সরকারের বাড়ি ফিরিয়ে দিলেন শেখ রেহানা
সরকারের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে নেওয়া ধানমণ্ডির ২০ কাঠা জমির বাড়িটি আবার সরকারকে হস্তান্তর করলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জাতির জনকের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি তিনি আগেই দিয়ে দিয়েছিলেন জনগণকে।
এরপর ঢাকায় নিজের আর কোনো সম্পত্তি না থকলেও ২০ কোটি টাকার এই সম্পত্তি জনগণের সেবা করার জন্য পুলিশকে দিয়ে ভারমুক্ত হলেন রেহানা।
গতকাল শনিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও পূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খনের উপস্থিতিতে দলিল করে এই বাড়ি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে শেখ রেহানা দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন পারভীনের কাছে বাড়ির কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন। তেজগাঁও সার্কেলের সাব-রেজিস্ট্রার নৃপেন্দ্র চন্দ্র নাথ বাড়িটি হস্তান্তরের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
সম্পত্তি হস্তান্তরের সময় শেখ রেহানা বলেন, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে বাংলার জনগণের স্নেহ-ভালোবাসা নিয়ে বাকি জীবনটা কাটাতে চাই। সরকারি সম্পত্তির ওপর কোনো লোভ নেই। আবেগতাড়িত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, জাতির জনকের কন্যা। এর বেশি আমার আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নিজেদের খারাপ পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে শেখ রেহানা বলেন, যখন প্রয়োজন ছিল তখন কেউ পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ছোট থেকেই চাকরি করে জীবন কাটাতে হয়েছে। সে জন্য পড়াশোনাটাও শেষ করতে পারিনি। বাবা-মা, ভাই-ভাবিসহ সবাইকে হারিয়েছি। বেঁচে আছি আমরা মাত্র দুই বোন। বাড়ি দিয়ে কী করব! আর এক সরকার দেয়, আরেক সরকার কেড়ে নেয়- আমি এসবের মধ্যে নেই।
ভবিষ্যতে এই বাড়ির জন্য মামলা খেতে হতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমি রাজনীতি করি না। আবার মামালার মুখোমুখি হতে চাই না। আমি এসবের মধ্যে নেই।' এ সময় বড় বোন, বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেহানার দিকে তাকিয়ে বলেন, 'বাড়ি ফেরত দিয়ে ভারমুক্ত হলো রেহানা।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'গত সরকার আমাকে ও শেখ রেহানাকে একটি করে বাড়ি দিলেও আমি নিইনি।' শেখ রেহানাকে রেজিস্ট্রিমূলে বাড়িটি দেওয়া হলেও সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার শেখ রেহানার বাড়িটি দখল করে সেখানে ধানমণ্ডি থানা করে। আর ওই থানা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন। বর্তমান সরকার আসার পরও শেখ রেহানা বাড়িটি আর নিতে চাননি। যেহেতু পুলিশ বাড়িটি ব্যবহার করছে সে জন্য জনস্বার্থেই বাড়িটি সরকারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বিত্ত-বৈভব, সহায়-সম্পত্তির কথা কোনো দিন চিন্তাও করতেন না, তাঁর দুই জীবিত কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাও বাবার মতোই চরিত্র পেয়েছেন। এমন মহানুভবতার জন্য তিনি শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান।
পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খোন্দকার ধানমণ্ডির এক বিঘার ওপর নির্মিত একতলা বাড়িটি পুলিশ বাহিনীর ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সরকারের কাছে বিনা মূল্যে হস্তান্তরের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, পুলিশের জন্য দান করায় পুলিশ বাহিনী যত দিন বাড়িটি ভোগ করবে, তত দিন তাঁকে (শেখ রেহানা) কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০১ সালের ১১ জুলাই ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার এক বিঘার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি [নম্বর ৪১/এ (পুরাতন), ২১ (নতুন), সড়ক নম্বর-৬] প্রতীকী মূল্যে জাতির পিতার কন্যা হিসেবে শেখ রেহানার কাছে বিক্রয় দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন করা হয়। পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিনা নোটিশে ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে শেখ রেহানার বাড়িটি দখল করে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটিতে কর্মরত ৯ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
শেখ রেহানার মনোনীত প্রতিনিধি বেগম মঞ্জিলা ফারুক বাড়িটি হস্তান্তরের জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিট মামলা থাকা সত্ত্বেও সরকার ২৭ মার্চ ২০০৩ তারিখে বাড়িটি ডিএমপিকে বরাদ্দ দিয়ে দখল বুঝিয়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে শেখ রেহানা রিট মামলা প্রত্যাহার করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন, বাড়িটি সরকারকে ফেরত দেবেন।
বিএনপি সরকার ২০০৫ সালের ২৭ জুন শেখ রেহানার এই বাড়িটিকে ধানমণ্ডি থানার কার্যালয়ে পরিণত করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সেদিন এই থানা ভবন উদ্বোধন করেন। পরে একই বছরের ২৮ জুন অধিদপ্তর সূত্রে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়- ধানমণ্ডি থানা ধানমণ্ডি ৬ নম্বর রোডে একটি ভাড়া বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তৎকালীন সরকার ০৫/০৯/২০০৫ তারিখে শেখ রেহানার নামে বরাদ্দকৃত বাড়ি, যা পরবর্তী সময়ে ধানমণ্ডি থানা, সেখান থেকে এক কাঠা জমি প্রতিবেশী তৎকালীন বিচারপতি কে এম হাসানকে বরাদ্দ দেয়।
গতকাল শনিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও পূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খনের উপস্থিতিতে দলিল করে এই বাড়ি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে শেখ রেহানা দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন পারভীনের কাছে বাড়ির কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন। তেজগাঁও সার্কেলের সাব-রেজিস্ট্রার নৃপেন্দ্র চন্দ্র নাথ বাড়িটি হস্তান্তরের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
সম্পত্তি হস্তান্তরের সময় শেখ রেহানা বলেন, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে বাংলার জনগণের স্নেহ-ভালোবাসা নিয়ে বাকি জীবনটা কাটাতে চাই। সরকারি সম্পত্তির ওপর কোনো লোভ নেই। আবেগতাড়িত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, জাতির জনকের কন্যা। এর বেশি আমার আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নিজেদের খারাপ পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে শেখ রেহানা বলেন, যখন প্রয়োজন ছিল তখন কেউ পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ছোট থেকেই চাকরি করে জীবন কাটাতে হয়েছে। সে জন্য পড়াশোনাটাও শেষ করতে পারিনি। বাবা-মা, ভাই-ভাবিসহ সবাইকে হারিয়েছি। বেঁচে আছি আমরা মাত্র দুই বোন। বাড়ি দিয়ে কী করব! আর এক সরকার দেয়, আরেক সরকার কেড়ে নেয়- আমি এসবের মধ্যে নেই।
ভবিষ্যতে এই বাড়ির জন্য মামলা খেতে হতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমি রাজনীতি করি না। আবার মামালার মুখোমুখি হতে চাই না। আমি এসবের মধ্যে নেই।' এ সময় বড় বোন, বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেহানার দিকে তাকিয়ে বলেন, 'বাড়ি ফেরত দিয়ে ভারমুক্ত হলো রেহানা।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'গত সরকার আমাকে ও শেখ রেহানাকে একটি করে বাড়ি দিলেও আমি নিইনি।' শেখ রেহানাকে রেজিস্ট্রিমূলে বাড়িটি দেওয়া হলেও সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার শেখ রেহানার বাড়িটি দখল করে সেখানে ধানমণ্ডি থানা করে। আর ওই থানা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন। বর্তমান সরকার আসার পরও শেখ রেহানা বাড়িটি আর নিতে চাননি। যেহেতু পুলিশ বাড়িটি ব্যবহার করছে সে জন্য জনস্বার্থেই বাড়িটি সরকারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বিত্ত-বৈভব, সহায়-সম্পত্তির কথা কোনো দিন চিন্তাও করতেন না, তাঁর দুই জীবিত কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাও বাবার মতোই চরিত্র পেয়েছেন। এমন মহানুভবতার জন্য তিনি শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান।
পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খোন্দকার ধানমণ্ডির এক বিঘার ওপর নির্মিত একতলা বাড়িটি পুলিশ বাহিনীর ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সরকারের কাছে বিনা মূল্যে হস্তান্তরের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, পুলিশের জন্য দান করায় পুলিশ বাহিনী যত দিন বাড়িটি ভোগ করবে, তত দিন তাঁকে (শেখ রেহানা) কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০১ সালের ১১ জুলাই ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার এক বিঘার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি [নম্বর ৪১/এ (পুরাতন), ২১ (নতুন), সড়ক নম্বর-৬] প্রতীকী মূল্যে জাতির পিতার কন্যা হিসেবে শেখ রেহানার কাছে বিক্রয় দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন করা হয়। পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিনা নোটিশে ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে শেখ রেহানার বাড়িটি দখল করে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটিতে কর্মরত ৯ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
শেখ রেহানার মনোনীত প্রতিনিধি বেগম মঞ্জিলা ফারুক বাড়িটি হস্তান্তরের জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিট মামলা থাকা সত্ত্বেও সরকার ২৭ মার্চ ২০০৩ তারিখে বাড়িটি ডিএমপিকে বরাদ্দ দিয়ে দখল বুঝিয়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে শেখ রেহানা রিট মামলা প্রত্যাহার করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন, বাড়িটি সরকারকে ফেরত দেবেন।
বিএনপি সরকার ২০০৫ সালের ২৭ জুন শেখ রেহানার এই বাড়িটিকে ধানমণ্ডি থানার কার্যালয়ে পরিণত করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সেদিন এই থানা ভবন উদ্বোধন করেন। পরে একই বছরের ২৮ জুন অধিদপ্তর সূত্রে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়- ধানমণ্ডি থানা ধানমণ্ডি ৬ নম্বর রোডে একটি ভাড়া বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তৎকালীন সরকার ০৫/০৯/২০০৫ তারিখে শেখ রেহানার নামে বরাদ্দকৃত বাড়ি, যা পরবর্তী সময়ে ধানমণ্ডি থানা, সেখান থেকে এক কাঠা জমি প্রতিবেশী তৎকালীন বিচারপতি কে এম হাসানকে বরাদ্দ দেয়।
No comments