বাইকে করে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো আসামি বহন by এস এম রানা
মোটরসাইকেলে করে ছিনতাই মামলার দুর্ধর্ষ আসামি তাজুল ইসলামকে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার এই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার।
গতকাল বিকেল পৌনে ৫টায় চট্টগ্রাম মহানগরের ওয়াসা মোড় এলাকায় দেখা যায়, একটি ডিসকভার মোটরসাইকেলে (ঢাকা-মেট্রো-হ-৩৭-৩২১৯) তিনজন আরোহী। সামনে ও পেছনে দুজন পুলিশ সদস্য। মাঝখানের ব্যক্তির পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো। এই আসামির সঙ্গে খোশ গল্প করতে করতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন পুলিশের হাবিলদার মোহাম্মদ হোছেন।
পুলিশের আসামিবাহী মোটরসাইকেলটিকে কালের কণ্ঠ সাংবাদিক বহনকারী অপর একটি মোটরসাইকেল অনুসরণ করলে পুলিশ সদস্যরা তা লক্ষ করেন। একপর্যায়ে ওই মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় কোন থানা থেকে আসামিকে আনা হচ্ছে- জানতে চাইলে চালক পুলিশ সদস্য বলেন, হাটহাজারী থানা থেকে। এরপরই আর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তাঁরা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে সামনে চলে যান। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে ভিন্ন পথে চলে যান তাঁরা।
কিন্তু ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কোনো আসামি হাটহাজারী থানা থেকে চট্টগ্রামের আদালতে পাঠানো হয়নি উল্লেখ করে হাটহাজারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কোনো আসামিকে আজ (শনিবার) হাটহাজারী থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়নি।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার করা আসামিকে সর্তকতার সঙ্গে আদালতে নেওয়ার বিধান আছে। কিন্তু অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কোনো আসামিকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে- এ রকম আগে কখনো শুনিনি।'
এরপর চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের একাধিক স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাণ্ডাবেড়ি পরিহিত কোনো আসামিকে গতকাল মোটরসাইকেলে করে আদালতে নেওয়া হয়নি। পরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়, তাজুল ইসলাম নামের একজন আসামিকে বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। তাজুল ইসলাম ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন উত্তর চকরিয়া গ্রামের সুলতান আহমদের ছেলে। সে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট পানছড়ি থানার একটি ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার কপালে একটি টিউমার দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি জেলা কারগার থেকে তাজুল ইসলামকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার শরীফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জেলা পুলিশ লাইনের নায়েক করিমসহ অন্য একজন হাবিলদার আসামি তাজুলকে নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন। জেল থেকে আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে পথিমধ্যে কোন যানবাহনে করে আসামিকে নেওয়া হয়েছে- তা আমি জানি না।' তবে শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলায় অবরোধ কর্মসূচি ছিল বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল হাশেম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পিআরবি অনুযায়ী পুলিশ দুর্ধর্ষ আসামিকে মোটরসাইকেলে করে আদালতে নিতে পারে না। কিন্তু অনেক সময় যানবাহন স্বল্পতার কারণে এমনটা হতে পারে। তবে পিআরবি লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসামি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছে নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর ওহাবুল ইসলাম গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আজ (শনিবার) খাগড়াছড়ি জেলায় আধা বেলা অবরোধ ছিল। আমাকে না জানিয়ে মোটরসাইকেলে করে চট্টগ্রামে আসামি নেওয়া হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই আসামিকে এভাবে এত দূরের পথে নেওয়ার সুযোগ নেই। আমি খোঁজ নিচ্ছি, পরে বিস্তারিত জানাব।'
পুলিশের আসামিবাহী মোটরসাইকেলটিকে কালের কণ্ঠ সাংবাদিক বহনকারী অপর একটি মোটরসাইকেল অনুসরণ করলে পুলিশ সদস্যরা তা লক্ষ করেন। একপর্যায়ে ওই মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় কোন থানা থেকে আসামিকে আনা হচ্ছে- জানতে চাইলে চালক পুলিশ সদস্য বলেন, হাটহাজারী থানা থেকে। এরপরই আর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তাঁরা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে সামনে চলে যান। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে ভিন্ন পথে চলে যান তাঁরা।
কিন্তু ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কোনো আসামি হাটহাজারী থানা থেকে চট্টগ্রামের আদালতে পাঠানো হয়নি উল্লেখ করে হাটহাজারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কোনো আসামিকে আজ (শনিবার) হাটহাজারী থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়নি।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার করা আসামিকে সর্তকতার সঙ্গে আদালতে নেওয়ার বিধান আছে। কিন্তু অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কোনো আসামিকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে- এ রকম আগে কখনো শুনিনি।'
এরপর চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের একাধিক স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাণ্ডাবেড়ি পরিহিত কোনো আসামিকে গতকাল মোটরসাইকেলে করে আদালতে নেওয়া হয়নি। পরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়, তাজুল ইসলাম নামের একজন আসামিকে বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। তাজুল ইসলাম ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন উত্তর চকরিয়া গ্রামের সুলতান আহমদের ছেলে। সে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট পানছড়ি থানার একটি ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার কপালে একটি টিউমার দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি জেলা কারগার থেকে তাজুল ইসলামকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার শরীফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জেলা পুলিশ লাইনের নায়েক করিমসহ অন্য একজন হাবিলদার আসামি তাজুলকে নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন। জেল থেকে আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে পথিমধ্যে কোন যানবাহনে করে আসামিকে নেওয়া হয়েছে- তা আমি জানি না।' তবে শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলায় অবরোধ কর্মসূচি ছিল বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল হাশেম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পিআরবি অনুযায়ী পুলিশ দুর্ধর্ষ আসামিকে মোটরসাইকেলে করে আদালতে নিতে পারে না। কিন্তু অনেক সময় যানবাহন স্বল্পতার কারণে এমনটা হতে পারে। তবে পিআরবি লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসামি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছে নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর ওহাবুল ইসলাম গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আজ (শনিবার) খাগড়াছড়ি জেলায় আধা বেলা অবরোধ ছিল। আমাকে না জানিয়ে মোটরসাইকেলে করে চট্টগ্রামে আসামি নেওয়া হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই আসামিকে এভাবে এত দূরের পথে নেওয়ার সুযোগ নেই। আমি খোঁজ নিচ্ছি, পরে বিস্তারিত জানাব।'
No comments