হবে। তারা ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রয়োজনীয় সম্পর্ক বজায় রাখবে। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তাদের কাছ থেকে অবশ্যই ঋণ গ্রহণ করবে; কিন্তু তাদের এমন কোনো কার্যক্রমকেই মেনে নেওয়া উচিত হবে না, যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে এবং বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।
ইতিমধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়নের ব্যাপারে বেশ আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়েও বিকল্প অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে পিপিপির আওতায় প্রকল্প সম্পন্ন করা যায় কি না- এমন প্রস্তাবও করা হয়েছে। সুতরাং বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হোক এমন কোনো কাজে যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে নিজের সুনামের বিষয়টি আবারও ভাবা দরকার। যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর বাংলাদেশের হাতে নিজেদের যোগ্যতা সম্পর্কে প্রমাণ রয়ে গেছে। সুতরাং বিশ্বব্যাংকের কোনো অন্যায় আবদারের কাছে বাংলাদেশকে মাথা নত করার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। বরং বিশ্বব্যাংক যাতে ভবিষ্যতে এমন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দূতিয়ালি করতে না পারে, সেদিকে তীক্ষ্ন নজর রাখতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের সূত্র ধরে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদেও রদবদল হয়েছে, এমন বলা হয়ে থাকে। অথচ যারা অভিযোগ করেছে তাদেরই দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেল। গতকাল ১০ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেছিল সেই বিশ্বব্যাংকই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রাক-যোগ্যতা যাচাইকালে একটি চায়নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশ্বব্যাংক সুপারিশই শুধু করেনি, ওই প্রতিষ্ঠানটিকেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বারবার প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং পদ্মা সেতু কার্যক্রম বছরকাল পিছিয়ে দিয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানটিই আবার ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। চায়নিজ এই প্রতিষ্ঠানটি যে প্যাডসর্বস্ব, তা সে দেশেরই দূতাবাসের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিশ্বব্যাংকের বারবার প্রচেষ্টার পরও যখন ভুয়া ওই প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশ গ্রহণ করেনি এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণাও যখন ধরা পড়ে যায়, তখন বাধ্য হয়ে তারা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিশ্বব্যাংকের যেখানে নিজেরই অভিযুক্ত হওয়ার কথা, সেখানে বাংলাদেশের নামে এমন অহেতুক বদনাম রটিয়ে তারা কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছিল, তা ভেবে দেখতে হবে।
বাংলাদেশের এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাংক সম্পর্কেও ভাবতে হবে। তারা ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রয়োজনীয় সম্পর্ক বজায় রাখবে। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তাদের কাছ থেকে অবশ্যই ঋণ গ্রহণ করবে; কিন্তু তাদের এমন কোনো কার্যক্রমকেই মেনে নেওয়া উচিত হবে না, যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে এবং বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।
ইতিমধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়নের ব্যাপারে বেশ আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়েও বিকল্প অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে পিপিপির আওতায় প্রকল্প সম্পন্ন করা যায় কি না- এমন প্রস্তাবও করা হয়েছে। সুতরাং বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হোক এমন কোনো কাজে যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে নিজের সুনামের বিষয়টি আবারও ভাবা দরকার। যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর বাংলাদেশের হাতে নিজেদের যোগ্যতা সম্পর্কে প্রমাণ রয়ে গেছে। সুতরাং বিশ্বব্যাংকের কোনো অন্যায় আবদারের কাছে বাংলাদেশকে মাথা নত করার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। বরং বিশ্বব্যাংক যাতে ভবিষ্যতে এমন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দূতিয়ালি করতে না পারে, সেদিকে তীক্ষ্ন নজর রাখতে হবে।
No comments